ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

উবাচ

বাঘ থেকে বাঘের মাসি স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাঁক, ডাক আর হুঙ্কার; এর পরই ফুঁস করে হাওয়া সরে চুপসে গেল। দেশে এখন এ রকম তকমা একজনের গায়েই সেঁটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি চিকা মারতেন পরে একটা পর্যায়ে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু সেই চিকা মারার চিরাচরিত স্বভাব থেকে তিনি বের হতে পারলেন না। বাঘের হুঙ্কার ছেড়ে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করেও শেষ রক্ষা হলো না। তিনি নাগরিক ঐক্যের যেমন কর্ণধার তেমনি দেশের সুশীল সমাজের কারিগরও বটে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করলেই মান্না হুঙ্কার ছাড়লেন ‘এবার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেয়া হবে না।’ আমি মান্না আছি। কিন্তু এর পরই মান্নাময় কয়েকটি দিন এলো সকলের সামনে। তিনি শুধু ঢাকা সিটির এক প্রান্তের পিতা হয়েই থেমে যেতে চান না। ঘটাতে চান ওয়ান-ইলেভেনের মতো ঘটনা। এজন্য জেনারেলদের সঙ্গে বসতে হবে। তাও আবার তাঁরই বিশ্বস্ত হতে হবে তাদের। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলতে হবে। তাও আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেল্লে হবে না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই লাশ চাই। লাশ! লাশ! লাশ! লাশের ওপর পাড়া দিয়ে লাশ মাড়িয়ে মান্নারা ক্ষমতায় বসতে চান। ফাঁস হয়ে যাওয়া ষড়যন্ত্রের কারণে এখন তিনি ফান্দে পড়ে কান্দেন। কাদের সিদ্দিকীর শহীদ মিনার হবে মতিঝিলে স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে কারও কারও সব কিছু ঘেঁটে ‘ঘ’ হয়ে যাচ্ছে। নিজের বসে থাকার স্থানকেই শহীদ মিনার ভেবে বসছেন কেউ কেউ। খোদ বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গলায় সেই সুর। দুই নেত্রীকে সংলাপে বসানোর জন্য নিজেই নিজের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েছেন গামছা প্রতিকের কর্ণধার এই লড়াকু রাজনীতিবিদ। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে সকলেই যখন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে শোককাতর হৃদয়ে হাজির হলেন তখনও কাদের সিদ্দিকী সেখানেই বসে আছেন। কেননা, কাদের সিদ্দিকীর খুব সংলাপ দরকার। সংলাপে না বসলে তিনি উঠবেন না। একবার নামাজ পড়তে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদুর-চাদর সরিয়ে ফেললেও তিনি আবার পেতেছেন। নিরন্তর বসে থাকা কাদের সিদ্দিকীকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন করা হয়, শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন কী না? এর প্রেক্ষিতে উত্তর আসে ‘এটাই তো শহীদ মিনার। আমি যখন মারা যাব, এটাই শহীদ মিনার হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আলোচনায় বসাতে ‘নিরবচ্ছিন্ন’ অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন তিনি। আলোচনা-সংলাপ হোক বা না হোক, নিজের নামে শহীদ মিনার হওয়ার আশায় গত এক মাস ধরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে আছেন তিনি। রাজনীতি বোঝেন না বদি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্রিং ক্রিং টেলিফোন হ্যালো হ্যালো... ইঁদুর আর বিড়ালের সরস কাব্য সকলের মনে থাকার কথা। কবিতার শেষ বাক্যটি এমনÑক্রিং ক্রিং টেলিফোন শোন হে ইঁদুর, শুনবো না শুনবো না দূর দূর দূর। টেলিফোন, মোবাইল এসব প্রযুক্তির আরও উন্নত সংস্করণ ভাইবার চলে এসেছে সেখানেও হস্তক্ষেপ। এখন যাওয়ার জায়গাও নেই। কথা বলার কায়দা নেই। কোথায়-কিভাবে রাজনীতি করা মানুষজন কথা বলবে। লাশ ফেলার খবর ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে অনেকেরই এখন কাপড় নষ্ট হওয়ার জোগাড়। অনেকের সঙ্গেই নেকি এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কথা হয়েছে। আর এসবের কারণে এখন দেশের সুশীল সমাজের অনেকে রাজনীতি বোঝা ছেড়ে দিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের কিভাবে চলবে, হবে কিভাবে ভোট হবে, ভোট হলে তা আদৌ ভাল ভোট কি না; এসব নিয়ে এতদিন মন্তব্য করে আসা সুজন সম্পাদক হঠাৎ আর রাজনীতি বুঝছেন না। গত সপ্তাহে মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এসব বিষয় কেন হলো তিনি বুঝতে পারছেন না। এটা রাজনীতিবিদদের বিষয়, রাজনীতিবিদরাই ভাল বলতে পারবেন; তিনি বাপু রাজনীতি বোঝেন না। ব্যাগ হারানো কাম্য নয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবাক বিমান বন্দর শাহজালাল। প্লেন থেকে নামলে ঠিকঠাক মালপত্র পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আগমনকারীর। কারণ, হরহামেশা এখান থেকে ব্যাগ-বস্তা উধাও হয়ে যায়। সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের বিমানমন্ত্রী এই কথাও বলেন, শাহাজালালে ব্যাগ হারানো কাম্য নয়। খোদ বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এই কথা বলেছেন। তার মানে, আমাদের দেশের বিমানবন্দর থেকে ব্যাগ চুরির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু কেন কিছু করা যায় না কেন চোরদের ধরা যায় না। কেন প্রতিরোধ করা যায় না, এসব কিছু। এত এত নিরাপত্তা, এত এ কিছুর পরও এভাবে ল্যাগেজ কি হারিয়েই যাবে। আর মন্ত্রী কি বলেই যাবেন এসব কাম্য নয়। এদের ধরা হবে, এদের বিচার করা হবে। কিন্তু বিচার আর হবে না, চুরিও বন্ধ হবে না। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় প্রতিদিন যেমন এই বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান হয় তেমনি ব্যাগও হারায়। দেশের লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ না থাকলেও আছে শাহজালালের বিরুদ্ধে।
×