ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ুম

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই

আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু হচ্ছেন রব্বুল আলামীন- জগতসমূহের রব্। রব্ শব্দের অর্থ এক কথায় করা যায় না। রব্ শব্দের কিছুটা অনুধাবনযোগ্য অর্থ করা যায় এই ভাবে : প্রতিপালক স্রষ্টা, সংরক্ষক ও বিবর্ধক। যিনি প্রতিপালক তিনিই স্রষ্টা, তিনিই সংরক্ষক, তিনিই বিবর্ধক। সমগ্র বিশ্বজগতের একমাত্র স্রষ্টা তিনি। তাঁর সেরা সৃষ্টি হচ্ছে মানবজাতি। তিনি সৃষ্টিজগতের তাবত কিছুর উপর মানুষকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। তিনি অন্যান্য সৃষ্টিকে মানুষের কল্যাণেই নিয়োজিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে : ওয়া লাকাদ কররাম্না বনী আদম- আদম সন্তানদেরকে মর্যাদা দান করা হয়েছে। আরও ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন পৃথিবীতে যা কিছু আসে তা সবই এবং তাঁর নির্দেশে সমুদ্র বিচরণশীল নৌযানসমূহকে? আর তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে তা পড়ে না যায় পৃথিবীর ওপর তাঁর অনুমতি ব্যতীত। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র পরম দয়ালু। (সূরা হজ্জ : আয়াত ৬৫) এই মানুষকেই আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু পৃথিবীতে তাঁর খলীফা বা প্রতিনিধি হিসেবে উদ্ভব ঘটিয়েছেন। মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য এবং পৃথিবীতে আল্লাহর রবুবিয়ত প্রতিষ্ঠা করবার জন্য। আল্লাহ্ খলীফা বা প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য যে জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করা অবশ্য কর্তব্য আল্লাহ্ জাল্লা শনুহু সে জীবন ব্যবস্থাও মানুষের জন্য দিয়ে দিয়েছেন যার নাম ইসলাম। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত এবং প্রগতিশীল জীবনব্যবস্থা। ইসলাম শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় শান্তিই হচ্ছে ইসলাম, ইসলামের শব্দমূল সিন লাম মিম অর্থাৎ সলম যার অর্থই হচ্ছে শাস্তি। মূলত ইসলাম সর্বক্ষেত্রেই শান্তির কথা বলে। ইসলামে পারস্পরিক অভিবাদনেও শান্তিই কামনা করা হয়। বলা হয়, আস্সালামু আলাইকুম- তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। জবাবে বলা হয়, ওয়া আলাইকুমুস সালাম তোমাদের উপরেও শান্তি বর্ষিত হোক। ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : হে মানুষ আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিক মুত্তাকী। আল্লাহ সব কিছু জানেন, সব খবর রাখেন। (সূরা- হুজুরাত, আয়াত ১৩) ইসলাম মানবতার বিজয়বার্তা ঘোষণা করে। ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাকে কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রিয় নবী হযরত মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ৯ জিলহজ্জ হজ্জের দিনে মক্কা মুকাররমা থেকে প্রায় ৯ মাইল দূরে অবস্থিত আরাফাত ময়দানে হজ্জের যে খুতবা প্রদান করেছিলেন তা বিদায় হজ্জের ভাষণ নামে পরিচিত। প্রায় ১ লাখ চল্লিশ হাজার লোকের সেই বিশাল হজ্জ সমাবেশে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সেই খুতবায় সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাবধান! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। কুরআন মজীদে ধর্মের ব্যাপারে বল প্রযোগ করা, ধর্মের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : লা ইকরাহা ফীদ্ দীন- ধর্মে জোর জবরদস্তি নেই। (সূরা বাকারা : আয়াত ২৫৬)। এই আয়াতে কারীমা দ্বারা এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ধর্মের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি ইসলামসম্মত নয়। আমরা লক্ষ্য করি, মানুষকে আল্লাহর পথে কিভাবে আহ্বান করতে হবে সে সম্পর্কে কুরআন মজীদে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : উদ্ উ ইলা সাবীলি রব্বিকা বিল হিক্ মাতি ওয়াল মাওইজাতিল হাসানা, ওয়া জাদিলহুম্ বিল্লাতী হিয়া আহ্সান- তোমার রবের পথে আহ্বান করো হিকমতের সঙ্গে এবং সুন্দর সুন্দর উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে, আর তাদের সঙ্গে বাক্যালাপ করো উত্তম পন্থায়। সূরা নহল : আয়াত ১২৫) আমরা আরও লক্ষ্য করি যে, কুরআন মজীদে মুসলিমদের উম্মতানওয়াসাতা অর্থাৎ মধ্যপন্থী উম্মত বলা হয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : ওয়া কাযালিাকা জা‘আল্নাকুম্ উম্মাতাও ওয়াসাতাল্ লিতাকুনু শুহাদাআ আলাননাসি ওয়াইয়া কুনার রসুল আলায়কুম শাহীদা- আর এভাবে তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষী এবং রসুল তোমাদের জন্য সাক্ষী হন ( সূরা বাকারা আয়াত ১৪৩) হাদীস শরীফে এই আয়াতে কারীমার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে : মধ্যপন্থাই উৎকৃষ্ট পন্থা। চরম ও নরম উভয় পন্থাই বর্জনীয়। এর দ্বারা বোঝা যায় যে একজন মুসলিম কট্টরপন্থী হতে পারে না। কিংবা চরমপন্থী হতে পারে না। মধ্যপন্থা অবলম্বন করাই তার কর্তব্য। ইসলাম হচ্ছে আস সিরাতুল মুসতাকিম অর্থাৎ সহজ সরল পথ। একে দীনুল হক্ বা সত্যদীন বলা হয়েছে। ইসলামকে বলা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। কুরআন মজীদের ইরশাদ হয়েছে : ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম- নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র দীন হচ্ছে ইসলাম (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)। দীন হচ্ছে আল্লাহর দেয়া অবশ্য করণীয় হুকুম আহকাম। সীমিত অর্থে দীন হচ্ছে ধর্ম। কুরআন মজীদের উম্মতে মুহম্মদীকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে অভিহিত করে ইরশাদ হয়েছে : তোমরা হচ্ছ শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটেছে, তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে। (সূরা আল ইমরান : আয়াত ১১০) সৎ কাজ করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, অসৎ কাজ মানুষ যাতে না করে সে জন্য জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং অসৎ কাজ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনা কিংবা অসৎ কাজ করতে না দেয়া একজন মুসলিমের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একজন মুসলিম অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে না, সামাজিক অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে এমন কোন কর্মকা-ে কোন অবস্থাতেই জড়িত হতে পারে না। মুসলিম শব্দের অর্থ আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণকারী। আর আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমপর্ণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে প্রকৃত শান্তি। আল্লাহর যিকিরেই কলবে প্রশান্তি আসে। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : আলা রিযিক্ রিল্লাহি তাতমাইননুল কুলুব- জেনে রাখো আল্লাহর যিকরেই অন্তর প্রশান্ত হয়। ( সূরা র’দ : আয়াত ২৮) মুসলিম শব্দের আরেক অর্থ শান্তি স্থাপনকারী হয়। আমরা হুদায়বিয়ার সন্ধির দিকে তাকালে দেখতে পাব তাতে যে সব শর্ত ছিল তার মধ্যে কয়েকটি মুসলিমদের জন্য অপমানজনক ছিল। অথচ প্রিয় নবী (সা) শান্তির খাতিরে সে সন্ধি স্থাপন করেছিলেন। আর আল্লাহ জাল্লা শানুহু এই সন্ধিকে ফাত্হুম মুবীন (সুস্পষ্ট বিজয়) বলে ঘোষণা করেন। প্রিয় নবী (সা) বলেছেন : দ্বন্দ্ব বিবাদের কুফল হতে দূরে থাকো কেননা তা ধ্বংসকর। (তিরমিযী শরীফ) তিনি আরও বলেছেন, শত্রুতা ও ঈর্ষা পূণ্যসমূহের মূলোৎপাটন করে। (আবু দাউদ শরীফ) প্রিয় নবী (সা)-এর নিকট মক্কার কাফির মুশরিকা ইবাদতের ব্যাপারে ভাগাভাগি করার প্রস্তাব রাখলে আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু যে কথাগুলো বলতে নির্দেশ দেন তার শেষ আয়াতখানি হচ্ছে : লাকুম দীনুকুম ওয়ালিইয়া দীন- তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার দীন (সূরা কাফিরুন : আয়াত ৬) আমরা দেখতে পাই, প্রিয় নবী (সা) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে হিজরত করে মদীনা মনওয়ারায় তশরীফ নেন। মদীনায় এসে তিনি মসজিদুন নব্বী স্থাপন করেন এবং এই মসজিদকেন্দ্রিক একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেন। এই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তিনি বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সংবিধান প্রণয়ন ও সম্পাদন করেন- যা মদীনার সনদ বা চার্টার অব মদীনা নামে সমধিক পরিচিত। ৪৭টি শর্তবিশিষ্ট এই সনদের প্রতিটি ধারায় ও উপধারায় মানবিক মূল্যবোধ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রথম শর্তেই ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে একটি জাতি গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। এতে যার যার ধর্মপালন করার স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। বিদায় হজ্জের ভাষণে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা) বলেন, হে মানুষ! কোন অনারবের ওপর কোন আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন আরবের ওপর কোন অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন কালোর ওপর কোন সাদার শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন সাদার ওপর কোন কালোর শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সবাই আদম থেকে এবং আদম মাটি থেকে, শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া। মূলত এই তাকওয়া অবলম্বন করার মধ্যেই একজন মুসলিমের সার্থক জীবনের মূল তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। একজন তাকওয়া অবলম্বনকারী বা মুত্তাকী জীবনের পরতে পরতে পরিচ্ছন্নতার ছোঁয়া লাভ করে, সে আত্মস্থ করে শুদ্ধচারিতা, সংযম ও সাবধানতা যে কারণে তার আখলাক ও আচরণে শয়তান প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে তার দ্বারা কোন অশান্তির কাজ সংঘটিত হতে পারে না। ফলে তার দ্বারা কোন অশান্তির কাজ সংঘটিত হতে পারে না। কুরআন মজীদে বিনয় ও নম্র জীবন যাপনের তাকীদ দিয়ে ইরশাদ হয়েছে : সেই সব মু’মিন অবশ্যই সফলকাম যারা বিনয়-নম্র সালাতে, যারা বিরত থাকে অসার ক্রিয়া কলাপে, যারা যাকাত দেয়াতে সক্রিয় এবং যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে সংযত রাখে। (সূরা মু’মিনুন : আয়াত ১-৫) আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দান করার নির্দেশ দেন এবং নিষেধ করেন অশ্লীলতা, আসৎ কাজ ও সীমা লঙ্ঘন না করতে। (সূরা নাহল : আয়াত ৯০) কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে কানান্নাসু উম্মাতাও ওয়াহিদা- সমস্ত মানুষ ছিল একই উম্মতভুক্ত। (সূরা বাকারা : আয়আত ২১৩) কুরআন মজীদে আরও ইরশাদ হয়েছে : লা তুফসিদু ফীল আরদ- পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না। সূরা বাকারা : আয়াত ১১)। কুরআন মজীদে বিধৃত ঐ সব নির্দেশনার মধ্যে মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি বজায় রেখে চলার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। ইসলাম প্রতিবেশীর প্রতি যে দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে দেখা যায় প্রতিবেশী সে যে ধর্মেরই হোক কিংবা যে সম্প্রদায়েরই হোক তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে হবে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা) বলেছেন : যদি তুমি প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো তাহলে তুমি প্রকৃত ইমানদার বলে পরিগণিত হবে। (তিরমিযী শরীফ) তিনি আরও বলেছেন : যার অত্যাচারে প্রতিবেশী নিরাপদে থাকতে পারে না সে মুমিন নয়। (বুখারী শরীফ) মানুষ নিজের জন্য যা পছন্দ করে প্রতিবেশীর জন্য তা পছন্দ না করা পর্যন্ত সে মুসলিম হতে পারে না। (মুসলিম শরীফ) ইসলাম মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সৌভ্রাতৃত্ব স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি ও সুখের দুনিয়া গড়ার তাকীদ দিয়েছে। পাশ্চাত্য মনীষী জর্জ বার্নার্ড শ’র ভাষায় বলা যায় : “If all the world was united under one leader Muhammad would have been the best fitted man to lead the peoples of various creeds, dogmas and ideas to peace and happiness" যদি গোটা পৃথিবীটাকে একজন নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ করা যেত তাহলে সে জন্য সর্বোত্তম যোগ্য ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ (সা) যাঁর পক্ষেই কেবল সম্ভব নানা ধর্মমত, ধর্ম বিশ্বাস ও চিন্তানধারার মানুষকে শান্তির ও সুখের পথে পরিচালিত করা। ইসলামই যে মানবতাকে সমুন্নত করেছে তা ইতিহাসের পাতায় পাতায় জ্বলজ্বল করছে। লেখক : পীর সাহেব দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহাম্মদ (সা.), সাবেক পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
×