ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেমিতে মোহামেডান সকারকে হারিয়ে

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সেমিতে মোহামেডান সকারকে হারিয়ে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলমান ফেডারেশন কাপ ফুটবলে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে এ আসরে আগে ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং ঢাকার হাজারীবাগে ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটি ২-১ গোলে অনায়াসেই হারায় ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হওয়া হওয়া ফেনী সকার ক্লাবকে। দলের পক্ষে গোল দুটি করেন বিপলু আহমেদ এবং ইসমাইল বাঙ্গুরা। সকারের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন সোহেল মিয়া। আগামী ২ মার্চ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিতে খেলবে ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি। তাদের প্রতিপক্ষ হবে চতুর্থ কোয়ার্টারে মোকাবেলা করা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র বনাম ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে বিজয়ী যে কোন একটি দল। বলাই বাহুল্য, মোহামেডানের জন্য ফেনী সকার বরাবরই এক সমীহ জাগানিয়া দল। সকার ক্লাব বার বার হারলেও তারা মোহামেডানকে প্রতিবারই বেগ দিয়েছে। বুধবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ‘স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা মোহামেডান ও ফেনী সকার। গত বছরের ১২ এপ্রিল এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ‘টাইব্রেকার’ নাম লটারির। সে ভাগ্যপরীক্ষায় মোহামেডান জিতেছিল ৫-৪ গোলে। এছাড়া ওই বছরের ২৭ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও ফেনীর বিরুদ্ধে অনেক ঘাম ঝড়িয়ে মোহামেডান জেতে ৩-২ গোলে। বুধবার মোহামেডানকে হারাতে পারলে প্রতিশোধ নিতে পারত সকার ক্লাব। কিন্তু সেটা নিতে ব্যর্থ হলো ঢাকার বাইরের এই ক্লাবটি। ম্যাচের শুরতেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত মোহামেডান। প্রথম মিনিটেই ডি-বক্সের সামনে ফেনীর বিপক্ষে ফ্রি কিক পায় মোহামেডান। কিন্তু সকারের রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বলটির গতিপথ পরিবর্তিত হলে বেঁচে যায় সকার। ৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারলেই কেল্লাফতে অর্থাৎ গোল পেতে পারতেন তৌহিদুল আলম সবুজ। কিন্তু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে তার সেই প্রচেষ্টা। ১২ মিনিটে মোহামেডানের গিনির মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কামারার কাছ থেকে বল পান তার সতীর্থ আরেক মিডফিল্ডার মোবারক হোসেন ভূঁইয়া। কিন্তু তিনি ফেনীর গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপুকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। ২১ মিনিটে সফলতার মুখ দেখে মোহামেডান। মিডফিল্ডার আবু সাইদ জুয়েলের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার (বদলি খেলোয়াড়) বিপলু আহমেদ (১-০)। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহামেডানের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। মিডফিল্ডার হাবিুবর রহমান সোহাগের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)। বিরতির পরে ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় ফেনী সকার। তবে দলগত আক্রমণগুলো মোহামেডানের ডি বক্সের সামনে এসে খেই হারিয়ে ফেলে। এ সময় রেফারি আজাদ রহমানের কিছু সিদ্ধান্তে নাখোশ হয় ডাগ আউটে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ফেনী সকারের গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসেকে। অপরদিকে মোহামেডানের খেলার ধরন ছিল কিছুটা রক্ষণাত্মক। গোল দেয়া নয়, গোল না খাওয়ার নীতিতেই বেশি সচেষ্ট ছিল দলটি। তবে তাদের কোচ কাজী জসিমউদ্দিন জোসির এই পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কেননা অন্তিম মুহূর্তে (৯০ মিনিটে) ঠিকই গোল হজম করে বসে ফেনী সকার। সকারের সোহেল মিয়া গোল করে ব্যবধান কমান (১-২)। তারা ওই সময় এমনভাবে খেলছিল, যেন হাতে আরও কয়েক মিনিট থাকলে ঠিকই শোধ করে ফেলত দ্বিতীয় গোলটিও। কিন্তু হায়, রেফারি আজাদ রহমান খেলা শেষের বাঁশি বাজালে ভগ্ন মনোরথেই মাঠ ছাড়তে হয় ওমর সিসের শিষ্যদের।
×