ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আয়ারল্যান্ডের জয় আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আয়ারল্যান্ডের জয় আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। বুধবার ব্রিসবেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ২ উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা। ৯ উইকেটে ২৭৮ রানের স্কোর গড়ে আমিরাত। দেশটির হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির নজির গড়েও হার দেখতে হয় ব্যাটসম্যান সাইমান আনোয়ারকে। জবাবে ৪৯.২ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। ৬৯ বলে ৮০ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বিজয়ী দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসন। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল সহযোগী দেশটি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে পুল ‘বি’ এ ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর তৃতীয় স্থানে আছে আয়ারল্যান্ড। ১৩১ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমিরাতের বড় সংগ্রহের রূপকার সাইমান। ৬ নম্বরে নেমে ৮৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১০৬ রান করে আউট হন তিনি। বিশ্বকাপে আমিরাতের কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া আমিরাতের শুরুটা ছিল সাবধানী। ওপেনিং জুটিতে ১১ ওভারে আসে ৪৯ রান। এরপর অবশ্য হঠাৎ করে খেই হারায় তারা। দলীয় ৭৮ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। তখনই মিডল অর্ডারে সাইমানের জ্বলে ওঠা। বড় তারকা খুররম খানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন তিনি। খুররম আউট হন ৩৬ রান করে। ১৩১-এ ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর আহমেদ জাভেদের সঙ্গে আরও একটি ভাল জুটি তৈরি হয়। তাতেই মূলত পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১০৭ রান তুলে চমকে দেন তারা। বিশ্বকাপে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। অলরাউন্ডার জাভেদ ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। ৩৫ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন তিনি। নির্ধরিত ৫০ ওভারে ২৭৮ রানের ফাইটিং পুঁজি পায় আমিরাত। বিশ্বকাপে এটি তাদের সর্বোচ্চ ও ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। আইরিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ম্যাক্স সরেনসেন, এ্যালেক্স কুসক, পল স্টারলিং ও কেভিন ও’ব্রায়েন। জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই স্টারলিংকে হারিয়ে চাপে পড়ে আইরিশরা। ধীরে ধীরে ২ উইকেটে ৭২ রান। অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড আউট হন ৩৭ রান করে। তবে ২৫.২ ওভারে ৯৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেখান থেকেই দলকে দারুণ জয় এনে দেয়ার কাজটি করেন উইলসন। ৬৯ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৮০ রান করে আউট হন তিনি। তাকে ভাল সঙ্গ দেন কেভিন ও’ব্রায়েন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৭২ রান। যেখানে মাত্র ২৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রান করে আউট হন ও’ব্রায়েন। কুশক (৫*) ও জর্জ ডকরেল (৭*) অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। আমিরাতের হয়ে আমজাদ জাভেদ ৩টি, মোহাম্মদ নাভেদ ও মোহাম্মদ তৌকির প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। এনিয়ে দুটি ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গরে হারল আরব আমিরাত। এর আগে জিম্বাবুইয়ের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছি মোহাম্মদ তৌকিরের দল। আইরিশদের ব্যাটিংয়ের সময় অবশ্য একটি মজার ঘটনাও ঘটে। আমিরাত পেসার আমজাদের করা ওভারে খেলতে বেশ বেগ পাচ্ছিলেন আয়ারল্যান্ড তারকা এড জয়েস। অফস্ট্যাম্পের ওপর চতুর্থ বলটার লাইনই বুঝতে পারেননি তিনি, ব্যাট ফাঁকি দিয়ে তা ছুঁয়ে যায় অফস্ট্যাম্প। জোরে আওয়াজ হওয়ার পাশাপাশি জ্বলে ওঠে স্ট্যাম্পে বাতিও। উইকেট পতনে তখন আমিরাত ফিল্ডারদের উল্লাস। কিন্তু মুহূর্তেই তা থেমে যায়। বল স্ট্যাম্পে আঘাত করে ঠিকই, তবে বেল না পড়ায় আউটের হাত থেকে বেঁচে যান জয়েস! ক্রিকেটে এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। আগেও ঘটেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ছিল স্পিনারদের বোলিংয়ের সময়। ফাস্ট বোলিংয়ে স্ট্যাম্প না পড়াটা বিস্ময়কর! ক্রিকেটের জনপ্রিয় সাইট ক্রিকইনফোর ধারণা, সাধারণ কাঠের বেলের তুলায় আলোকবাতির ‘ডিজিটাল এই এলইডি বেল’ বেশ ভারি হওয়ায় তা স্ট্যাম্পের ওপর অক্ষত থেকে যায়!
×