ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গেইল রেকর্ডে উইন্ডিজের জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গেইল রেকর্ডে উইন্ডিজের জয়

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ বিশ্বকাপে ক্রিস গেইলের রেকর্ডের দিনে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জিম্বাবুইয়েকে ৭৩ রানে হারিয়েছে তারা। ক্যানবেরায় ব্যাট হাতে তা-ব চালিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী জ্যামাইকান। তার ব্যক্তিগত ২১৫ রানের রেকর্ড সর্বোচ্চ ইনিংসে ভর করে ২ উইকেটে ৩৭২ রানের বড় স্কোর গড়ে ক্যারিবীয়রা। জবাবে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে ২৮৯ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুইয়ে। ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বড় জয় পায় উইন্ডিজ। ১৪৭ বলে ১০ চার ও ১৬ ছক্কায় ২১৫ রান করে আউট হন গেইল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ছিল গ্যারি কার্স্টেনের। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে রাওয়ালপিন্ডিতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যান। ১৮৩, ১৮১ ও ১৭৫* রান নিয়ে রেকর্ডের তালিকায় পরের তিনটি স্থানে আছেন যথাক্রমে সৌরভ গাঙ্গুলী (১৯৯৯), ভিভ রিচার্ডস (১৯৮৭) ও কপিল দেব (১৯৮৩)। ২৬৬ ওয়ানডেতে গেইলের এটি ২২ সেঞ্চুরি। আগের সর্বোচ্চ অপাজিত ১৫৩। পাশাপাশি কাল জুটিতেও রেকর্ড হয়েছে। গেইলের দানবীয় ব্যাটিংয়ের কাছে চাপা পড়ে গেছে স্যামুয়েলসের সেঞ্চুরি! অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পাশাপাশি ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ১৩৩ রান করেন তিনি। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৩৭২ রান। বিশ্বকাপ তো বটেই, ওয়ানডে ইতিহাসে যে কোন জুটিতেই সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড এটি! বিশ্বকাপে এতদিন ৩১৮ রানের জুটি ছিল সাবেক ভারতীয় রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলীর, ১৯৯৯-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর সর্বোপরি ওয়ানডেতে ৩৩১, শচীন ও দ্রাবিড়ের ১৯৯৯-এ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ফর্মে ফিরতে ছিলেন মরিয়া গেইলের ইনিংসটা ছিল সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক যেন তার মতো নয়। প্রথমে ধীরে ও পরবর্তীতে চালিয়ে খেলেন। একাধিকবার জীবনও পান। যার কড়ায়-গ-ায় মিটিয়ে দেন রেকর্ড গড়ে! হাফসেঞ্চুরি ৫১ বলে, ৪ চার ও ২ ছক্কায়। ১০৫ বলে সেঞ্চুরি পূরণের পথে চার ও ছক্কা ৫টি করে। সেই তিনিই ২১৫ রানে শেষ করেন ১৪৭ বলে! ১০০ থেকে ২০০ রানে পৌঁছাতে বল খেলেন মাত্র ৩৩টি, ১৩৮ বলে গড়েন দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড! আগে যেটি ছিল ভারতের বীরেন্দর শেবাগের ১৪০ বলে। ১৬ ছক্কা- এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রোহিত শর্মার সঙ্গে যৌথ রেকর্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অবিশ্বাস্যভাবে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার দিনে ৩৬ রান করেছিলেন গেইল। পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয়রা। সেদিন ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২১ সেঞ্চুরি ২০ ম্যাচ আগে, এ সময় হাফসেঞ্চুরি মাত্র ১টি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হয়ে মূল লড়াই- শেষ নয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১ রান। বাকি আট ইনিংসে স্কোর- ১৯, ১, ১০, ০, ০, ১, ৩৬ ও ৪! সুতরাং রানে ফিরতে প্রচ- চাপ ছিল উইন্ডিজ তারকার ওপর। রেকর্ড গড়ে ফেরার পর অবশ্য চাপ-প্রসঙ্গ ছক্কার মতো উড়িয়ে দেন। গেইল বললেন, ‘কখনই চাপ অনুভব করিনি। অনেক কথা হয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বকাপ নিয়ে। আমি আত্মবিশ্বাস ছিলাম।’ তবে ইনজুরিকে বড় করে দেখা গেইল যোগ করেন, ‘ইনজুরিটা আমাকে বেশ ভুগিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও শতভাগ ফিট ছিলাম না। দল আমার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও জয়ের জন্য অবদান রাখতে চাই।’
×