ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিবার চলমান ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র কেউই জিততে পারেনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি এক কথায় বলতে গেলে হয়েছে প্রাণহীন এক ম্যাচ। নিষ্প্রাণ এ ম্যাচে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা একটিইÑ চতুর্থ রেফারি জসীমউদ্দিনের শরীরে ক্ষিপ্ত হয়ে বোতলের জল ছিটিয়ে দেয়ায় ডাগ আউট থেকে বহিষ্কৃত হন রাসেলের মন্টেনিগ্রোর কোচ ড্রাগান ডুকানোভিচ। ম্যাচটি ছিল রাসেলের জন্য প্রতিশোধের, আর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ফল পুনরাবৃত্তির। কিন্তু কোনটাই হয়নি। তবে এ ড্রয়ে রাসেলই হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় কোয়ার্টারে তারা খেলবে ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে। আর গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ২৭ ফেব্রুয়ারি খেলবে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে। রাসেল-মুক্তির উভয় দলেরই ২ খেলায় সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। কিন্তু রাসেলের গোল মুক্তির চেয়ে একটি বেশি। তাই গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকাতেই গ্রুপসেরা হলো রাসেল (গ্রুপ ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে রাসেল ৫-০ গোলে, আর মুক্তি ৪-০ গোলে হারায়)। প্রথম ম্যাচে বারিধারাকে হারানোয় রাসেলের ক্লাব চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর ৫ লাখ টাকা বোনাস দেন ফুটবলারদের। আনভীর আশা প্রকাশ করেন, ‘শুরুর এ পারফর্মেন্স যেন শেষ পর্যন্ত বজায় রেখে মিঠুনরা ফেডারেশন কাপ শিরোপা জিততে পারেন।’ সেই একই আসর, একই ভেন্যু, একই গ্রুপ এবং একই প্রতিপক্ষ। কিন্তু ফল ভিন্ন। মৌসুম-সূচক ফুটবল টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ ২০১৩-১৪ আসরে গ্রুপ ‘বি’তে ছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০১৩ সালের ২৬ নবেম্বর অনুষ্ঠিত সেই গ্রুপ ম্যাচে নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এলেটা কিংসলের দেয়া গোলে ২০১২ আসরের ফেডারেশন কাপ শিরোপাধারী মারুফুল হকের দল শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শফিকুল ইসলাম মানিকের দল মুক্তিযোদ্ধা। গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছিল রাসেল। পরে ওই আসরে রানার্সআপ হয়েছিল মুক্তি। ফাইনালে শেখ জামাল ধানম-ির কাছে তারা হেরেছিল ১-০ গোলে। মজার বিষয় হচ্ছেÑ এবারের ফেডারেশন কাপেও একই গ্রুপে পড়েছে মুক্তি-রাসেল। গ্রুপও সেই একই ‘বি’! সেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই মুক্তি-রাসেল দ্বৈরথ হয় রবিবার। গত আসরের মুক্তি-রাসেলের ওই ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘেঁটে এমনই মজার তথ্য পাওয়া গেল। ফলে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে সঞ্চার হতেই পারে কৌতূহলের। কেউ বলছিলেন, গত আসরের ওই ম্যাচের হারের প্রতিশোধটা কড়ায়-গ-ায় নিয়ে নেবে ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল শিরোপা জেতা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কেননা, শুরু হওয়া মৌসুমে রাসেল অনেক শক্তিশালী দল গড়েছে। তাদের দলে আছে জাতীয় ফুটবল দলের ১২ ফুটবলার। এক্ষেত্রে একমাত্র শেখ জামাল ধানম-িই তাদের চেয়ে একটু এগিয়ে (১৪)। এবারের টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে যে দুটি দলের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে, তারা হচ্ছে শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। রাসেল এবার অনেক ব্যালান্সড টিম। সম্প্রতি রাসেল উজবেকিস্তান গিয়ে এএফসি কাপের বাছাইপর্ব (দ্বিতীয় রাউন্ড) খেলে এসেছে। হারলেও দলটি ভাল খেলেছে। খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি ও ফিজিক্যাল ফিটনেস ভাল পর্যায়েই আছে। সেটাই আত্মবিশ্বাসের মূল কারণ মন্টেনিগ্রোর কোচ ড্রাগান ডুকানোভিচের শিষ্যদের।
×