অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের পুষ্টির চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ শিল্পের মাধ্যমে ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনে নতুন এক দিগন্ত শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব সফলতা এসেছে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি প্রদর্শনী ও সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মাইক রবসন।
প্রদর্শনীতে ২৯৭টি স্টলের মধ্য প্রথম স্থান অর্জন করে এসিআই এনিমেল হেলথ। এ ছাড়া দ্বিতীয় রেনেটা এ্যানিমেল হেলথ ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে ফ্যাকো পোল্ট্রি ইকুইপমেন্ট।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা।
মাইক রবসন বলেন, এ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে দুই বছর বেশ বেগ পেতে হয়েছে এ শিল্পকে। তবে সবকিছু কাটিয়ে এখন আবার তারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি, তাদের এ সফলতায়। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, খাদ্যের নিরাপত্তাকে সামনে রেখেই আমরা পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে চাই। ইতোমধ্যে পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী মাংস ও ডিমের উৎপাদনে অনেক বেশি এগিয়েছি। ভবিষ্যতে এর প্রসারতা বিস্তৃতির জন্য সরকারী ও বেসরকারী উভয় সেক্টরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. ই এন সিলভা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করে এ শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সূচনা বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হক ও সবশেষে ধন্যবাদ দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসাইন।
আয়োজকরা জানান, আগামী ২০১৭ সালে দশম বারের মতো বৃহৎ পরিসরে এ পোল্ট্রি প্রদর্শনী ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি স্টলকে সনদপত্র দেয়া হয়।
পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পোল্ট্রি শিল্প
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: