ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় দগ্ধদের প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বগুড়ায় দগ্ধদের প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ চলমান জীবনের চাকা বন্ধ হয়ে সংসারের চরম কষ্ট সইতে না পেরে গাড়ির চাকা সচল করে পথে নেমেছিলেন ট্রাক চালক আব্দুল কাদের (৩৭) ও হেল্পার লিটন কাজী (২৫)। ওদের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রাম যথাক্রমে গোপালপুর ও দড়িয়াপুরে। গিয়েছিলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ি কয়লা খনি এলাকায়। ট্রাকে কয়লা ভরে রওনা দিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের দিকে। পথে ভয় যে ছিল না তা নয়। জীবন বাজি রেখে বৌ-বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে শুকনো মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে চলছিল তারা। বগুড়ায় দুর্বৃত্তরা তাদের রুদ্ধ করে দিল পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে। জাতীয় মহাসড়কের ধারে বগুড়ার শাজাহানপুরের বেতগাড়িতে বাবলু ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকের উইন্ড শিল্ডে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গেই চালক ও হেল্পার ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা পায়নি। আগুনে ঝলসে মারাত্মক দগ্ধ হয়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পৌঁছে দেয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত বার্ন ইউনিটে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫ জন। যোগ হয় আরও দু’জন। বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পর সীমিত সাধ্যের বাইরে চিকিৎসা দিতে না পাড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে যাদের পাঠানো হয় তাদের ৪ জন মারা গেছে। এখনও এই শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছে ৮ জন। এই ৮ জনের প্রত্যেককে বৃহস্পতিবার সকালে দশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। হস্তান্তরের সময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন জানালেন এই অর্থ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহায়তা। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক, অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বগুড়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সহায়তার দশ হাজার টাকায় চিকিৎসা পরবর্তী খরচ সামলাবার পর কতটাই বা থাকেব! যন্ত্রণাদগ্ধ দেহে কাতর চিৎকারে দুশ্চিন্তার বলি রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে লিটনের চোখে মুখে।
×