ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি ও জামায়াত নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে

জামালপুরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জামালপুরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ জামালপুরে অবরোধ চলাকালে গাড়ি ও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটপ্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ছবি সম্বলিত সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড, ফেস্টুন ভাংচুরের মামলায় জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র ওয়ারেছ আলী মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপি, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের ৪০ নেতাকর্মীকে আদালত কারাগারে পাঠালেও শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করে তোলার নেতৃত্বদানকারী পৌর মেয়র ওয়ারেছ আলী মামুন ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুণ অর রশিদ এখনও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবরোধ চলাকালে ২৪ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা জামালপুরের শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তা-ব চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটপ্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ছবি সম্বলিত সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড, ফেস্টুন ভাংচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ মিছিলে নেতৃত্বদানকারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুণ অর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সজিব খানসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৫ ফেব্রয়ারি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে ২৬ নেতাকর্মী জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এদিন পূর্বে জামিনপ্রাপ্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন আদালতে হাজির না হয়ে সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে ৫ ফ্রেবুয়ারি দুটি মামলায় ওয়ারেছ আলী মামুনসহ ১৮ জন জামিন লাভ করেছিলেন। এ দুটি মামলার অভিযুক্ত জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ অন্যরা এখনও আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক রয়েছেন। সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে অনেক সিনিয়র নেতাদের বঞ্চিত করে জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে একক আধিপত্য গড়ে তুলেছিলেন। তার ছত্রচ্ছায়ায় জামায়াত সক্রিয় হয়ে উঠে এবং শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করে তোলার পাঁয়তারা করছেন। তিনি সাংবাদিক না হয়েও জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্য। তিনি প্রেসক্লাবের সদস্য ও জেলা বার সমিতির সদস্য এ পরিচয় ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে আসছেন। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্যতা। এ সুযোগে তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধ সফল করতে কাজ করার পাশাপাশি শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে সরকারদলীয় নেতারা। তারা অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
×