ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ম্যাচ-উইনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান, ট্রফি জয়ের স্বপ্ন ইংলিশ অধিনায়কের

মরগানের খায়েশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মরগানের খায়েশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উদ্বোধনী দিনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে। অসিদের ৩৪২ রানের জবাবে ইংলিশরা সেদিন গুটিয়ে যায় ২৩১ এ। ব্যাট হাতে রানের খাতই খুলতে পারেননি ইয়ন মারগান, সেই ইংল্যান্ড সেনাপতির কণ্ঠে প্রত্যয়ের সুর, বিশ্বকাপে ম্যাচ-উইনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান তিনি! ‘জানি ক্রিকেটে বলে দিয়ে সবকিছু হয় না। তবে দারুণ রকমের আত্মবিশ্বাসী আমি। আগামী ম্যাচগুলোতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই, ম্যাচ-উইনার পারফর্মারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাই।’ বলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। কাজটা তার জন্য সহজ হবে না। শেষ পাঁচ ওয়ানডে ইনিংসের চারটিতেই ‘ডাক’; ০, ২, ০, ০ ও ০Ñ ব্যাট হাতে হতশ্রী অবস্থা! মরগানের অনুপ্রেরণা হতে পারে বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাঁকানো দুরন্ত সেই সেঞ্চুরি (১২১)। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে টপকে যেখানে ফাইনালে খেলেছিল তার দল। শুক্রবার ফেবারিট নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইংলিশরা। ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভাল খেলতে পারিনি। কিন্তু ওটা ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচ- রকমের আশাবাদী মানুষ। ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেও ফাইনালে খেলেছি, তার আগে হারিয়েছি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে। নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই। প্রয়োজন কেবল একসঙ্গে জ্বলে ওঠা। এবারের আসরে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রান উঠছে। ব্যাটসম্যানদের বড় স্কোর গড়তে আমি সামনে থাকতে চাই।’ বলেন হুট করেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের নেতা বনে যাওয়া এই তারকা। কেভিন পিটারসেন-দ্বন্দ্ব, এ্যালেক স্টুয়ার্টের অবসরের পরই ইংল্যান্ড দলের কর্ণধার করে গড়ে তোলা হয়েছিল এ্যালিস্টার কুককে। বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মাঠের ব্যর্থতায় সেই কুককে নেতৃত্ব তো বটেই, ছেটে ফেলা হয় বিশ্বকাপে দল থেকে! আচমকা অধিনায়কের মুকুট ওঠে মরগানের মাথায়। ত্রিদেশীয় সিরিজে ঝলকের ইঙ্গিত দিলেও বিশ্বকাপে ইংলিশদের সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। ‘আমি সঠিক ট্র্যাকেই আছি। গত কয়েকটি ম্যাচে তাকালে দেখবেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়েছি। রানে ফিরতে তাই আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। সামনের ম্যাচগুলোতেই সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নিতে পারব।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বড় পরীক্ষা হবে বলেও স্বীকার করেন মরগান, ‘আমি মনে করি এই ম্যাচ দিয়েই অনেক কিছু জানা যাবে। কেননা খেলোয়াড়দের জন্য এটা বড় পরীক্ষা। তবে মঈন আলী এখন তার সেরা ফর্মে রয়েছে। এটা অবশ্যই তার জন্য বিশেষ সুবিধা। এছাড়া জো রুট এবং জেমস টেইলরও পারফর্মেন্স করছে নিয়মিত। আমি নিজেও রানে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী। আমরা যদি সকলেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, স্কোর বোর্ডে ভাল রান উপহার দিতে পারি তাহলে জয় পেতে সমস্যা হবে না। বেশ কিছুদিন হলো আমরা এখানে (অস্ট্রেলিয়া) আসার পর থেকে অনেক ম্যাচ খেলেছি। যেখানে অনেকেরই ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স চমৎকার। বিশেষ করে ইয়ান বেল তো তার সেরা ফর্মে।’ প্রথম ম্যাচে ৩৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। সর্বোপরি বিশ্বকাপ নিয়েও দারুণ রকমের আশাবাদী নয় বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৬ ওয়ানডে খেলা মরগান। ‘অস্ট্রেরিয়ায় আমরা বিশ্বকাপ জিততে এসেছি। আমাদের সেরাটা দিতে পারলে আমরা এই বিশ্বকাপ জিততে পারব।’ ইংলিশদের এবারের বিশ্বকাপ দল নিয়েও বেশ আশাবাদী মরগান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের খেলোয়াড়দের প্রতিভা বলে বোঝানো যাবে না। আমি যতদিন দলে আছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রতিভাবান দল! দারুণ সম্ভাবনাময় দলটির হয়ে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই।’ বিশ্বজয়ের মাহাত্ম বোঝাতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্ভবত ক্যারিয়ারে আপনি এক থেকে দুইবার বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগ বিশাল ব্যাপার। ছেলেরা এখন সে দিকেই তাকিয়ে।’ ইংলিশ অধিনায়কের আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ। উত্তর মিলবে সময়েই, ইংলিশদের বড় পরীক্ষাটা হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ড-ম্যাচেই!
×