স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলমান ‘ফেডারেশন কাপ’-এ ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ খেলায় দুটি গোলই করেন হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড জাবালোস সোরবা। তিনি হাঙ্গেরিয়ান শীর্ষ লীগের সাতবারের চ্যাম্পিয়ন দেব্রেসেনি ভিএসসির হয়ে পাঁচ বছরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেন। ২০০৯-১০ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে খেলা ক্লাবটির রিজার্ভ বেঞ্চেই অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন তিনি।
নয় বারের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী (১৯৮২, ৮৫, ৮৬, ৮৯, ৯৪, ৯৭, ৯৯, ২০০০, ২০১০) মঙ্গলবার জিতলেও তাদের খেলা মোটেও মন ভরাতে পারেনি গ্যালারিতে উপস্থিত স্বল্পসংখ্যক দর্শকদের। নিষ্প্রাণ এ ম্যাচে ৪০ মিনিটের আগে কোন দলই উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শাণাতে পারেনি। ৪০ মিনিটে আবাহনীর মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও বল মাঠের বাইরে চলে যায়। ৪৪ মিনিটে আবাহনীর গোলের আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে দেন ফরাশগঞ্জের গোলরক্ষক রাফি রহমান। হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড জাবালোসের শট দক্ষতার সঙ্গে আটকে দেন তিনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবাহনী ফরোয়ার্ড আবুল বাতেন কোমলের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন জাবালোস। তীব্র শটে পরাস্ত করেন রাফিকে (১-০)। এরপর আবাহনীর একাধিক আক্রমণ ৬৮ মিনিট পর্যন্ত রুখে দেয় ফরাশগঞ্জ।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোন গোল হয়নি। ইনজুরি সময় বাঁ প্রান্ত থেকে ইমন বাবুর কাটব্যাকে ডান পায়ের দর্শনীয় শটে ফরাশগঞ্জের জাল কাঁপান আবারও সেই জাবালোস (২-০)।
আসর শুরুর আগে আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু বলেছিলেন, ‘দলের খেলোয়াড়রা যদি তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে, তাহলে শিরোপা না জেতার কোন কারণ দেখছি না। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে দরকার ভাগ্যের সহায়তাও। আরও দরকার দর্শক-সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন, যা আমাদের আছে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরাই এ আসরের সেরা। দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু তরুণ খেলোয়াড় নেয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত, তারা ভাল খেলে নিজেদের প্রমাণে সচেষ্ট হবে। এই আসরের জন্য আমাদের দলের প্রস্তুতি সন্তোষজনক হয়েছে বলে মনে করি। জর্জ কোটান কোচ হয়ে আসার পর আবাহনী একাধিক অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে। খেলোয়াড়রা শিরোপা জেতার জন্য শারীরিক-মানসিকভাবে প্রস্তুত আছে।’ কথাকে কাজে কতটা পরিণত করতে পারে আবাহনীর খেলোয়াড়রা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: