ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হরতাল অবরোধে যশোরে চামড়া বাজারে ধস

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হরতাল অবরোধে যশোরে চামড়া বাজারে ধস

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের রাজারহাটের চামড়া ব্যবসায়ীরা ভাল নেই। টানা অবরোধ এবং হরতালে এখানে বেচাকেনা নেই। অবরোধ হরতালের আগে এ বাজারে হাটের দিন কোটি টাকার বেচাকেনা হলেও এখন বেচাকেনা হচ্ছে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। ফলে পুঁজি হারাতে বসেছে এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাট। কিন্তু টানা অবরোধ এবং হরতালে চামড়ার মোকাম রাজারহাটে পাইকারি ক্রেতা ও ট্যানারি প্রতিনিধিরা না আসার কারণে বেচাকেনায় ধস নেমেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হরতাল-অবরোধের আগে মোকামের প্রতিহাটে কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার চামড়া বেচাকেনা হতো। সেখানে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে বাজার সংশ্লিষ্ট খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের। রাজারহাট চামড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মালেক বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোর, খুলনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা এই হাটে চামড়া বিক্রি করেন। এসব খুচরা বিক্রেতাদের কেন্দ্র করে রাজারহাটে ৪০ থেকে ৫০টি স্থায়ী আড়ত গড়ে উঠেছে। এছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, নাটোর, পাবনা ও ঈশ্বরদী এলাকা থেকে অন্তত ২০ জন পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি প্রতিনিধি রাজারহাটে আসেন। তবে, হরতাল-অবরোধের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি প্রতিনিধিরা মোকামে আসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে ঢাকায় চামড়া পাঠাতে গেলে যানবাহনের ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে। তবুও ভালো দাম পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। এতে খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা পড়েছেন মহাবিপাকে। সাতক্ষীরার বাসিন্দা ও রাজারহাট চামড়া মোকামের স্থায়ী আড়তদার মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহিন বলেন, কোরবানির হাটে যেসব চামড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদের বাকিতে দিয়েছি। সেসব মহাজনরা ‘হরতাল-অবরোধে বিদেশী বায়ার আসছে না’ অজুহাত দেখিয়ে ঠিকমতো টাকা দিচ্ছে না। এতে প্রত্যেক আড়তদার ব্যাংক লোনের টাকা না দিতে পেরে সুদ গুণতে বাধ্য হচ্ছে। আগে তিনি প্রতিহাটে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার চামড়া কেনাবেচা করতেন। বর্তমানে ৫০ হাজারও কেনাবেচা হচ্ছে না। চামড়া কিনতে আসা আলীম এ্যান্ড সন্সের ম্যানেজার বাহারুল ইসলাম জানান, অবিলম্বে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে চামড়া ব্যবসায়ীরা পথে বসবে। কারণ, বিদেশ থেকে বায়াররা আসছে না বলে মূলবাজারে কেনাবেচা হচ্ছে না।
×