ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জরিপ রিপোর্ট

মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা অর্ধেকে

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা অর্ধেকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত এক জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ তে মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০১২ তে এই হার ছিল শতকরায় চারজন। পরের বছর এ হার কমে দাঁড়ায় শতকরা দুইজনে। ইতোমধ্যে দেশের ৯০ ভাগ খানায় নিরাপদ পানির উৎসও নিশ্চিত হয়েছে। কৃষি ও অকৃষি উভয় পেশায় শ্রমিকের মজুরির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের ফলে নারীর পুষ্টির অবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে। ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং জিংক গ্রহণ উভয়েরই আনুপাতিক হার ২০১২ এর তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি : ২০১৩’ প্রতিবেদন প্রকাশকালে ‘স্টেকহোল্ডার মিটিং’-এ এসব তথ্য জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি নিউট্রিশনাল সারভিল্যান্স প্রজেক্ট (এফএসএনএসপি)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস প্রি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ যৌথভাবে ওই প্রজেক্ট পরিচালনা করে। এফএসএনএসপি ২০১৩ সালে মোট ২২,৮৯৬টি খানায় ওই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। জরিপে ১৯-৪৯ বছর বয়সী ১৯,০১৩ জন নারী এবং ১০-১৮ বছর বয়সী ৪,২৬৩ জন কিশোরীর সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনকি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ থেকেও আমরা এগিয়ে। দেশে পুষ্টি ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। পূর্বের অবস্থা এখন আর নেই। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানে আমাদের যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। দেশ ক্রমশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলছে। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে জ্বালাও পোড়াও-এর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেশে নানা ধরনের উপদ্রব ছিল, আশা করি তা আর থাকবে না। দেশের তরুণ প্রজন্ম রাজনৈতিক উপদ্রব মানতে নারাজ। শুক্রবার ফাল্গুনের প্রথম দিনে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। দেশের উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের, দেশটাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়া আমদেরই দায়িত্ব। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশীরা আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করে যাচ্ছে। তাদের আমরা সেই মূল্যায়ন করে আসছি। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যা একান্ত আমাদের। আশা করি এসব বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। তাদেরও সেই বিবেকবোধ রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে চমৎকার এই গবেষণায় সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে অত্যন্ত গর্ববোধ করেছেন জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফাস্ট সেক্রেটারি গঞ্জেলা সিনেরা বলেন, বাংলাদেশের পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে এই কার্যকর গবেষণাটি ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণ ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়নে সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
×