ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

জ্বালাও পোড়াও আর নয়

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জ্বালাও পোড়াও আর নয়

দেশের চলমান সঙ্কট সম্পর্কে দেশবাসী সকলেই অবগত আছেন। ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারাদেশে অচলাবস্থা শুরু হয় এবং অবরোধের সঙ্গে মাঝে মধ্যে হরতালও হচ্ছে। সবমিলে সারাদেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট নিরসনের জন্য টিভি টকশো, নাইটশো, ইত্যাদিতে ঢাকাবাসী বুদ্ধিজীবীরা সংলাপ ও আলোচনার কথা বলেছেন। আপনারা কোন অবস্থান থেকে এসব কথা বলছেন? আগে আপনাদের নিজ নিজ অবস্থান নিশ্চিত করেন। তারপর নিজে বিবেচনা করে দেখুন আপনি কোন দিকে নিজেকে নেবেন। এখন যারা টিভি টকশো, নাইটশো ইত্যাদিতে আলোচনা সমঝোতার নছিয়ত করে তা কি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতা করার কথা বলছেন? যদি তাই হয় তা হলে নীতি নৈতিকথা আর রইল কোথায়। ’৭১ হলো বাঙালী জাতির মূল চেতনা। যারা বাঙালীর মূল চেতনা বিশ্বাস করে না যারা ৪৭ -এর চেতনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর তাদের সঙ্গে কিসের ভিত্তিতে আলোচন হবে। অতএব তাদের এই অশুভ উদ্দেশ্যকে মূল্যায়ন না করে একতরফা সমঝোতা, আলোচনার কথা বলা মানেই হচ্ছে ’৭১-এর ঘাতকদের রক্ষা করার নামান্তর। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে যারা জঙ্গী কর্মসূচী দিয়ে নাশকতা চালায়, হরতাল অবরোধের নামে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে, তা কোনভাবেই কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী হতে পারে না। যারা জঙ্গীবাদী কর্মসূচী দিয়ে মানুষ পুড়ায়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে আলোচনা বা সমঝোতা করা কোন নৈতিকতায় পরে না। তাছাড়া সব বিষয় আলোচনা বা সমঝোতায় হয় না। কিছু বিষয় আছে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার। অতএব লুটপাটতন্ত্র ও জঙ্গীবাদ স্থায়ীভাবে দমনের জন্য যা যা করণীয়, সরকার তাই করবে এটাই দেশবাসীর কাম্য। আমিনূর রশীদ বাবর মৌলভীবাজার। বেগম রোকেয়াতে দীপগুলো জ্বলে উঠুক উত্তর জনপদের জনগণের অনেকদিনের দাবি হিসেবে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে নাম পরিবর্তিত হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। রংপুর বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় এই বিশ্ববিদ্যালয় অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালটি। বিগত প্রায় এক বছর বিভিন্ন সমস্যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। পদোন্নতির দাবি জানিয়ে কয়েক মাস ধরেই আন্দোলনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ১০ জন শিক্ষকের পদত্যাগের মাধ্যমে দুইটি হলের প্রভোস্ট, পরীক্ষানিয়ন্ত্রক, দুইটি অনুষদে ডিন এবং ১১টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য হয়। আবারও সঙ্কট ঘণীভূত হয় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। একদিকে সব প্রশাসনিক পদ থেকে শিক্ষকদের পদত্যাগ, অন্যদিকে উপাচার্য ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ায় সঙ্কটে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকদের আন্দোলন আর প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের কারণে সৃষ্ট জটিলতায়, রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন উপাচার্য। শুধু তাই নয়, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল অন্তর্ভুক্তির নতুন হল ফি বাড়ানো হয়। আভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফিও ৩৫ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। সত্যিই এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা! রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা আকাক্সক্ষা, দাবি ও আন্দোলনের ফসল একটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য অনশন শুরু হয়েছে। উত্তরঙ্গের মঙ্গাপীড়িত মানুষদের উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ছিল। সরকার আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন দ্রুত সঙ্কট নিরসন হবেÑ এ প্রত্যাশাই করি। ড. মুসতাক আহমেদ সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি। রাজনৈতিক মহল সমীপে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের, ৫ তারিখটি বাংলাদেশের বর্তমান ইতিহাসে একটি বহুল আলোচিত, বিতর্কিতদিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে, সচেতন মহলের অভিমত। চলমান অসুস্থ রাজনীতির ময়দানে এক পক্ষের মতে, দিনটি গণতন্ত্র দিবস, অপরপক্ষের মতে গণতন্ত্র হত্যাদিবস। শান্তিপ্রিয় তৃতীয় পক্ষ দেশের সর্বস্তরের জনগণের মতে, দিবসটির আতঙ্ক, ভয়ভীতির যন্ত্রণা দিবস। কিন্তু, কেন? দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো, ক্ষমতা রক্ষা ও ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় দেশব্যাপী সহিংস, ধংসাত্মক কর্মসূচী, যানবাহন পোড়ানো, জনগণকে পুড়িয়ে মারার মানবতাবিরোধী অপরাজনীতি দেশকে কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে তা ভাবলে শিহরিয়া উঠতে হয়। বুদ্ধিজীবী মহলের মতে, সঙ্কট নিরসনে সংলাপে বসা। কিন্তু কার সঙ্গে কে সংলাপে বসবে, কেউ কারও নাহি মানে সমানে সমান, এমতাবস্থায় সংলাপ প্রলাপে পরিণত হবে। জাতীয় সার্থে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ভেবে দেখবেন কী? মুর্শেদউদ্দিন বাদশা মিয়া চকবাজার, ঢাকা। আশা-নিরাশার গ্রন্থমেলা মহান একুশে গ্রন্থমেলা। নানা কারণে বাঙালী জাতীয় জীবনে এবং বাঙালীমননে অত্যধিক তাৎপর্যময়। আগ্রহী গ্রন্থপ্রেমী, লেখক, প্রকাশক, দর্শক, ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই তাকিয়ে থাকে একুশে গ্রন্থমেলার দিকে। গ্রন্থমেলার একটি বিশেষ দিক হলো, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তারুণ্যের উপস্থিতি ও তাঁদের বই কেনা। এবার উত্তপ্ত রাজনৈতিক কারণে গ্রন্থমেলা নিয়ে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের হতাশা, উদ্বেগ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক দুরবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বা চলমান থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব গ্রন্থমেলার ওপর দারুণভাবে পড়বে। কেননা মেলার মূল আকর্ষণ দর্শনার্থী ও ক্রেতারা। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে লেখক, প্রকাশক ও আয়োজকদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণ হবে না। শুধু তাই নয়, এতে আমরাও হারাবো অনেক কিছু। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক দুরবস্থা কেটে যাক। রাজনীতির নীতি-নির্ধারকদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। এমন অনেককেই আমি দেখেছি যারা সারা বছর বই কেনে না, কিন্তু গ্রন্থমেলায় গিয়ে দু’হাত ভরে অকৃপণভাবে বই কেনে। এভাবেও অসংখ্য বইপড়–য়া তৈরি হয়। আর যারা অনুসন্ধিৎসু পাঠক তাদের জন্য গ্রন্থমেলা তো বহুল প্রত্যাশিত। তাই গ্রন্থমেলাকে রাজনীতির বাইরে রাখার ব্যাপারে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। সম্প্রতি ফেসবুকে নতুন নতুন গ্রন্থের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ছে প্রতিনিয়ত। অধিক পরিমাণে গ্রন্থ প্রকাশ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক একটি দিক। তবে এখানে দু-একটি কথা বলার অবকাশ থাকে। আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের সহজলভ্যতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রন্থ প্রকাশ করা অনেকটা সহজ হয়ে পড়েছে। তাই মানবিচার করে গ্রন্থগুলো প্রকাশিত হচ্ছে এমনটি বলা যাবে না। সাম্প্রতিক অনেক গ্রন্থের নামকরণে এবং নামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রচ্ছদ নির্বাচনে গ্রন্থকারের তেমন কোনো মুনশিয়ানা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, প্রকাশের জন্যই প্রকাশ করা। ক্ষেত্রবিশেষে মনে হচ্ছে, গ্রন্থ প্রকাশের হিড়িক লেগেছে। তবে এদের মধ্যে নামকরণ এবং প্রচ্ছদ নির্বাচনে অনেকের শৈল্পিক ভাবনার ছাপ স্পষ্ট। সম্প্রতি নবীন দু-একজন লেখকের বই পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তাঁদের অনেককেই প্রতিশ্রুতিশীল লেখক হিসেবে মনে হয়েছে। তবে নবীনদের অনেককেই নিছক প্রচারমুখী বলেও মনে হয়েছে। সবকিছুর উর্ধে নবীন লেখকদের গ্রন্থ প্রকাশ অব্যাহত থাকুক। এভাবেই বাংলা সাহিত্যে ওঠে আসুক প্রতিশ্রুতিশীল লেখক, কবি, প্রবন্ধকার, গল্পকার ও সমালোচক। সর্বোপরি প্রত্যাশা করি, প্রতিশ্রুতিশীল ও নবীন লেখক এবং মানসম্মত গ্রন্থ সমাদৃত হোক সর্বত্র। জয়তু, গ্রন্থমেলা-২০১৫। মোহাম্মদ শরীফ সংযড়ৎরভ৯৮@মসধরষ.পড়স ‘দি ওয়ার ইজ নট ওভার’ বাস্তবতা তাই বলে, ১৯৭১ সালে যে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, তার সমাপ্তি ঘটেনি। নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার আলবদর, আলশামস পরাজয় বরণ করে। তাবেদার পূর্ব পাকিস্তান সরকার পদত্যাগ করে পার পায়নি। কয়েকজন ধরা পড়ে, বিচারে জেল হয়। পরাজিত হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছিল। তবে জামায়াতে ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী সংগঠন আলবদরের ঘাতক দল পালিয়ে যায়। অনেকে পাক হানাদারদের সঙ্গেই আত্মসমর্পণ করে, পরে পাকিস্তানে চলে যায়। এর মধ্যে জামায়াত ও আলবদর বাহিনীর অনেক নেতা পরাজয়ের আগে পাকিস্তানে চলে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এরা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। রাজাকারদের পুনর্বাসনের কাজটি করেন সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানী নাগরিক গোলাম আজমকে (যার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল)। বাংলাদেশে প্রবেশ এবং রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। গোলাম আযম ১৯৭২ সাল থেকেই পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারে ইসলামী দেশগুলোতে সফর করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান। এসব দেশ হতে বিস্তর অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেন। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিও তাই। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা এখন পেট্রোলবোমা মেরে একাত্তরের মতো হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এ খাতেও তারা প্রচুর অর্থব্যয় করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গীদের প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে দেশকে তারা ধ্বংস করতে চায়। এরা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভারতের বিরুদ্ধে একাত্তরের মতোই তাদের অবস্থান। ভারতীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে বিএনপির সঙ্গে গলা মিলিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে। তাদের প্রতিরোধে তাই একাত্তরের মতো লড়তে হবে। কারণ যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। গত সোমবার প্রকাশিত উপসম্পাদকীয় ‘পূর্বপাকিস্তান পুনরুদ্ধারের প্রকল্প’ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন জাফর ওয়াজেদ। এ নিয়ে আরও বিশদ লেখা জরুরী, নির্বিকার জনগণকে সোচ্চার করতে। নাদিরুজ্জামান ২৫/২ পূর্ব রামপুরা , ঢাকা। হরতালে বিপন্ন পরীক্ষার্থীরা দানবীয় হরতাল ও অবরোধের কবলে দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার্থীরা। নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার ছাত্রছাত্রীরা। হরতাল-অবরোধ জনতার আন্দোলনের অধিকার বলেন, আর মানুষ খেকো মারণাস্ত্রই বলেন, সব সময় এই অস্ত্র প্রয়োগ শোভনীয় নয়। হরতাল-অবরোধ যদি মানুষের নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে, তাহলে কোমলমতি প্রায় ১৫ লাখ ছাত্রছাত্রী নির্ভয়হীনভাবে বা আতঙ্কহীন অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অধিকার রাখে না? তা জানতে চায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনবিশারদ, বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজপতিদের কাছে। যারা অনবরত গলাবাজি করেন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য মায়া কান্না করেন, তাদের কাছে জাতি জানতে চায়। বাঁচার জন্য মানুষের নির্বিগ্নে চলাফেরা করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কিনা? আমরা সাধারণ মানুষ জানতে চাই, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-, এই সর্বজনীন শব্দটি সরকারে এবং সরকারের বাইরে যারা আছেন, সবাই এই সেøাগান ব্যবহার করি। হরতাল এবং অবরোধ দিয়ে শিক্ষাকে ধ্বংস করার জন্য, জাতিকে মেরুদ-হীন করার জন্য যারা তৎপর তাদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ, পরীক্ষাকালীন যেন আর কোন হরতাল বা তথাকথিত অবরোধ দেয়া না হয়। আশা করি ২০ দলীয় জোটের নেতারা জনগণের তথা ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী এবং ৩০ লাখ বাবা-মায়ের আকুতির প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করবেন। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। পেট্রোলবোমা মারছে কারা? বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলছেন, তাঁর দলের এমনকি তথাকথিত ২০ দলের কেউই নাকি বাসে পেট্রোলবোমা মারছে না, সহিংস রাজনীতি করছে না। পেট্রোলবোমা কি তাহলে ভিনগ্রহ থেকে এলিয়েনরা এসে মারছে? তিনি নির্বোধের মতো ‘এসব সরকারী দলের কাজ’ বলে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। আচ্ছা কেউ কি নিজের ঘরে নিজে আগুন লাগায়? কতটা অজ্ঞানী হলে মানুষ এমন যুক্তিহীন কথা বলতে পারে। ইন্টারনেট, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার বদৌলতে দেশবাসী জানতে পেরেছে এ পর্যন্ত যতজন সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পরেছে এবং মারা পরেছে। তারা সব বিএনপি-জামায়াতের পালিত সন্ত্রসী। এমনকি কে কার ইন্ধনে পেট্রোলবোমা মারছে, গাড়ি পুড়ছে সে তথ্যও তারা প্রকাশ করেছে। তারপরও খালেদা জিয়া কিসের ভিত্তিতে এমন প্রলাপ বকছেন। একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। বরং তিনি যদি বলতেন, পেট্রোলবোমা ভিনগ্রহ থেকে এলিয়েনরা এসে মারছে, তাহলেও মানুষ বিশ্বাস করত। কিন্তু তিনি কথা বলছেন কাকের মতো চোখ বুঁজে। আর অযথা মিথ্যা কথা না বলে, নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি না খেলে, বিবেকের তাড়নায়, এমনকি অকাল প্রয়াত ছোট ছেলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এখনই এই নৃশংস হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন। মানুষের জীবনের মূল্যায়ন করুন, তাহলেই জনগণের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হবেন। না হয় এই সন্তানহারা বাবা-মায়ের মতো আপনাকেও সারা জীবন কঁাঁদতে হবে। মিলন সরকার কুড়িল বিশ্বরোড়, ঢাকা। বঙ্গবন্ধু জানতে ইতিহাস পাঠ ইতিহাস, বামে-ডানে, ওপরে-নিচে কোন শব্দ নেই। ইতিহাস মাত্র একটি শব্দ হলেও ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত। সারা বিশ্বে শব্দটির পদচারণা। শব্দটির ভেতরে মান-সম্মান, কৃতী ও কৃতিত্ব অবস্থান করছে। শব্দটির বাম-ডান, ওপরে-নিচে নানা দেশ, অসংখ্য জাতি বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ শ্রেণী পেশার মানুষ যাওয়া আসা করছে। কালো, অন্ধকার, কুৎসিত মীরজাফরদের বংশধর শব্দটিকে বিকৃত করে আসছে। ‘ইতিহাস’ শব্দটি নিয়ে গুণীজনরা গর্ব করেন। বিপরীত ধারার ব্যক্তিরা ব্যাঙ্গ করেন। খিলখিল করে দাঁত বের করে হাসেন। অজ্ঞ, অনবিজ্ঞ, অসভ্য ও অহঙ্ককারীরা নানা অর্থে নামকরণ করে। কালো শ্রেণী ইতিহাসের নাম জানে না। কোথায় থাকে জানে না। দেখতে কেমন মরমার্থ বোঝে না। ব্যক্তির ইতিহাস পরিণত হয় বিশ্ব ইতিহাসে। মানব সেবায় আত্মনিয়োগ, পরাধীনতা হতে নির্যাতিত জনগণকে মুক্ত করে স্বাধীনরাষ্ট্র উপহার দেয়া, কৃতী-কৃতিত্ব, কর্ম ও মেধাকে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তির ইতিহাস পরিণত হয় বিশ্ব ইতিহাসে। বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক পৃথক রাষ্ট্র উপহার দিয়ে জাতির পিতার সম্মানে আসীন হয়ে বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম সারিতে স্থান লাভ করেছেন। মহানায়ক নিজ কর্ম ও গুণাবলীর মাধ্যমে বিশ্ব নেতার মর্যাদা লাভ করে বিশ্ব ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন। তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, তিনি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার মহানায়ক। ইতিহাসের নাম বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। ইতিহাসের জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে। ইতিহাসের ভাষা বাংলা ভাষা, বাঙালী জাতির ইতিহাসের নাম শেখ মুজিবর রহমান যিনি বাঙালীর জাতির পিতা। কালো পাতায় লিপিবদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে লেখা ইতিহাসের নাম কালো ইতিহাস। যুদ্ধাপরাধীদের নাম ও কুকর্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ থাকবে কালো ইতিহাসে, স্বাধীনতার বানোয়াট দাবিদার মেজর জিয়ার স্ত্রী ও পুত্র এবং তাদের দোসর এবং সমর্থনকারীদের নাম লিপিবদ্ধ থাকবে সেই কালো ইতিহাসের কালো পাতায়। প্রয়াত মেজর জিয়া জীবদ্দশায় কখনও অনুরূপ ডাহা মিথ্যা ও কাল্পনিক দাবি করেন নাই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের একজন খ্যাতিমান পাঠক। তিনি বঙ্গবন্ধুর সম্মানে সম্মানিত। তারেক জিয়া যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন তেমনিভাবে বেগম জিয়া ও দোসরদের দায়িত্ব সেই কাজটি করে মহত্ত্বের খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করুণ। বাংলা একাডেমিতে আসুন। জাতির পিতার ইতিহাস পড়ুন। বিশ্ব ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখুন, জানুন এবং বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধা করুন। মেছের আলী শ্রীনগর।
×