ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

উবাচ

নবিস সাকা-সালাউদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছেন, হাসিনাপুত্র জয় অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে মুজিববংশীয় রক্তের প্রতিধ্বনি করেছেন। রাজনীতির পাঠশালায় বাল্যশিক্ষা শ্রেণী অতিক্রম করার আগেই ভাষণ দেয়া শুভ লক্ষণ নয়। জয় সাহেবের মাতার পিতা মুজিবের রক্ষীবাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞে পুরো বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল। এককালে নানা ধরনের বোলচালে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতেন চট্টগ্রামের সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা। যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাকা বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। তার আপীল আবেদনও ঝুলে আছে। এখন আসরে নেমেছেন এক নবিস সাকা -সালাউদ্দিন আহমেদ। আবোলতাবোল কথা বলে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অজ্ঞাত স্থান থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দলবাজ কর্মকর্তার নৃশংসতায় আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের লাশের স্তূপ উঁচু হচ্ছে। গুম-খুন-অপহরণ আর গণগ্রেফতারে সারাদেশ আজ বিস্ফোরণোন্মুখ। দলবাজ কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাই, অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। জনগণের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে নিজেদের দাঁড় করাবেন না। বিজাতীয় শত্রুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গণতন্ত্রে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের ফুটপাতেও বসার অধিকার নেই। ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দলননীতি অবলম্বন করাই আওয়ামী রাজনীতির রোডম্যাপ। জাতির বরেণ্য ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের অবজ্ঞা ও অপমান করেছে আওয়ামী লীগ ও তার নেত্রী শেখ হাসিনা। মানবিক এরশাদ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলঙ্কের দাগ যতই থাক এবার দেশ ও মানুষকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে সহিংসতা, পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সহিংস কর্মকা-ের। এর মধ্যে দিয়ে ‘মানবিক এরশাদ’-এর পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তিনি। বুধবার দলের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, হত্যার রাজনীতি, প্রকৃত রাজনীতিকে হত্যা করছে। যাদের কাছে মানুষ রাজনৈতিক নেতারা ভোট ভিক্ষা করি তারা আজ আমাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে। বলছে, আমাদের বাঁচাও, পেট্রোলবোমা মেরো না। হত্যা করো না। কিন্তু তাদের এ আকুতি অবরোধকারীদের হুদয় স্পর্শ করে না। শিশুদের কান্না তাদের মন গলাতে পারে না। উদ্দেশ্য কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া। মানুষ প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে, পাচ্ছে না! আমরা প্রজাতন্ত্রের মালিকদের হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চাই। এটা কেমন ক্ষমতায় যাওয়া যায়। ধিক্কার দেই এমন ইচ্ছার। ক্ষমতার মুখে থুথু দেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এটা কি গণতন্ত্রের চিত্র? জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ)- দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে মানুষ দিশেহারা। দেশবাসী যন্ত্রণা আর আশঙ্কার মধ্যে বেঁচে আছেন। আগামীতে কি হবে কেউ যানে না। তিনি বলেন, যাদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হই, ক্ষমতায় যাই-তাদের ওপর এখন অত্যাচার করছি। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। এমন অপরাজনীতি চাই না, সুস্থ ধারার রাজনীতি চাই। ‘কিসের পরীক্ষা‘ বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, তাদের কাছে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নয়, ক্ষমতায় যাওয়া সবচেয়ে বড় বিষয়। আমি মানুষের কল্যাণ ছাড়া রাজনীতি চাই না। সংলাপ কাদের সঙ্গে? স্টাফ রিপোটার ॥ হরতাল অবরোধে সারাদেশে নাশকতা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হাতে নাতে ধরা পড়লেও দায় নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াত। এসব দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অস্বীকার তো করছেনই আবার পুড়ে যাওয়া মানুষকে দেখতে গিয়ে মায়া কান্নাও কেঁদে আসছেন। অর্থাৎ তারা বোঝাতে চাচ্ছেন এমন কাজ তারা করতে পারেন না। এতে বোঝা যাচ্ছে সঙ্কট উত্তরণে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কোন লাভ নেই। এসব ঘটনা যারা ঘটাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি তো এসব সন্ত্রাসী কর্মকা-ের দায় স্বীকার করছে না, তাহলে তাদের সঙ্গে সংলাপ করে তো পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না। এজন্য যারা এইসব কাজ করছে তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে। গত কয়েকদিন ধরেই সুশীল সমাজের সংলাপের আহ্বানের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
×