নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সব নদ-নদীর পানি কমে শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। আকস্মিক পানি শূন্যতায় প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা নৌঘাটগুলোর অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। ইতোমধ্যে অনেক নৌঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। যে সব নৌঘাট এখনও কোন রকমে টিকে রয়েছে সেগুলোরও এখন বেহাল দশা। চ্যানেলের অভাবে নৌযান কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। যে কোন সময় নৌ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মূলত পানি সঙ্কটের কারণে নৌ যোগাযোগ এখন হুমকির মুখে। যে সব রুটে এখনও যান্ত্রিক নৌকাগুলো চলছে জেগে ওঠা চরের কারণে ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে বলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। অপরদিকে ছোট ছোট নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ওইসব নদীতে ইতোপূর্বে স্থাপিত সেচযন্ত্রগুলো এখন পানি সঙ্কটের মুখে পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট সেচযন্ত্রের আওতাধীন বোরো জমি পানির অভাবে এখন শুকিয়ে যাচ্ছে।
নদীগুলো নাব্য হারানোর ফলে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক রুটে যান্ত্রিক নৌকাগুলো চলাচল করতে পারছে না। ব্রহ্মপুত্রে সবচেয়ে বড় ঘাট হচ্ছে বালাসী নৌঘাট। এরপরও এই ঘাট এলাকায় নদী পাড় থেকে ১৭টি রুটে যাত্রবাহী যান্ত্রিক নৌকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে অথচ আগে ৩০টি রুটে এখান থেকে অবাধে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করত।