ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুটি জমে ওঠায় খুশি নেইমার

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জুটি জমে ওঠায় খুশি নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার্সিলোনা। আর এর রূপকার নেইমার-মেসি জুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে লুইস সুয়ারেজের জাদুও। এই তিন তারকার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে ক্যাটালানরা। জুটি দারুণ জমে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক পুরো মৌসুমেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে পরশুর ম্যাচেও গোল পেয়েছেন নেইমার। তবে মিস না করলে আরও গোল পেতে পারতেন। এ কারণে চারদিক থেকে প্রশংসা পাওয়ার পরও কিছুটা আক্ষেপ আছে নেইমারের। ম্যাচটিতে গোল করার ভাল কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেন মাত্র একটি। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে তাই আরও গোল না পাওয়ার হতাশা উচ্চারিত হয়। সাক্ষাতকারে নেইমার বলেন, আমি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে বার বার ব্যর্থ হই। আমার আরও গোল করা উচিত ছিল। তবে আমি আমার গোল এবং দলের জয় নিয়ে খুশি। আমরা এখন শীর্ষ দল থেকে ছোঁয়ার দূরত্বে আছি। নেইমার আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা একটি দল হয়ে খেলছি। বিশেষ করে মেসির সঙ্গে আমার ও সুয়ারেজের বোঝাপড়া দারুণ হচ্ছে। এর ফলও পাচ্ছে দল। সুয়ারেজ, মেসি ও আমিসহ বার্সাকে আরও ভাল কিছু দিতে চাই। এদিকে মেসি ও নেইমারের প্রশংসা করে সুয়ারেজ বলেন, মেসি ও নেইমারের মতো খেলোয়াড়রা সবসময়ই পার্থক্য গড়ে দেবে। আমি তাদের সঙ্গে খেলাটা স্রেফ উপভোগ করি। তাদের সঙ্গে খেলাটা সৌভাগ্যের। ২০১৩ সালে বার্সিলোনায় নাম লেখানোর পর সাক্ষাতকারে নেইমার বলেন, ‘আমি খুব খুশি। ন্যূক্যাম্পে এসে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বার্সিলোনা ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু। এটা আমার ও পরিবারের জন্য দারুণ দিন। শিশুকাল থেকে যাদের খেলা দেখে শিহরিত হয়েছি, এখন তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। ব্যালন ডি অ’র জয় কিংবা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কথা কখনোই ভাবিনি। সেরা খেলোয়াড় এখানেই আছে। সে হলো লিওনেল মেসি। এখন আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারব। তাঁকে ফের সেরা হতে সহায়তা করতে পারব।’ গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ বছরে পা রাখা এই ফরোয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সিলোনার সঙ্গে চুক্তি করার পর ন্যূক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন। স্বপ্ন ছিল ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা। তবে সেটা ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর। এমন কথা অনেকবারই বলেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্টোসে বিস্ফোরক নৈপুণ্য প্রদর্শন করায় ইউরোপের জায়ান্টরা কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ নিয়ে সময়ের অন্যতম সেরা তারকাকে দলভুক্ত করার পরিকল্পনা করে। জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, বেয়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবকে টপকে আগামীর তারকাকে নিজেদের তাঁবুতে ভিড়িয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনা। যে কারণে এখন হরহামেশাই লিওনেল মেসি-নেইমার আকাক্সিক্ষত জুটির দেখা পাচ্ছে ফুটবলবিশ্ব। সঙ্গে যোগ হয়েছে সুয়ারেজের মতো প্রতিভাবান ফুটবলার। এর ফলস্বরূপ বাজে সময় কাটিয়ে সুসময়ে ফিরেছে ক্যাটালানরা। নেইমারের প্রত্যাশা সাফল্যের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
×