ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে পেনাল্টি শূটআউটে ৯-৮ গোলে পরাজিত ঘানা, তৃতীয় ডিআর কঙ্গো

তেইশ বছর পর আফ্রিকা সেরা আইভরিকোস্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তেইশ বছর পর আফ্রিকা সেরা আইভরিকোস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ২৩ বছর পর আফ্রিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল আইভরিকোস্ট। রবিবার রাতে আফ্রিকান নেশন্স কাপ ফুটবলের জমজমাট ফাইনালে আইভরিকোস্ট পেনাল্টি শূটআউটে ৯-৮ গোলে পরাজিত করে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ঘানাকে। নির্ধারিত ৯০ ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটসহ মোট ১২০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য অমীমাংসিত থাকে। এটি আসরে আফ্রিকান হাতিদের দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ১৯৯২ সালে প্রথম ও শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইভরিকোস্ট। সেবারও গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ১১-১০ গোলে জিতেছিল তারা। এদিকে আসরের তৃতীয় স্থান লাভ করেছে ডিআর কঙ্গো। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পেনাল্টি শূটআউটে কঙ্গো ৪-২ গোলে হারায় স্বাগতিক ইকুয়েটোরিয়াল গিনিকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল। ঘানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও শেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৮২ সালে। অর্থাৎ ৩৩ বছর আগে। তাই এক দলের ৩৩ বছরের না অন্য দলের ২৩ বছরের অপেক্ষা এটি ছিল দেখার। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর হাসি হেসেছে আইভরিকোস্ট। ফাইনাল লড়াই হলেও প্রথমার্ধ ছিল অনেকটা ম্যাড়ম্যাড়ে। কোন দলই তেমন স্পষ্ট গোলের সুযোগ পায়নি। বিরতির পর খেলা জমে ওঠে। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ঘানাই। তাদের দুটি গোলের প্রচেষ্টা গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৯০ মিনিট শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এই সময়েও গোল পায়নি কোন দল। এরপর ম্যাচ গড়ায় ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে। ম্যাচে নায়ক বনে যান আইভরিকোস্টের গোলরক্ষক বুবকার ব্যারি। ম্যাচে জয়সূচক গোল করাসহ প্রতিপক্ষের একটি শট ফিরিয়ে দেন তিনি। পেনাল্টি শূটআউটে নিজেদের প্রথম দুটি শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় আইভরিকোস্ট। কিন্তু ঠিকই গোল করে ঘানা। এ সময় মনে হচ্ছিল, ৩৩ বছর অপেক্ষার পর পঞ্চম শিরোপাটি পেতে যাচ্ছে ঘানা। এর পরই শুরু হয় ভাগ্য পরিবর্তন। নিজেদের তৃতীয় ও চতুর্থ শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় ঘানার দুই ফুটবলার। এ সময় গোল করে সমতা ফেরায় আইভরিকোস্ট। ফলে প্রথম পাঁচটি করে শটের পর আবারও অমীমাংসিত থাকে ফলাফল। এরপর দুটি দলই একে একে আরও পাঁচটি করে শট থেকে গোল করে। ফলে ১১ নম্বর শটের প্রয়োজন হয়। এ সময় আইভরিকোস্টের গোলরক্ষক ব্যারি গোল করলেও ব্যর্থ হন ঘানার রাজাক। ফলে শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসে আফ্রিকান হাতিরা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেন রানার্সআপ ঘানার ক্রিশ্চিয়ান আটসু। টুর্নামেন্টের সেরা গোলেরও পুরস্কার পান তিনি। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সুশৃঙ্খল দলের পুরস্কার ফেয়ার প্লে এ্যাওয়ার্ড জয় করে তৃতীয় হওয়া ডিআর কঙ্গে। এর আগে সহজ জয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আইভরিকোস্ট। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে আইভরিকোস্ট ৩-১ গোলে হারায় ডিআর কঙ্গোকে। প্রত্যাশিত শিরোপা জয়ের পর দলটির কোচ হারভে রেনার্ড বলেন, শুরুতে আমাদের নিয়ে অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু আমরা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ফাইনালে নাম লেখায়। যোগ্যতর দল হিসেবেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তবে ঘানা ভাল খেলেছে। তাদের অভিনন্দন। এর আগে ২০১২ সালে জাম্বিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করে সাড়া ফেলেছিলেন রেনার্ড। এবার আরেকবার সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠলেন তিনি।
×