ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে দুলুর নামে মোবাইলে অহি নাজেল!

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

লালমনিরহাটে দুলুর নামে মোবাইলে অহি নাজেল!

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ আত্মগোপনে থেকে লালমনিরহাটে বিএনপি-জামায়াতের তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের মারমুখী আন্দোলন করার নির্দেশ দেয়ার ঘোষণা প্রচার করা হচ্ছে। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে অপপ্রচার করা হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের পতন ঘটবে। গুজব ছড়িয়ে মাঠে নামাতে অপতৎপর হয়ে উঠেছে ২০ দলীয় জোটের সুবিধাভোগী নেতাকর্মীরা। কিন্তু কর্মীরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতায় থাকতে সুবিধাভোগী নেতাকর্মীদের নির্যাতন নিপীড়নের মুখে ফেলে দিয়ে গা বাঁচাতে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে ওরা পালিয়ে গেছে। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় হরতাল অবরোধে সাধারণ মানুষের কোন সাড়া মেলেনি। নেতাকর্মীদেরও মাঠে দেখা যায়নি। শহরে বাস, ট্রাক, টেম্পো, রিক্সা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি চলছে। শহরের শপিংমল, সুপার মার্কেট খোলা ছিল। স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত, এনজিও, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। এদিকে রবিবার রাতে অজ্ঞাত স্থান হতে তৃণমূল বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের আন্দোলন বেগবান করার নির্দেশ দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ও সম্পাদককে ফোন করা হয়েছে। কর্মীদের মধ্যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই সরকারের পতন ঘটবে। লালমনিরহাট শহরের সাপটানা বাজার (মেডিক্যাল মোড়) মাঠ পর্যায়ের বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন জানান, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু ভাই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকদের মোবাইল ফোনে এ খবর জানিয়ে বলেছেন ২১ ফেব্রুয়ারি এ সরকারের পতন ঘটবে। আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ো। হাতীবান্ধার জামায়াত, শিবির, উগ্রমৌলবাদী চক্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও মসজিদে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে, আন্দোলন বেগবান করুন। জামায়াত-শিবির সরকার ও তার বাহিনীকে প্রতিরোধ করবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গেরিলা পদ্ধতিতে যানবাহনে হামলা চলবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের সুসংগঠিত করতে তালিকা তৈরি হচ্ছে। যারা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেবে। তাদের ক্ষমতায় গেলে পুলিশ, কাস্টমস, প্রশাসন, বিজিবি ও সেনাবাহিনীতে লোভনীয় পদে চাকরি দেয়া হবে। তবে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের এসব কথায় তৃণমূল পর্যায়ে কাজ হচ্ছে না। সারাদেশে পেট্রোলবোমা হামলা করে এই পর্যন্ত শিশুসহ ৭২ নিরীহ শ্রমজীবী মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে ওরা। এতে লালমনিরহাটের সাধারণ মানুষ বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। বিএনপি-জামায়াত নেতাদের অজ্ঞাত স্থান হতে ফোন করে আন্দোলন বেগবান ও মারমুখী করার নির্দেশের পর পরই হাতীবান্ধায় ট্রাকে পাথর ছুড়ে মারা হয়।
×