ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির মুখোশ খুলে পড়েছে

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বাংলাদেশের প্রথম সামরিক স্বৈরশাসকের পকেটে জন্ম নেয়া দল বিএনপি আজকের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী অবস্থানে এসেছে। কেবল এদেশের অশিক্ষিত আর ধর্মভীরু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে। পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা এই বিএনপি নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী আলবদরদের রাজাকারদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। বেইমান খন্দকার মোশতাকের আনা ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাস করিয়ে প্রথমেই কোরআন ও হাদিসের বাণীর বিরোধিতা করেছে। যেখানে বলা আছে- হত্যাকারীদের বিচার হবে হত্যাতেই। এর পর তার মতো চরিত্রের কিছুলোক জড়ো করে হেমিলনের বংশী বাদকের মতো বাঁশির সুরে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে হাজারো রকম মিথ্যাচার অপপ্রচার সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের মন বিষিয়ে তোলে। বলা হয়, আওয়ামী লীগ এই দেশ বিক্রি করে দেবে। নৌকায় ভোট দিলে ঈমান থাকবে না। বিসমিল্লাহ থাকবে না। মসজিদÑমাদ্রাসায় তালা লাগবে। মুসলিম মহিলাদের শাখাÑসিঁদুর পরতে হবে। মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনী শোনা যাবে। এমনি আরও হাজারো মিথ্যাচার করে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। অথচ এদের পেছনেই ছুটছে এদেশেরই একদল অর্বাচীন আর জ্ঞান পাপীর দল। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে এদেশে জঙ্গীবাদ বোমাবাজদের মদদ দিয়ে নিরীহ মানুষদের পুড়িয়ে মারছে। যা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী। তা সত্ত্বেও ধর্মভিত্তিক কিছু দল এই হায়নাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এবারের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জমায়েত বিশ্ব এজতেমার সময় মুুসল্লিদের আগমনে সড়ক অবরোধ দিয়ে বাধাগ্রস্ত করেছে। অথচ সেই ধর্মের ধ্বজাধারীদের মুখে টুঁ শব্দটি নেই। যে কারণে প্রকৃত ইমানদারদের কাছে তারা আজ ঘৃণার পাত্র। তাদের মুখোশ খুলে পড়েছে। তাদের ভ-ামি জনগণ ধরে ফেলেছে। তারা প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতাবিরোধী। মুহাম্মদ ওসমান গনি কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা। ম্যাডামের মেয়েই প্রথম হবে শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। আজকের শিশুই আগামীকাল দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। আর এ কারণেই তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও শিশুরা যে কত বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তা বিশ্বাস করা যায় না। ধরা যাক, এ বছরের জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা-২০১৫। গত ১৬ জানুয়ারি মিরপুর শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধানে মিরপুর বাংলা কলেজে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ে শিশুদের বাছাই পর্ব। এখানে থানা পর্যায়ের বিজয়ী শিশুরা অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু গত তিন বছরের মতো এবারেও শিশুদের মধ্যে হতাশা দেখা যায়। নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে একজন খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পীর মেয়ে প্রতিবছরই অংশগ্রহণ করে। এটা কোন দোষের কথা নয়। কিন্তু যখন নিজের মেয়েকে বিচারকদের সামনে নিজেই পরিচয় করিয়ে দিয়ে আসেন তখন বিচারকদের আসনে অধিষ্ঠিত বিচারকদের এই নামকরা নৃত্যশিল্পীর মেয়েকে বিজয়ী ঘোষণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। প্রতিবছরের মতো এ বছরও তার মেয়ে জেলা পর্যায়ে ‘ক’ বিভাগে দুটি বিষয়েই প্রথম হয়েছে। কোন প্রতিযোগীদের তাদের অভিমত জানাতে বললে তারা বিচারকের রায় ঘোষণার আগেই বলে দেয় ম্যাডামের মেয়েই প্রথম হবে। এই ম্যাডামের মেয়েই গত বছর ২০১৪ সালে জাপানেও গিয়েছিল। আর এভাবেই যদি চলতে থাকে তবে শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রতিভার বিকাশের পরিবর্তে তা অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে যাতে কোন রকম ব্যক্তিগত প্রভাব না পড়ে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। মোঃ মজনু মৃধা দোহার, ঢাকা। সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়তে চান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুও সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। তা না হলে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সফল হবে না। আমাদের দেশের এক-তৃতীয়াংশ লোক এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। দুর্নীতির কারণে দেশ আরও গরিব হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম সরকার এবং সরকারী কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রী এবং এমপির অর্থ সম্পদের হিসাব প্রতিবছর জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে তার নিকটাত্মীয় ও পরিবারবর্গের হিসাবও দাখিল করতে হবে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া চলবে না। অবৈধ অর্থ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা বাজেয়াফত করতে হবে। মনে রাখতে হবে দুর্নীতিই আমাদের উন্নতির একমাত্র বাধা। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে সেই শর্ষ দিয়ে কখনও ভূত তাড়ানো যায় না। সরকার ও প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত হলে আস্তে আস্তে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর হবে। অন্যথায় কোন কিছুতেই কাজ হবে না। সেই কথাই মনে পড়েÑ ‘সাধু হও, সাধুও সেজো না।’ এই দেশের বিরাট জনগোষ্ঠী দ্বারা হয়ত আমরা একদিন সোনার বাংলা গড়তে পারব। আশা করি দেশের বিবেকবান ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করবেন। আবদুল জলিল মোড়ল কেশবপুর, যশোর। চলন্ত ট্রেনে ঢিল চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ার কারণে ঢাকা নারায়ণগঞ্জগামী ট্রেনের যাত্রী আহত হয়েছেন। খবরটি পড়ে মনে পড়ে, ২০১৩ সালে ১০ আগস্ট চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে ছুড়ে মারা ঢিলে প্রাণ হারান প্রীতি দাশ নামে একটি মেয়ে। বিষয়টি জনমনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। কেননা বাইরে থেকে ছুড়ে মারা ঢিলে কারও মৃত্যুর মতো ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। এই ঢিল যে মেরেছিল সে হয়ত নিজেও জানে না ঢিলের আঘাতে কারও মৃত্যু হবে। প্রীতি দাশের ঘটনার পর জনমনে এত আলোড়ন হওয়ার কারণ প্রীতি দাশ ছিলেন একজন প্রকৌশলী। কত ঘাত-প্রতিঘাত, সংঘাত-সংগ্রাম আর সাধনার পর মেয়েটি একজন প্রকৌশলী হয়েছিলেন তা একটি মাত্র ঢিলের আঘাতে তাঁকে সরিয়ে দিল এই দুনিয়া থেকে। এর পরেই চলন্ত ট্রেনে ঢিল মারা বন্ধ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা আরও জোরালো করে। এই উদ্যোগ অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। বলা হয়েছিল, এই ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা ঢিল ছোড়া পুরোপরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলবেÑ এমন কথা ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে প্রীতি দাশের ঘটনা সবাই ভুলে গেছেন। হয়ত আবার একটি মৃত্যুর ঘটনা বা আহত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে এবং রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসবে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে। যেসব জনপদের মধ্য দিয়ে রেলপথ গেছে, সেসব এলাকার লোকজন, সমাজকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব রয়েছে। তারা এগিয়ে এসে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। আর যেন ট্রেনে ঢিল ছোড়ার মতো ঘটনা না ঘটে সেটাই হবে যাত্রীদের প্রত্যাশা। নাজনীন বেগম বঙ্গবন্ধু সড়ক, জয়পুরহাট।
×