ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গণজাগরণের টানা অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গণজাগরণের টানা অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশব্যাপী নৈরাজ্য, পেট্টোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের টানা অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ফের প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থেকে বাহদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের গণপদযাত্রা শেষে আয়োজিত এক সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইমরান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবার আমরা শাহবাগে অবস্থান নেব। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিরীহ মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে মেরে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতেই বোঝা যায় সরকারের গাফিলতি রয়েছে। জামায়াত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জঙ্গী সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাদের নিষিদ্ধ করছে না। অথচ জামায়াত-শিবির হরতাল-অবরোধের নামে দেশব্যাপী সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এর দায় সরকারও এড়াতে পারবে না, বলেন তিনি। ইমরান এইচ সরকার বলেন, গণতন্ত্রের নামে যারা সন্ত্রাস করে তারা গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে না। তাই তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। তারা সন্ত্রাসী শক্তি। গণতন্ত্রের নামে এদেশে সন্ত্রাস চলবে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার নামে সাধারণ জনগণ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের নেতৃবৃন্দ ও উদীচীর নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় জাদুঘর ও শাহবাগ থানার মাঝের রাস্তায় সহিংসতাবিরোধী টানা অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চ। সংগঠনের দুই বছর পূর্তির দিন এ কর্মসূচীতে যোগ দেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো প্রজন্ম চত্বরে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী পালন করে মঞ্চের কর্মীরা। ফাঁকে দু’ঘণ্টা বিরতি দেয়া হয়। অবস্থানে অংশ নিতে প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দিনভর চলে প্রতিবাদী সেøাগান আর গণসঙ্গীত। এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগ থেকে ‘মুক্তির অভিযাত্রা’ নামে গণপদযাত্রা শুরু করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পরে মৎস্যভবন, প্রেসক্লাব ও গুলিস্তান হয়ে তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমনে বাহাদুর শাহ পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
×