ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সব ইপিজেডে নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সব ইপিজেডে নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে

সকল রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) বোর্ড অব গবর্নরসের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর বাসসর।প্রধানমন্ত্রী ও বেপজার চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই ডরমিটরি নির্মাণে তার গৃহায়ন তহবিল থেকে সহায়তা দেবে। বোর্ড সদস্যগণের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এসএ সামাদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবর রহমান, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাঃ হাবিবুর রহমান খান সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিদেশী বিনিয়োগকারী ও শ্রমিকদের জন্য স্থানীয় বাজার থেকে মাত্র ১৫ শতাংশ কমিশনে নির্ধারিত কিছু লিকার আইটেম ও জিনিসপত্র কেনার অনুমতি দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রেকর্ড রাখতে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি করে পাসবই প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। এতে বেপজাকে পল্লী অঞ্চলে ইপিজেড প্রতিষ্ঠায় ইউনিয়ন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সভায় আদমজী জুট মিলের দ্বিতীয় ইউনিট এলাকা বিনিয়োগকারীদের দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে পাট প্রক্রিয়াকরণ ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই জমিতে বসবাসকারী অবাঙালী বিহারী পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে বহুতল ভবন নির্মাণের নির্দেশ দেন। এখানে ১ হাজার ৪০৭টি বিহারী পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২শ’ পরিবারকে ২০টি ব্যারাকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এই বিহারী পরিবারগুলোর অধিকাংশই তৃতীয় প্রজন্মের। তারা ওই ইপিজেডে চাকরির সুযোগ পাবেন।
×