ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের জয় ১১৯ রানে, ম্যাচসেরা সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসন

কিউই ধাক্কায় বেসামাল পাকিরা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কিউই ধাক্কায় বেসামাল পাকিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর অধিনায়ক মিসবাহ উল হক বলেছিলেন, যে করে হোক দ্বিতীয় ম্যাচ জেতে সমতায় সিরিজ শেষ করতে চায় তার দল। কারণ বিশ্বকাপের আগে এটিই পাকিস্তানের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। সেনাপতির ইচ্ছের বাস্তবায়ন হয়নি, উল্টো নেপিয়ারে কাল ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে কিউইদের কাছে ২-০তে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিরা! লজ্জার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল আগের দিনকেও। ম্যাচের নায়ক কেন উইলিয়ামসন ও সাবেক অভিজ্ঞ রস টেইলরের জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড (কিউই ইতিহাসের দলীয় চতুর্থ সর্বোচ্চ)। জবাবে ৪৩ ওভার ১ বলে ২৫০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েলিংটনে প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হেরেছিল পাকিরা। এর আগে শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট-ওয়ানডে দুই সিরিজেই পর্যুদস্তুকারী নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা হলো দারুণ। ৩৭০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা মন্দ ছিল না। ওপেনিং জুটিতে ১১১ রান যোগ করেন মোহাম্মদ হাফিজ ও আহমেদ শেহজাদ। দুজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। হাফিজ ৮৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৬ এবং শেহজাদ ৬২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরার পরই পথ হারায় পাকিস্তানের ব্যাটিংলাইন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে মিসবাহর ব্যাট থেকে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অধিনায়কের ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ১টি ছক্কার মার। তবে আগের ম্যাচে ঝড় তোলা শহীদ আফ্রিদি আউট হন ৯ বলে ১১ রান করে। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে ৪ উইকেটে ১৮৭ থেকে ২৫০-এ গুটিয়ে যায় অতিথিরা, অর্থাৎ শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৬৭ রানের ব্যবধানে। দশ উইকেটের ৯টিই নেন পেসাররা। টিম সাউদি, এ্যাডাম মিলনে, নাথান ম্যাককুলাম, গ্রান্ট ইলিয়ট প্রত্যেকে ২টি ও ট্রেন্ট বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট। তার আগে পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে ওঠেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। যেখানে নেতৃত্ব দেন উইলিয়ামসন (১১২)-টেইলর (১০২*)। যদিও দলীয় ৪৩ রানে ম্যাককুলামকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্রেক এনে দেন আফ্রিদি। স্বাগতিক অধিনায়ক সাজঘরে ফেরেন ৩১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে সঙ্গী করে ১২৮ রানের বিশাল জুটি গড়ে দলকে সামনে এগিয়ে নেন ম্যাচের নায়ক উইলিয়ামসন। এরপর রস টেইলর ও গ্র্যান্ট ইলিয়টকে নিয়ে ৭৯ ও ৭২ রানের আরও দুটি চমৎকার জুটি গড়েন তিনি। মাত্র ৮৮ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন ফিটনেস সমস্যায় প্রথম ম্যাচে অনুপস্থিত উইলিয়ামসন। ৬৫তম ওয়াডেতে প্রতিভাবান উইলিয়ামসনের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি এটি। অন্যদিকে ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন সাবেক অধিনায়ক রস টেইলর। ৭০ বলের চিত্তাকর্ষক ইনিংসটি ১৩ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ইরফান ২টি, শহীদ আফ্রিদি, এহসান আদিল ও আহমেদ শেহজাদ নেন ১টি করে উইকেট। বিলাওয়াল ভাট্টিকে ১০ ওভারে ৯৩ রান খরচ করতে হয়, ওয়ানডেতে পাকিস্তানের পক্ষে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান দেয়ার নজির (ওয়াহাব রিয়াজ, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে)!
×