ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ॥ কিশোরগঞ্জে নিহত এক

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ॥ কিশোরগঞ্জে নিহত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে একজন নিহত ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে। নিহত পিনু মিয়া (৪৮) স্থানীয় কৈলাগ গ্রামের মৃত ছামির উদ্দিনের ছেলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কৈলাগ গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে পৈলনপুর গ্রামের অটোরিকশা চালকের ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বেলা ২টার দিকে উভয় গ্রামের সহস্রাধিক লোক দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বাজিতপুর বাঁশমহাল এলাকার লোকজনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সংঘর্ষে শাহাবুদ্দিন, গাউস মিয়া, মনির মিয়া এবং বাজিতপুর থানার তদন্ত ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই আব্দুল আজিজ, এএসআই এহেসানুল হকসহ শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ১৫-২০টি দোকান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজিতপুরে বিজিবি, র‌্যাব ও বিভিন্ন থানা পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন কৈলাগ, পৈলনপুর ও বাঁশমহালসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি। মুন্সীগঞ্জে আহত ৩ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজদিখানে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে তিন ব্যক্তি আহত হয়েছে। এ সময় একটি বাড়িতেও হামলা করে ঘর-দুয়ার ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি লতুব্দি ইউনিয়নের ভাষাণচর গ্রামের আসকর আলীর বাড়ি থেকে একটি মোবাইল সেট চুরি হয়। এ ঘটনায় আসকর আলী পাশের বাড়ির ইসরাফিলকে দোষী করে গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে সালিশ চায়। সোমবার এ নিয়ে একটি সালিশও বসে। কিন্তু উভয় পক্ষের হট্টগোলে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সালিশ বৈঠক। এর জের ধরে মঙ্গলবার উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আসকর আলীর বাড়িতে হামলা করে ভাংচুরও করা হয়। এ সময় আহত হয় আবদুল মোল্লা, আসকর আলী ও জয়নব নেছা।
×