ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা স্কুল এ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বিতীয় হলেও বদিউজ্জামান নামের একজনকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ জন্য ওই প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা উৎকোচ নেয়া হয় বলে প্রতিযোগী প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। প্রার্থী ও কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৯ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নামের প্রার্থী পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন। আর যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি ২য় স্থান অধিকার করেন। নিয়ম অনুসারে পরীক্ষায় যে প্রথম স্থান অধিকার করবে সেই নিয়োগ পাবে। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার সদস্যদের টাকা না দেয়ার কারণে প্রথম স্থান অধিকারীকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী কায়দে আযম বলেন, ‘আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু আমি টাকা দিতে না পারায় নিয়োগ দেয়নি। কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য রফিকুল ইসলাম নাঞ্জু বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের মাঝে অলিখিত এক সিদ্ধান্ত হয়েছিল যাকে নিয়োগ দেয়া হবে তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেয়া হবে। ১০ লাখ টাকা কলেজের ফান্ডে জমা দেয়ার কথা থাকলেও সব টাকা স্থানীয় কয়েক নেতাসহ কয়েকজন সদস্য ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়া বদিউজ্জামান বলেন, ‘কোন টাকা পয়সা আমি দেইনি। পরীক্ষায় আমি ভালো করেছি তাই নিয়োগ বোর্ড আমাকে নিয়োগ দিয়েছে।’ গর্ভনিং বডির সদস্য আমীর হোসেন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, নিয়োগে আমি কোন প্রভাব খাটাইনি। আর বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিলে কিছু টাকা তো নিবেই। এটা নতুন কিছু নয়।’ কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি কোন টাকা নেইনি। ক্ষমতাসীন দলের জেলা ও উপজেলা কয়েকজন নেতা জোরপূর্বক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দিতে বাধ্য করেছে। কিন্তু তারা টাকা নিয়েছে কিনা আমি জানি না। বান্দরবানে পাচারকারীরা হাতির মাথা কেটে নিয়ে গেছে নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার দুর্গম এলাকায় বন্যহাতি হত্যা করে হাতির মাথা নিয়ে গেছে পাচারকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম চাকমা ঝিরি এলাকায় একটি বন্যহাতিকে হত্যা করে শুঁড়সহ মাথা নিয়ে যায়। হাতির দাঁত সংগ্রহ করার জন্য পাচারকারী দলের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। গজালিয়া ইউনিয়নে একটি মাথাবিহীন হাতি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে সেনাবাহিনী, বনবিভাগ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সদস্যদের যৌথ অভিযানে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। হাতির মাথার সন্ধানে ঘটনাস্থলের আশপাশে ব্যাপক তল্লাশি চালালে পাওয়া যায়নি।
×