ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে শিবিরের ৬ দুর্ধর্ষ বোমাবাজ পুলিশের কব্জায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজশাহীতে শিবিরের ৬ দুর্ধর্ষ বোমাবাজ পুলিশের কব্জায়

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বোমাবাজ দুর্ধর্ষ ছয় শিবির ক্যাডার অবশেষে ধরা পড়ে রাজশাহী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তারা নিজেরাই বোমা তৈরি করত, আর সেই বোমা নিয়েই রাজশাহী নগরীতে নাশকতায় অংশ নিত। একের পর এক নাশকতা, গাড়িতে আগুন লাগাতে পারদর্শী সহিংসতা মিশনে অংশ নিয়ে ‘সফল’ হলেও অবশেষে আটকে গেল পুলিশের জালে। শনিবার রাতে আটকের পর সোমবার বিকেলে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার ছয় শিবিরকর্মী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাতে হাজির করা হয় তাদের। নগর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম সংবাদ সম্মেলনে দুর্ধর্ষ ছয় শিবিরকর্মীর নাম ও পরিচয় জানান। এরা হলো মহানগরীর ভাটাপাড়া এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে শাহাদাত ওরফে সাদাত ওরফে নুরুল্লাহ (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের দুর্গাপুর গ্রামের নবী জানের ছেলে জামাল (২০), শিবগঞ্জের দাদন চক এলাকার সাবির উদ্দিনের ছেলে আসাদুল্লা (২৪), নাটোর থানার ভাতশা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২২), মহানগরীর রাজপাড়া থানার চ-িপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে রোকন উদ্দিন (২২) ও নওগাঁর মান্দার পরানপুর গ্রামের বিনি আমিনের ছেলে জুলকার নাইন। নগর পুলিশের মুখপাত্র জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে রাজশাহী নগরীর থানাগুলোতে ১০টির বেশি মামলা আছে। এরা সবাই বোমা, ককটেল ও পেট্রোলবোমা তৈরির কারিগর। ছাত্র হলেও এরা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মূলত বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণে তারা পারদর্শী। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে ভাটাপাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে শাহাদাত ওরফে সাদাত ওরফে নুরুল্লাহ, রোকন উদ্দিন, আসাদুল্লা ও জামালকে ১০টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার রাতে মতিহার থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই শিবিরকর্মী জুলকারনাইন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বোমা ও ককটেল তৈরির আরও সরঞ্জাম, জিহাদী বই, অডিও-ভিডিও ক্যাসেট, মোবাইল ফোন, মার্বেল, কাঁটাতার উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ জানায়।
×