ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুুঁজিবাজার বান্ধব মুদ্রানীতি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আগের তুলনায় মুনাফা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে যাচ্ছে এমন পূর্বাভাসেও পুঁজিবাজারের পতন থামছে না। দেশের বিরোধী জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালের মতো হিংসাত্মক কর্মসূচীর কালো ছায়ায় ঢাকা পড়ছে সব ইতিবাচক সংবাদ। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে বাজারের আরও দরপতন ঘটবে এমন আশঙ্কার কারণেই প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ বাড়ছে। ফলে সূচকের তীর নিচের দিকে নামছেই। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে ২২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ১৮৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার। সোমবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার দর। ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯১ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭০৫ পয়েন্টে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কিছু কোম্পানির দর লোভনীয় পর্যায়ে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে মূলত আস্থাহীনতার কারণে। আগামীতে সংঘাত না কমলে বাজারের আরও পতন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কাতেই অনেকে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেইভাবে ক্রেতার সংখ্যা কমছেই। তবে আশার কথা হলো এই দর পতনের মাঝেও বিদেশী বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তারা কোম্পানি দেখে দেখে বিনিয়োগ করছেন। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, শাহাজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আমরা টেকনোলজিস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এবং বেক্সিমকো। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এআইবিএল১ম মিউচুয়াল ফান্ড, বার্জার পেইন্টস, ৮ম আইসিবি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, আইসিবি, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, আমরা টেকনোলজিস, গ্রীন ডেলটা, এমবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড ও গ্লাক্সোমিথক্লাইন। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মডার্ন ডাইং, রহিমা ফুড, সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, প্রগতি লাইফ, নদার্ন জুটস, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, নিটল ইন্স্যুরেন্স ও সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল। প্রধান বাজারের মতো দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও বেশিরভাগ কোম্পানির দর পতন ঘটেছে। সেখানেও আগের তুলনায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। সকালে নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে সিএসইতে ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বেক্সিমকো, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ফারইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং, অলটেক্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন ও সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।
×