ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আজকের এসএসসি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল নয়টায়

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আজকের এসএসসি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল নয়টায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবরোধের মধ্যেই লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনকে উপেক্ষা করে ডাকা বিএনপি-জামায়াতের হরতালে পিছিয়ে গেল এবারের এসএসসির আজকের পরীক্ষা। পিছিয়ে গেছে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষাও। আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায়। ফলে এবারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বুধবার থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। এদিকে পরীক্ষার মাঝে নতুন প্রজন্মের স্বার্থবিরোধী হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী, অভিভাববক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যহত আছে। পরীক্ষার মাঝে হরতাল-অবরোধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের চিত্র উঠে এসেছে জনপ্রিয় গণমাধ্যমের জরিপেও। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পর পরীক্ষার মাঝে হরতাল প্রশ্নে বিএনপিকে ‘না’ বলেছেন পাঠকরা। ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী আর তাদের ৩০ লাখ অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষের আকুল আবেদনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট হরতাল-অবরোধ অব্যাহত রাখায় আজকের পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ রবিবার দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বারবার আবেদন করে আসছি। আশা করছিলাম, ভবিষৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে তাদের (বিএনপি জোট) মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। কিন্তু কোন সাড়া পাইনি। দেশবাসী সাড়া দিয়ে কর্মসূচী পালন করেছে, খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। কিন্তু তাতেও তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। অমানবিক কর্মকা- চলছে, এ পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়েদের হিংস্রতার মধ্যে ফেলে দিতে পারি না। তাদের নিরাপত্তা ও জীবনই আমাদের কাছে বড়। সবাই মিলে আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে, লোক মারা যাচ্ছে। যারা বেঁচে আছেন তারা মৃত্যুর চেয়েও কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা আমাদের দায়িত্ব এড়াতে পারি না। তাই নতুন প্রজন্মের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়ে আমরা প্রথম দিনের পরীক্ষাটি পিছিয়ে দিয়েছি। সোমবার (আজ) প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে সকালে বাংলা-২ (১৯২১) সৃজনশীল এবং বিকেলে বাংলা-২ (৮১২১) সৃজনশীল বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষাগুলো আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। ওই দিনই হবে এবারের এসএসসির প্রথম পরীক্ষা। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে হাদিস শরিফ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে সকালে ইংরেজি-২ (১৯২২) এবং বিকালে ইংরেজি-২ (৮১২২) বিষয়ের পরীক্ষা হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ সম্বেলনে মন্ত্রী বলেন, আমরা খুবই মর্মহত যে, ঠিকমত পরীক্ষাটাও নিতে পারি না। খুবই উদ্বেগের মধ্যে আমরা দিন কাটাচ্ছি। অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ, অচিন্তনীয় ও অমানবিক পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। দেশে যা চলছে তা কারও কাছেই কাম্য ছিল না। শিক্ষার ক্ষতিটা তাৎক্ষণিক দেখা যায় না। সবার মধ্যেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার জন্য আগামী ৩০ বছর সাফার করতে হবে। হরতালের কারণে প্রথম দিনের পরীক্ষা পেছালেও অন্যদিন শুধু অবরোধ থাকলে যথারীতি পরীক্ষা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অবরোধে কিছু হয় না দেখেই তারা হরতাল দিচ্ছে, তাই হরতালে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হবে। আশা করছি, পরীক্ষার দিন হরতাল তো হবেই না অবরোধও থাকবে না। এটা না করলে মানুষের কাছে ওনারা (বিএনপি নেতৃবৃন্দ) কীভাবে মুখ দেখাবেন? এর আগে হরতালে পরীক্ষা পেছানোর কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে, পরীক্ষা হচ্ছে, ফলাফলও দিচ্ছি। কিন্তু গত বছরও পরীক্ষা ঠিক সময়ে নিতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো নির্বিঘেœ নেয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে হরতাল আর নেই। আর দেশের মানুষের মনভাবটা প্রকাশ পেয়েছে। তাই পরীক্ষার তারিখগুলোতে নতুন করে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচী কেউ দেবেন না- এ আবেদন জানাচ্ছি। এইটুকু মূল্যবোধ, মানবিকতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা যদি কারও না থাকে তাহলে তাদের কাছে মানুষ কী আশা করতে পারে? পরীক্ষার মধ্যে আবারও হরতাল দেয়া হলে স্থায়ী সমাধান কি হবেÑ এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে রেখেছে তাদেরকে বলেন। হরতাল তুলে নেয়াটাই হলো স্থায়ী সমাধান। পরীক্ষা নিয়ে কি হবেÑ বিবিসি সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদের করা এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যে দল রাজনীতি করবে, যারা দেশের ভবিষ্যৎ গড়বেন তারা যদি এ কথা বলেন তাহলে তো উত্তর পেয়েই গেলাম। ওনারা দেশের মানুষ, দেশের নতুন প্রজন্মকে অবজ্ঞা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রমুখ। এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতালে ২০১৩ সালে এসএসসির ৩৭টি বিষয় এবং এইচএসসির ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ওই বছরের জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয় এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়। গত বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষাও বিএনপির হরতালের কবলে পড়লে বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। পরীক্ষার মাঝে হরতাল অবরোধে প্রতিবাদ অব্যাহত ॥ পরীক্ষার মাঝে দেয়া হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী, অভিভাববক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। আগের দিনের মতো রবিবারও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরে মানুষ। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, খালেদা জিয়া একজন মা, আর মা হয়ে দেশের লাখ লাখ সন্তানকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। তাদের এসএসসি পরীক্ষার বিঘœ ঘটাচ্ছে। তাহলে তিনি কেমন মা? এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্তানের মঙ্গল চান আর খালেদা জিয়া চান অমঙ্গল! তাই তো এসএসসি পরীক্ষার আগে হরতাল- অবরোধের ডাক দিয়েছেন। একই দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ। যেখানে অংশ নিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। বেগম জিয়া নিজে এসএসসি পাস করেননি। তাই তিনি চান না শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাস করুক। স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এম এ করিম, ব্যারিস্টার জাকির, জিন্নাত আলী জিন্নাহ, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। যেখানে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষা ও একুশে বইমেলার সময় অবরোধ-হরতাল দেয়া মানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী এবং দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সালেহ আহমেদ, আবদুল মোনায়েম নেহেরুন প্রমুখ। প্রতিবাদ চলছে রাজধানীর বাইরেও ॥ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকার বাইরে রাজপথে নেমেছে চট্টগ্রামের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত স্ব স্ব বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে তারা। মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আমরা পেট্রোলে দগ্ধ হতে চাই না’, ‘আমরা নিরাপদে স্কুলে যেতে চাই’, ‘বিদ্যালয়ে যাতায়াতে নিরাপত্তা চাই,’ ‘শিক্ষাজীবন বন্ধ করো না’, ‘আমরা নির্বিঘেœ এসএসসি পরীক্ষা দিতে চাই’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ডাঃ খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং সিটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অবরোধ ও হরতালে আতঙ্কিত এসএসসি পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা ঝালকাঠী ও বরিশালেও মানববন্ধন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা। নাশকাতা পরিহার করে নির্বিঘেœ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ২০ দলের প্রতি দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর কথা ভেবে হরতাল প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরীক্ষার মাঝে হরতাল-অবরোধে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ময়মনসিংহের ভালুকায় মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সময়ও খালেদা জিয়া হরতাল ডেকে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন। পরীক্ষায় হরতাল : বিএনপিকে পাঠকের ‘না’ ॥ পনের লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উৎকণ্ঠায় রেখে মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেও হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার যে অবস্থান বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নিয়েছে তার বিপক্ষে জোরালো মত এসেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনলাইন জরিপে। জরিপে পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলÑ ‘এসএসসি পরীক্ষার আগে অবরোধ প্রত্যাহারে সরকারের অনুরোধ নাকচ করে টানা তিন দিন হরতাল দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিরোধী জোটের এ অবস্থান সমর্থনযোগ্য?’ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বাংলা হোমপেইজে এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৭২১ জন, যাদের ৭০ শতাংশ ‘না’ তে ভোট দিয়ে জানিয়েছেন, বিএনপি জোটের এ অবস্থান তারা সমর্থন করেন না। গত ২৬ দিন ধরে সারাদেশে অবরোধ ও তারই মধ্যে হরতাল চালিয়ে আসা এ জোটের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন ৩০ শতাংশ ভোটার; তারা ‘হ্যাঁ’ তে ভোট দিয়েছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ইংরেজি হোমপেইজ থেকে শনিবারের জরিপে ভোট দিয়েছেন ছয় হাজার ৭৮৩ জন পাঠক। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ পাঠক বিএনপি জোটের অবস্থানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ‘না’ তে ভোট দিয়ে। ‘হ্যাঁ’ তে ভোট পড়েছে ২৩ শতাংশ। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল এবং অবরোধের কর্মসূচীর মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ওয়াদা করেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ। রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহ্বায়ক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এ ওয়াদা করেন। পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশে লিখিত বক্তব্যে সোহাগ বলেন, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বসে কথা দিচ্ছি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের লাখ লাখ নেতাকর্মী আপনাদের পাশে আছে, থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, আর এই সীমার বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র ও পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে আমাদের প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ, জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভির রুসমত, ছাত্রলীগের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক সাজাহান আলী সাজুসহ ৭টি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
×