ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের পর পায়ে গুলি

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের পর  পায়ে গুলি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছা উপজেলার ঝিকরগাছা ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে আটকের পর পুলিশ গুলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে তাকে আটকের পরে বিকেলে আহত অবস্থায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেছে। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আখতারুজ্জামানও প্রাথমিকভাবে গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চাপে তিনি এ ঘটনাকে ‘গণপিটুনিতে আহত’ বলে উল্লেখ করেছেন। আহত খোরশেদ আলম যশোরের ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের বোন মুন্নী বেগম জানান, শনিবার রাতে ট্রাক ও প্রাইভেটকারে বোমা হামলার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ খোরশেদ আলমকে আটক করে। সকালে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে তাদের জানানো হয়, তাকে আদালতে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপর আদালত, ডিবি অফিস, র‌্যাব অফিস কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিকেলে তাঁরা জানতে পারেন, গুলিবিদ্ধ খোরশেদ আলমকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ খোরশেদ আলমকে ধরে এনে গুলি করেছে এমন অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তাঁর স্ত্রী তহমিনা বেগম। তবে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বলেন, চালবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকারে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে স্থানীয়রা খোরশেদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ওই ঘটনা এসআই কবির হোসেন বাদী হয়ে ৩০-৪০ জনের নামে মামলা করেছেন। ওই মামলায় খোরশেদ দুই নম্বর আসামি। তবে খোরশেদ আলমকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মির্জা আকতারুজ্জামান জানান, রোগীর বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করে জরুরী বিভাগে যান ওসি। সেখানে গিয়ে তিনি চিকিৎসক আকতারুজ্জামানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং হুমকি দেন। এরপর আগের বক্তব্য থেকে সরে আসেন ওই চিকিৎসক।
×