ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে প্রতিবাদী মিছিল বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজধানীতে প্রতিবাদী  মিছিল  বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতাল, দেশব্যাপী নৈরাজ্য, জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাংচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদী মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যারা দুই নেত্রীকে একসঙ্গে বসার কথা বলছেন তারা জ্ঞানপাপী। কারণ স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সামনে আনার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী অশান্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে। এরা দুজন একসঙ্গে এক টেবিলে বসতে পারে না। তিনি আরও বলেন, যারা দুই নেত্রীকে এক সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলে ধূম্রজালের সৃষ্টি করছে, তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জোটের চেয়ারম্যান আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওলাদ হোসেন, শাহে আলম মুরাদ, জাহানারা বেগম, শহিদুল ইসলাম মিলনসহ জোটভুক্ত ২২ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা বিভাগ শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ইনসুর আলী, আজাহার আলী, সিদ্দিক দেওয়ান, আব্দুল হামিদ, শামীম আরা লাভলী, নাসিমা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা লাগাতার হরতাল অবরোধের নামে মানুষকে হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সকাল এগারোটায় মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘জঙ্গীবাদ রাজনীতি : মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, পরাজিত শক্তিদের নিয়ে খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও ও গণহত্যা শুরু করেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ক্যাপ্টেন (অব) শচীন কর্মকার প্রমুখ। গণজাগরণের মুক্তি অভিযাত্রা ॥ রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা ও সহিংসতা বন্ধ এবং আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘেœ পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করাসহ সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। বাকি তিন দফা হলো- রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং আগে উত্থাপিত ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন। রবিবার শাহবাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার এ দাবি উত্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই রাজনীতির নামে সহিংসতা বন্ধের দাবিতে কর্মসূচী হাতে নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। এসব সহিংসতা বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী চলছে, সংগৃহীত গণস্বাক্ষর আগামী ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পীকার বরাবর প্রদান করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় শাহবাগে গণজাগরণ দিবস উপলক্ষে জাগরণ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা যদি ব্যাহত হয় এবং সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রত্যাহার করা না হয়, তবে সেদিন থেকে আবারও শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাবে গণজাগরণ মঞ্চ। এছাড়া একই দাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শাহবাগ থেকে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত মুক্তি অভিযাত্রা বের করা হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, উদীচীর জামশেদ আনোয়ার তপন, সেøাগানকন্যা লাকি আক্তার প্রমুখ।
×