ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ রণনীতি শুরু হচ্ছে শীঘ্রই

জ্বালাও পোড়াও- আটক হতে পারেন খালেদার ঘনিষ্ঠ ১৮ জন

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জ্বালাও পোড়াও- আটক হতে পারেন খালেদার ঘনিষ্ঠ ১৮ জন

শংকর কুমার দে ॥ ‘জিরো টলারেন্সে’র ‘কঠিন রণনীতির কৌশল’ নিয়ে অবরোধের নামে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী সহিংস সন্ত্রাসী ও নির্দেশদাতা দমনে মাঠে তৎপরতা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপির চেয়ারপার্সনের ঘনিষ্ঠ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৮ সন্ত্রাসী ও মদদদাতা গ্রেফতার হতে পারেন। বিএনপি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান ও সহানুভূতি প্রদর্শন না করে পেট্রোলবোমার আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারায় মারাত্মক ক্ষুব্ধ সরকার। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘কঠোর এ্যাকশনে’ যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, বেগম জিয়ার বিএনপি গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুত, ইন্টারনেট, টেলিফোন, কেবল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে আবার সংযোজন করার ঘটনাটি সরকারের ক্ষুব্ধতার বহির্প্রকাশের কঠিন রণনীতির কৌশলের একটা ইঙ্গিতমাত্র। অবরোধ ও হরতালের নামে পেট্রোলবোমা ও আগুন দিয়ে মানুষ মারা অব্যাহত থাকলে কঠোর এ্যাকশনই পরিণতিতে গড়াবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ কারণে অবরোধের সঙ্গে হরতাল যুক্ত করার পরও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের রাজপথে খুব একটা দেখা যায়নি, মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে পৃথক ও যৌথভাবে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী ও নির্দেশদাতা উভয়কেই দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, সভ্যতার শত্রু ও মানবতার শত্রু আখ্যায়িত করা হয়েছে। পৈশাচিকভাবে যারা মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে তাদের সঙ্গে কোন আপোস না করে সহিংস সন্ত্রাস দমনে যখন যা করা প্রয়োজন তাই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠিত বৈঠকের আলোচনায় বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় স্বল্পসংখ্যায় চলছে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি। এ অবস্থায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নাশকতা দমনে আরও কঠিন এ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সূত্র জানায়, রাজধানীর বাইরে ইতোমধ্যেই পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী নাশকতাকারীদের প্রতিরোধে তথ্য সংগ্রহে মাঠে নামানো হয়েছে কমিউনিটি পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা ও জনসম্পৃক্ততা।
×