ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাইজিরিয়ায় সাড়ে সাত হাজার সৈন্য পাঠাবে আফ্রিকান ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নাইজিরিয়ায় সাড়ে সাত হাজার সৈন্য পাঠাবে  আফ্রিকান ইউনিয়ন

নাইজিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৭ হাজার ৫শ’ সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আফ্রিকান নেতারা দীর্ঘদিনের শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে তাদের একই অবস্থান প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে ক্যামেরুনের সীমান্ত এলাকায় চাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বোকো হারামের ১শ’ ২০ জঙ্গী নিহত হয়েছে। ইথিয়পিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) নেতাদের সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার সেন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই নেতারা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের আগে বলেছেন, বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এইউ সৈন্য মোতায়েনে তার সমর্থন রয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে জঙ্গী গোষ্ঠীটি হামলার ব্যাপকতা বাড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে সহিংসতায় হাজার হাজার লোক সেখানে নিহত হয়েছে নাইজিরিয়ায়। শনিবার ইরান বলেছে, বোকো হারামের সহিংসতায় দেশটির যে ক্ষতি হয়েছে তা সারিয়ে তুলতে সাহায্য প্রদানের জন্য পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে তারা। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমীর আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, বিদেশী ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পরাজিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি নিশ্চিত। আফ্রিকান ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা বোকো হারামকে পরাজিত করতে সবরকম প্রচেষ্টা গ্রহণ করব। কোন সন্দেহ নেই আমাদের। যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার বোকো হারামের সন্ত্রাসের নির্মূলে আরও কারিগরি সহযোগিতা প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। অন্য এক খবরে বলা হয়, ক্যামেরুনের সীমান্ত এলাকায় চাদ সেনবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বোকো হারামের ১২০ জঙ্গী নিহত হয়েছেন। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় এসব জঙ্গী নিহত হয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে চাদের সেনাবাহিনী। হামলায় চাদ বাহিনীর তিন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বোকো হারাম জঙ্গীদের অবস্থানের উপর বোমাবর্ষণ করেছে সেনাবাহিনী। বোকো হারামের জঙ্গীরা সম্প্রতি নাইজিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী ক্যামেরুন ও চাদে হামলা চালানো শুরু করেছে। নাইজিরিয়ার বিদ্রোহী এই জঙ্গীগোষ্ঠীটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গত পাঁচ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে।
×