ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন শবনম

প্রকাশিত: ০৩:২১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন শবনম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশীয় চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ‘লাইফটাইম এ্যাচিভম্যান্ট এ্যাওয়ার্ড’ তথা আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনম। বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) তাঁকে এ সম্মাননা দিতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে আগামী ২০ মার্চ বিকেলে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে এ এ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সম্মননা প্রসঙ্গে শবনম বলেন, অনেক কৃতজ্ঞ ‘বাবিসাস’ পরিবারের প্রতি। আমাকে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা ভূষিত করতে যাচ্ছে জেনে আমি সত্যিই দারুণ আনন্দিত। এখন বয়স হয়েছে। সব ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মতো শারীরিক সুস্থতাও সবসময় থাকে না। সবাই দোয়া করবেন যেন সবসময় ভাল থাকি, সুস্থ থাকি। বাবিসাস সভাপতি আবুল হোসেন মজুমদার বলেন, শুধু এদেশের চলচ্চিত্রেই নয় পাকিস্তানের চলচ্চিত্রেও শবনমের যে অবদান তা এখনও সেখানকার দর্শক শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাকে সম্মননা দিতে পারছি এটাই আমাদের সৌভাগ্যের বিষয়। প্রসঙ্গত, শবনম সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরান ঢাকার মদনমোহন বসাক লেনের মেয়ে শবনমের ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ফতেহ লোহানী পরিচালিত ‘আসিয়া’ চলচ্চিত্রেও তিনি ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। মোস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রধান নারী চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন রহমান। এরপর ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘চাহাত’সহ পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শবনম যত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রায় সব তার বিপরীতে রহমান অভিনয় করেন। পাকিস্তানে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সামান্দার’, বিপরীতে ছিলেন ওয়াহিদ মুরাদ। ‘চান্দা’ চলচ্চিত্রে সর্বপ্রথম পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার এ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে একজন নায়িকা হিসেবে সর্বপ্রথম এই এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এরপর ১৯৭১ সালে ‘দোস্তী’, ১৯৭৩ সালে ‘আনমোল’, ১৯৭৪ সালে ‘দিল লাগি’, ১৯৭৫ সালে ‘জিনাত’, ১৯৭৭ সালে ‘আয়না’, ১৯৭৯ সালে ‘পাকিজা’, ১৯৮০ সালে ‘হামদোনো’, ১৯৮১ সালে ‘কোরবানি’, ১৯৮৩ সালে ‘কাবি আল বিদা না কেহনা’ ও ১৯৮৫ সালে ‘নারাজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই সম্মাননা লাভ করে। নিগার এ্যাওয়ার্ড টানা ১৩ বছর পেয়েছিলেন তিনি যা পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত রেকর্ড।
×