ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। ২ মাস ৭ দিনÑ সফরে চার টেস্ট, চলমান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে, সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি নিয়ে মোট দশ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি ভারত! অথচ ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনির দলটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে ক্রিকেটের মোড়লরা! এবার ইংল্যান্ডের কাছে ৩ উইকেটে হার ভারতের। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের হটিয়ে কার্লটন মিড ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ড। রবিবার পার্থের ফাইনালে ইংলিশদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টে ফাইট দিয়ে হারের পর দুটিতে ড্র, মন্দ নয়। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে এ কী হতশ্রী অবস্থা ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। জিতলে ফাইনাল, হারলে বিদায় এমন কঠিন সমীকরণের শেষ ম্যাচে আরও একবার নুইয়ে পড়ল ধোনির দল। পার্থে ভারতের ভরাডুবির কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে ভেঙ্গে পড়েছে মোড়লদের ব্যাটিং-লাইন। অথচ টসে হেরে শুরুটা মন্দ ছিল না। ১ উইকেটে ৮৩ রান করা ভারত ২ উইকেটে তুলে নিয়েছিল ১০৩ রান। দেখেশুনে দারুণ খেলছিলেন রাহানে-ধাওয়ান। ফর্ম নিয়ে ঝুঝতে থাকা শিখর ধাওয়ানকে ৩৮ রানে ফেরান ক্রিস ওকস, রাহানে সর্বোচ্চ ৭৩। সেটি ইনিংসের ২৮তম ওভারের ঘটনা। এরপর ৩৬ ওভারের মধ্যে ১৩৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংস স্তূপে অতিথিরা! পরপর নিজের দুই ওভারে বড় তারকা বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নাকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাইটাল পজিশন তৈরি করেন মঈন আলি। ইংলিশ স্পিনারের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়া কোহলি ৮ ও রায়ন করেন ১ রান। এ পর্যায়ে আমবাতি রাইডু (১২) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (১৭) চেষ্টা করেছেন, তাতে লাভ হয়নি। ১৬৪ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ৪৮.১ ওভারে সমান ২০০ রান এনে দেয়ার রূপকার মোহাম্মদ শামি। বোলিংই যার মূল কাজ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেই পেসার ১৮ বলে করেন ২৫ রান! পেসার স্টিভেন ফিন ৩টি, ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড ২টি, স্পিনার মঈন নেন ১টি করে উইকেট। তবে অল্প লক্ষ্যে ইংলিশদের জয়টা মোটেও সহজ ছিল না। মিডিয়াম পেসার স্টুয়ার্ট বিনির (৩/৩৩) চমৎকার বোলিংয়ে ইংলিশরা ২০তম ওভারে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারালে নাটকীয়তার তৈরি হয়! এ পর্যায়ে হাল ধরেন ম্যাচের নায়ক জেমস টেইলর (১২২ বলে ৮২) ও সাত নম্বরে নামা জস বাটলার (৭৮ বলে ৬৭)। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২৩ ওভারে ১২৫ রান যোগ করেন তারা। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে দুজনেই আউট হন। ক্রিস ওকস ৪ ও ব্রড ৩ রানে অপরাজিত থেকে জয়ের পাশাপাশি দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার। ২ জয়, ২ হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের সঙ্গী হলো ইংল্যান্ড। বাদ পড়া ভারত থাকল জয়হীন! স্কোর ॥ ভারত ইনিংস ২০০/১০ (৪৮.১ ওভার; রাহানে ৭৩, ধাওয়ান ৩৮, শামি ২৫, ধোনি ১৭, রাইডু ১২, কোহলি ৮; ফিন ৩/৩৬, মঈন ২/৩৫, ওকস ২/৪৭, ব্রড ২/৫৬)। ইংল্যান্ড ইনিংস ২০১/৭ (৪৬.৫ ওভার; টেইলর ৮২, বাটলার ৬৭, মঈন ১৭, বেল ১০, মরগান ২; বিনি ৩/৩৩, মোহিত ২/৩৬, শামি ১/৩১। ফল ॥ ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ টেইলর (ইংল্যান্ড)।
×