ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যারা মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে অচিরেই তাদের বিচার শুরু হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

যারা মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে অচিরেই তাদের বিচার শুরু হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চৌদ্দ দলের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নিজের কোল খালি হওয়ার পরও তার প্রতিহিংসার আগুনে নিহত ৪০ জন মায়ের বুক খালি হওয়ার যন্ত্রণা বুঝতে পারছেন না। যারা মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে দেশের আইন অনুযায়ী অচিরেই তাদের বিচার শুরু হবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী সিনেমা হলের সামনে ১৪ দলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন। সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুনে রাখুন ২০১৯ সালের একদিন আগেও কোন নর্বাচন হবে না। হওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই। আর ২০১৯ সালের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে শেখ হাসিনার অধীনেই। সস্ত্রাস-সহিংসতার পথ ছেড়ে এই চার বছর আপনি (খালেদা জিয়া) নিজের দল গোছান। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, সভা-সমাবেশ করেন কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু হরতাল-অবরোধ দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবেন না। কেন আপনারা বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছেন? ২০১৯ সালের নির্বাচনেও দেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু নেই। যারা আছে তারা আমাদের বন্ধু। আমরা আমাদের বন্ধুদের নিয়েই দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পেট্রোলবোমায় দেশের মানুষের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তার জন্য খালেদা জিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আর খালেদা জিয়ার ওপর মানুষের গজব নাজিল হয়েছে কিনা, তা আমরা জানি না। তবে আল্লাহর বিচার আল্লাহই করে। নিজের কোল খালি হওয়ার পর হয়তো খালেদা জিয়া তা বুঝতে পারছেন না। বোমা হামলায় শত মায়ের আহাজারী তিনি শুনতে পান না? নগর চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, ক্ষমতায় যেতে না পেরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে আম ও ছালা দুটোই হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় আগামী নির্বাচনে না আসলে তিনি আম, ছালা, গাছ তিনটাই হারাবেন। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি এখন জামায়াতের পেটে ঢুকে গেছে। তাদের (বিএনপি) অস্তিত্ব আজ বিলীন হওয়ার পথে। তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে বিএনপি-জামায়াত দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে কাউকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি সরকার এদেশে চালু হতে দেবে না।
×