ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে ঝাউবাগান থেকে রোহিঙ্গা পল্লী সরাতে প্রশাসনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

টেকনাফে ঝাউবাগান থেকে রোহিঙ্গা পল্লী সরাতে প্রশাসনের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অবশেষে টেকনাফে বাহারছড়া শামলাপুর সৈকতে ঝাউবাগানে বসবাসরত অবৈধ রোহিঙ্গা পল্লী সরাতে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবারের মধ্যে ওইসব রোহিঙ্গাকে সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। ৬ শতাধিক পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দাকে ঝাউবাগানে আশ্রয় দিয়ে স্থানীয় মৌলভী আজিজ নামে এক ব্যক্তি জঙ্গী সংগঠনসহ বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের নামে সুবিধা আদায় করে আসছিল। ওলামালীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ওইসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির একাধিক সভায় ওই রোহিঙ্গা পল্লী নিয়ে আলোচনা এবং উচ্ছেদ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের মনখালী খালের উপর নবনির্মিত সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে এসেছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চৌধুরী। তিনি সড়কের পশ্চিমপাশে ঝাউবাগানে বসবাসরত রোহিঙ্গা পল্লী দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রশাসনিক সহযোগিতায় ঝাউবাগানে বসবাসরত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বান্দরবানে বিপুল গুলিসহ তিন সন্ত্রাসী আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২৮ জানুয়ারি ॥ পার্বত্য জেলার চিম্বুক সড়কের মিলনছড়ি পর্যটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০৩ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে জেলার চিম্বুক সড়কের মিলনছড়ি পর্যটন এলাকার পুলিশ ক্যাম্পে একটি অটোরিকশা আসার সময় তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই অটোরিকশা থেকে ২০৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং সিএনজির যাত্রী ম্যান ওয়াই ম্রো, নিরুত ম্রো ও কাউচিং ম্রো নামের তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে সেনা সদস্যরা। গুলিগুলো এম-১৬ এবং থ্রি নট থ্রি রাইফেলের বলে জানা গেছে। ওই সন্ত্রাসীরা সিএনজিটি নিয়ে বান্দরবান শহরে আসছিল। এদিকে তাদের আটকের পর সেনা সদস্যরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। কর্মসূচীতে নেই বিএনপি ॥ শান্ত হাতিয়া সংবাদদাতা, হাতিয়া, নোয়াখালী, ২৮ জানুয়ারি ॥ হরতাল, অবরোধ, গাড়ি ভাংচুর, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের মতো কোন পিকেটিং নেই নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। মহাজোট সরকারের ৫ বছর ও গত ১ বছরে একদিনও সহিংস রাজনৈতিক কোন কর্মসূচী পালিত হয়নি এ দ্বীপ উপজেলায়। মহাজোট সরকারের ৬ বছরে রাস্তায় দাঁড়াতেও পারেনি বিরোধী দলের কোন নেতাকর্মী। সাংগঠনিক দুর্বলতায় এর অন্যতম কারণ। চারদলীয় সরকারের প্রথম থেকে দীর্ঘদিন হাতিয়া উপজেলা বিএনপি ছিল সাবেক এমপি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে। ১/১১ সরকারের সময় তিনি সংস্কারপন্থীদের দলে যোগ দেয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করে। এরপর শিল্পপতি সাখাওয়াত হোসেন শওকতকে আহ্বায়ক করে উপজেলা কমিটি ঘোষণা করলেও তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচী চাঙ্গা করতে পারেননি। প্রায় এক মাস ধরে বিএনপির অব্যাহত অবরোধ কর্মসূচীর একদিনও হাতিয়ায় পিকেটিং বা মিছিল মিটিং করতে দেখা যায়নি কোন কর্মীকে।
×