ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংলাপ হবে, কিন্তু কোথায়

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

সংলাপ হবে, কিন্তু কোথায়

ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা পাশ্চাত্য ধাঁচের অংশীদারি পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্ব শর্ত। কাজেই তেমন কোন গণতান্ত্রিক দেশে বিরুদ্ধমতকে দমননীতির স্টিমরোলারে পিষে ফেলার ঘটনাকে গণতন্ত্র হত্যা বললে তা মোটেও অতিশয়োক্তি হবে না। ২৩ বছরের শান্তিপূর্ণ অহিংস গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ঈর্ষণীয় ইতিহাস সৃষ্টি করে তবেই সর্বশেষ পন্থায় হানাদার পশু শক্তিকে পরাস্ত করতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাতিয়ার তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিকে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপত্তার স্বার্থে সোভিয়েত ইউনিয়ন লেনিনগ্রাদ সংলগ্ন ৩০ কিমি ফিন ভূমি পাওয়ার অন্যায় দাবি আদায় করতে বলপ্রয়োগ করে। সেই অসম যুদ্ধে ফিনল্যান্ডের দেশপ্রেমিক সাহসী সেনাবাহিনী ২০ গুণ বলশালী বিপুল সোভিয়েত ট্যাঙ্ক বহরের গতিরোধ করতে স্বউদ্ভাবিত পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে এবং সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে পেট্রোলবোমার নাম রাখে মলোটভ ককটেল। কিউবার মুক্তি সংগ্রামে বিপ্লবী চে গুয়েভারা কর্তৃক পরিচালিত গেরিলা যুদ্ধে সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর মলোটভ ককটেল ব্যবহৃত হয় বলে কথিত আছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে বীরবাঙালী শত্রুর অস্ত্র ছিনিয়েই শত্রুকে পরাস্ত করেছে। কাউকে সহজলভ্য পেট্রোলবোমার আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারেনি। আমাদের ইতিহাস গণবিরোধী শক্তির পদভারে বার বার কলঙ্কিত হয়েছে। কিন্তু অপরাজেয় গণশক্তি প্রতিবারই বুকের রক্তে সে কলঙ্ক মুছে দিয়েছে। বৃক্ষ মাটি থেকে রস টেনে বেঁচে থাকে। একটি জাতিও তেমনি প্রাণশক্তি সঞ্চয় করে ইতিহাস থেকে। নিজের অতীত থেকে। ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তাই। কলঙ্কিত অতীত পিছু পিছু হাঁটে ছায়ার মতো। ব্যক্তি নিয়ে দল। যে দলের জন্ম বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র, বর্বরতা, প্রতারণা, শঠতা ও ব্যাভিচারের জরায়ুতে তার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত কোনটাই কখনও দানবীয় পৈশাচিক নির্মমতার কলঙ্কমুক্ত হতে পারে না। জিয়ার প্রমোদ তরী হিজবুল বাহারে স্বৈরাচারের ঔরসে জন্ম নিয়েছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। উপকরণ ছিল উগ্র বাম নকশালী ঘরানার সন্ত্রাসঘনিষ্ঠ জাতীয় ছাত্রদল, মুক্তিযুদ্ধের দুষমন আইয়ুব-মোনায়েমের লাঠিয়াল ফ্যাসিবাদী এনএসএফ এবং খুনী-ধর্ষক- রাজাকার ইসলামী ছাত্র সংঘের দূষিত রক্ত। সেই ছাঁচে পড়ে অভির মতো মেধাবী ছাত্ররা দুবৃত্ত ধর্ষক খুনিতে রুপান্তরিত হয়েছিল। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের ৮ বছর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবদুল মতিন চৌধুরী প্রথমে ৭ দলের এবং পরবর্তীতে তিন জোটের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচী পাচার করে জামায়াতকে রাজপথের অন্দোলনে মূল স্রোতধারায় তুলে আনেন। পুরস্কার হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এ সবই হয়েছিল খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে। কোন বিদেশী শক্তির ইশারায়। ’৯১ সালের গোপন মিত্র থেকে ২০০১-৬ মেয়াদে বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতার শরিক দল হয়ে জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের মতই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তা-ব চালাতে সক্ষম হয়। প্রতিবেশী ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য বিপুল অস্ত্র চোরাচালান ও ২১ আগস্ট ট্র্যাজেডি জামায়াত-বিএনপির সোনায় সোহাগা সম্পর্কের নিশ্চিত ফসল। একথা সর্বজনবিদিত। চলমান দুঃসময়ে ছাত্রদল ও শিবির যৌথভাবে পেট্রোলবোমার সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মাতৃগর্ভের ভ্রƒণশিশু পরন্ত নিস্তার পাচ্ছে না। কর্মজীবী, পেশাজীবী ছাত্রছাত্রী শিশুকিশোর ককটেল বোমায় পুড়ে কয়লা হচ্ছে। দিনমজুর অনাহারে থাকছে। মাঠভরা ফসল নিয়ে কৃষক অনিশ্চয়তার ভুগছে। অর্থনীতি পুড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে উদ্বেগজনকহারে। জামায়াতের লক্ষ্য শীর্ষ নেতাদের জেল থেকে মুক্ত করা। বিএনপি নেত্রীর প্রধান এজেন্ডা জিয়া অরফানেজ মামলার অগ্রগতি রুখে দেয়া এবং মানিলন্ডারিং ও একুশে আগস্টের হত্যাকা-ের দায় থেকে জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানকে রক্ষা করা। এটা কোন গণতান্ত্রিক রাজনীতির সংজ্ঞায় পড়ে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতি বোমাবাজি অনুমোদন করে না। আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস অন্তত তাই বলে। ইতিহাস মানুষকে শুধু অতীতের কথাই বলে না। সঠিক আত্মপরিচয়ও তুলে ধরে। ইতিহাস মানুষের পূর্ববর্তী প্রজন্মের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সংযোগ রক্ষা করে। বর্তমান বিশ্বে মানবসভ্যতার অগ্রগতির মূলে রয়েছে ইতিহাসচর্চা। কোন উন্নত গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হলেও ইতিহাস চর্চা প্রয়োজন। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম অতীত সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানে না। ইতিহাস বিকৃতির বীভৎস একুশ বছরে তারা কেবল বিভ্রান্তই হয়নি। ভুল পথে অগ্রসর হয়ে জাতির অবনয়নে সহায়ক হয়েছে। অনুসূয়াপ্রবণ হয়ে ক্ষমতাসীন অপশক্তি ভিন্নমতের অক্ষয় গৌরব ধরাশায়ী করে জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়ার কলঙ্কিত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। একটি জাতি বেঁচে থাকে অতীত গৌরব ও মহত্ত্ব নিয়ে বর্তমানের অগ্রযাত্রার গতিশীলতার মধ্যে। আপন সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের পথে থেকে জাতি যখন শেখ হাসিনার হাত ধরে সমৃদ্ধির সড়কে ডবল মার্চ করছে জিয়াপতœী তখন ধ্বংসাত্মক জঙ্গী তৎপরতা ও মানবহত্যাপ্রবণ বোমাবাজিকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে চালাবার প্রয়াস পাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসতে পেরেছিলেন। এটাই প্রধান যুক্তি তথাকথিত সুশীল সমাজের। হিটলার মুসোলিনীও যে নির্বাচিত হয়েছিল সে সত্যের পাশকাটিয়ে কেবল কু-যুক্তি দেখিয়ে অনেক ‘চেকবুক সুশীল’ প্রতিনিয়ত গলাবাজি করছেন খালেদার পক্ষে। সংলাপের জন্য ওকালতি করছেন। কিন্তু এজেন্ডা নির্দিষ্ট করতে পারছেন না। কী নিয়ে সংলাপ হবে? ‘বঙ্গবন্ধু না পাকবন্ধু’, তাই নিয়ে? জনক শ্রেষ্ঠ না ঘোষক মুখ্য তাই নিয়ে? নাকি মুক্তিযুদ্ধের বছর না গ-গোলের বছর তাই নিয়ে! নাকি সংবিধান না মানা নিয়ে? সংবিধান নিয়ে সংলাপ হতে পারে কেবল সংবিধানসম্মত সংসদে। পেট্রোলবোমায় ঝলসে যাওয়া যন্ত্রণাকাতর মানুষের আর্তনাদ, স্বজনের হাহাকার ও আহাজারিতে পূর্ণ বার্ন ইউনিটের অলিন্দে কী সে আলোচনা সম্ভব? পাশ্চাত্যে মোট অঙ্কের ডলার চেক ও দামী স্কচের বিনিময়ে বড় বড় প-িতরা রাতকে দিন এবং দিনকে রাত বানাতে পারঙ্গম রয়েছেন। সারা বিশ্বের রক্তচোষা ইউরোপ আমেরিকার ‘এক শতাংশ’ শীর্ষ পুঁজি প্রভুদের মোটা চেকের মন্ত্রে চলছে আমাদের দেশের শত শত এনজিও। তাদের দুধকলায় লালিত পোশাকী বুদ্ধিজীবী ও মগজ ধোলাই হওয়া তথাকথিত সুশীলরাও বিদ্যার ডা-া দিয়ে মধ্যরাতে টকশো-সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। আইয়ুব-মোনায়েম আমলে তাদের পূর্বসূরীরা ‘স্বরচিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের’ কারখানা বানাতেও কুণ্ঠিত হননি। পত্রিকার সম্পাদকের আসনে বসলেই সম্পাদক হওয়া যায় না। আব্দুস সালাম, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, জহুর হোসেন চৌধুরী, আলতাফ হোসেনের মতো জাতির বিবেক হয়ে উঠতে হবে। মলোটভ ককটেল মেরে পৈশাচিক শিশু হত্যা, নারী হত্যা, বাস পোড়ানো ঘৃণ্য অবরোধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে জাতির বিবেক হয়ে উঠতে হয়। সে কথা কে শিখাবে সেই জ্ঞানপাপীদের? বোমাবাজি আর গণতান্ত্রিক রাজনীতি যে এক কথা নয়। সেটা বুঝতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প-িত হওয়ার কোন প্রয়োজন দেখি না। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসের সামান্য পাঠই যথেষ্ট মনে করি। চলুন আমরা ইতিহাস থেকে আজ কেবল সেই সরল পাঠটুকুই গ্রহণ করি।- ১৯২৮ সালের কথা। অহিংসমন্ত্রের ঋষি মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সারা ভারতবর্ষ তখন উত্তাল। স্বাধীনতার দাবিতে। বিলেত থেকে এলো সাইমন কমিশন। প্রতিবাদ জানাল কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ। ২৮ জানুয়ারি মান্দালয় জেল থেকে বেরিয়ে নেতাজী সুভাষ বসু ভারতীয় প্রতিনিধিত্ববর্জিত সাইমন কমিশন বয়কটের জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানালেন। লাহোরে লালা লাজপথ রায়ের নেতৃত্বে ‘ ‘গো-ব্যাক সাইমন’ মিছিল বের হলো। ব্রিটিশের হিংস্র পুলিশ লালা রাজপথ রায়কে বেদম পিটাল। সেই আঘাতে ১৭ নবেম্বর তিনি হাসপাতালে দেহ রক্ষা করলেন। খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল ভারতবর্ষ। বিপ্লবী নেতা ভগৎ সিং, শুকদেব, রাজগুরু, চন্দ্র শেখর আজাদ প্রমুখ বললেন, বদলা নিতে হবে। তারা ঠিকই বদলা নিলেন। লালাজির মৃত্যুর একমাস পর ১৭ ডিসেম্বর, পুলিশের ছোট কর্তা মি. স্যান্ডার্সকে হত্যা করে বিপ্লবীরা বুঝিয়ে দিলেন ভারতবর্ষের হৃদয়ের কথা। ৮ এপ্রিল, ১৯২৮ সাল। স্থান দিল্লীর আইন সভা ভবন। পাবলিক সেফটি বিল পাস করা হবে দেশের বিপ্লবী শক্তিকে স্তব্ধ করে দিতে। সহসা গোটা আইন ভবন কেঁপে উঠল বিস্ফোরণ শব্দে। স্বেচ্ছায় ধরা দিলেন ভগৎ সিং ও বটু দত্ত। বললেন, কাউকে হত্যা করা আমাদের লক্ষ্য নয়। তা হলে, একটি প্রাণী বেঁচে থাকত না। এ্যাসেমব্লি হাউসে বোমাবর্ষণ, সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও স্যান্ডার্স হত্যার দায় স্বীকার করলেন। ৫ মার্চ ১৯৩১ বড়লাট অরউইন গান্ধীজীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করলেন। কিন্তু বন্দীরা মুক্তি পেলেন না। অচিরেই লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ভগৎ সিং, শুকদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি কার্যকর হলো। নেতাজী ‘ইন্ডিয়া স্ট্রাগল’ গ্রন্থে লিখেছেন, গান্ধীজী ইচ্ছে করলে ভগৎ সিং ও সাথীদের অনায়াসেই বাঁচাতে পারতেন। এ প্রসঙ্গে বিদেশী ভাষ্যকার মাইকেল এডোয়ার্ডস লিখেছেন, ‘ভগৎ সিং সম্পর্কে কংগ্রেসের কোন মাথাব্যথা ছিল না। তাই অচিরেই তিনি হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির অতলে।’ বিপ্লবী রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে হয়, গণতন্ত্র কখনও সন্ত্রাসকে অনুমোদন করে না। সে কারণেই গণতান্ত্রিক দুনিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ?যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। চীন উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি উত্থিত মুসলিম জঙ্গীদের গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসের ধারাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উনি সন্ত্রাসের রানী, জঙ্গীবাদের রানী’। স্মরণ করা যেতে পারে যে, ঊনসত্তরে আইয়ুবের স্বৈরশাসন অবসানের লক্ষ্যে জ্বালাও পোড়াও করে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ভঙ্গ করলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। পাশ্চাত্য মিডিয়া তাঁকে প্রফেট অব ভায়োলেন্স বা ধ্বংসের নবী অভিধায় ভূষিত করল। একই সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে গণতান্ত্রিক তপস্যার জন্য প্রাচীনতম মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ উইক ‘রাজনীতির কবি’ উপাধিতে অলঙ্কৃত করেছিল। বর্তমান জ্বালাও পোড়াও এবং মলোটভ ককটেল সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপটে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ খুনের হুকুমদাতা জঙ্গীবাদী নেত্রীর স্থান আলোচনার টেবিলে হবে না। সন্ত্রাসের রানীর স্থান হবে কারাগারে।‘ যাত্রাবাড়ীর বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় শিশুসহ ২৮ নিরীহ যাত্রী পোড়াবার ঘটনায় পরিকল্পনাকারী ১৮ জনের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে ইতোমধ্যেই যাত্রবাড়ী থানায় ২ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে শান্তির আশায় আমজনতা কামনা করছে দুই নেত্রীর সমঝোতা! ইতিহাস হাঁটছে কোন্ পথে? লেখক : ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট অনিবার্য কারণে স্বদেশ রায়ের নির্ধারিত লেখাটি আজ প্রকাশ করা হলো না। -বি.স.
×