ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

আট দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় সুফি সঙ্গীত উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

আট দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় সুফি সঙ্গীত উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তাঁরা সবাই অধ্যাত্মবাদ বা ভক্তিমূলক গানের চর্চা করেন। এদের মধ্যে অনেকেই দলবেঁধে পরিবেশন করেন সুফি সঙ্গীত আবার কেউ বা গান শোনান একক কণ্ঠে। আর সুফি গানে নিবেদিত এমন আট দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী সুফি ফেস্ট ঢাকা ২০১৫। এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের রব ফকির, শফি ম-ল, অর্ণবের পাশাপাশি ভারতের জাবেদ আলী, মনোয়ার মাসুম ও পাকিস্তানের রাহাত ফতেহ আলী খানের মতো বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের। অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হলো মিসর, ব্রাজিল, তিউনিসিয়া, ডেনমার্ক ও স্পেনের সুফিসাধক ও দল। একক গানের পাশাপাশি রয়েছে ১২টি দলের পরিবেশনা। তবে উৎসবের উদ্বোধনী দিনে শ্রোতার সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। বিশাল উৎসব আঙ্গিনার অধিকাংশ আসন ছিল শ্রোতাশূন্য। রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ উৎসবের আয়োজক ব্লুজ কমিউনিকেশনস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনীয় বিনিময়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনের এ উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলকাতায় সুফিসাধকদের সঙ্গীতাসর সুফি সূত্রর আয়োজক অমিতাভ ভট্টাচার্য। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সুফি সঙ্গীতের ঘরানা প্রাচীন। আমাদের দেশের লালন, হাছনও এই ঘরানার গান করেছেন। আর এই গানের ধারার মর্মার্থ হলো ভালবাসা। তাই এই সুফি সঙ্গীত উসব আমাদের মানবিক করে তুলবে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই মানবিকতার স্পর্শ বেশি জরুরী। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার ভেতর খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই এই আয়োজন শুরু হলো। এই ধরার আমাদের মানবহিতৈষী করে তুলবে। আশা করি এ আয়োজন সবাইকে আনন্দ দেবে। অমিতাভ ভট্টাচার্য বললেন, ২০১১ সালে কলকাতায় শুরু করেছিলাম সুফি সঙ্গীতাসর সুফি সূত্র। একেক দেশের সুফি মিউজিক একেক রকম। তার পরিচিতি এক দেশের গান শুনে পাওয়া মুশকিল। সেইজন্যেই এ আয়োজনে শ্রোতারা বৈশি^ক স্বাদ পাবে। কলকাতার সুফি সূেত্রর চেয়ে ঢাকা সুফি ফেস্ট বড় আয়োজন। অর্ণব এ্যান্ড ফ্রেন্ডসের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সঙ্গীতাসর। শ্রোতাদের সুরে সুরে সিক্ত করে দলটি একে একে পরিবেশন করে ‘অমৃত মেঘের বারি’, ‘জাত গেলো জাত গেলো বলে’, ‘কে বোঝে মাওলার আলেকবাজি’, ‘চরণ ছাড়া করো না হে দয়াল হরি’সহ লাল সাঁইয়ের বেশ কিছু গান। অর্ণবের পর মঞ্চে আসেন তিউনিশিয়ার মেচকেট এবং ভারতের দুই শিল্পী দল সিডি গোমা ও শিল্পী জাভেদ আলী। আজ বুধবার উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রয়াণবার্ষিকীতে সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হক স্মরণ ॥ বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও সংগঠক ওয়াহিদুল হকের অষ্টম প্রয়াণবার্ষিকী ছিল মঙ্গলবার। বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ দিবসে নানা আয়োজনে জানানো হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁরই তাঁরই শ্রম ও মননে গড়া দুই সংগঠন ছায়ানট ও কণ্ঠশীলনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কর্মসূচী। গান, কবিতা ও কথায় স্মরণ করা হয় দেশের সংস্কৃতিচর্চার পথ নির্মাণের এই অগ্রপথিককে। রুনা লায়লার সঙ্গীতসন্ধ্যা ॥ সুরের মায়াজাল ছড়িয়ে গানে গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে এ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাঁচ দিনের জাতীয় নৃত্য নাট্যোৎসব শুরু ॥ জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী নৃত্যনাট্য উৎসবের সূচনা হলো। ১৫টি নৃত্যনাট্য নিয়ে সাজানো এ উৎসবের যৌথ আয়োজক শিল্পকলা একাডেমি ও নৃত্যশিল্পী সংস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাংলা খেয়াল উৎসব ৩১ জানুয়ারি ॥ বাংলা খেয়ালের প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্য দিয়ে রাতব্যাপী বাংলা খেয়াল উৎসবের আয়োজন করেছে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল আই। আগামী ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়েছে পর দিন ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত একটানা চলবে এই উৎসব। উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে তেজগাঁওয়ের চ্যানেল ভবনে ছাদ বারান্দায়। সুলতান স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কালিদাস কর্মকার ॥ দেশবরেণ্য পথিকৃৎ চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলে চলছে সপ্তাহব্যাপী সুলতান মেলা। নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া মহাবিদ্যালয়ের সুলতান মঞ্চ চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রতিবছরই থাকে গ্রামীণ খেলা-ধুলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান, সেমিনার, স্বর্ণপদক প্রদান, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
×