ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

একটি শিক্ষিত জাতির পক্ষেই সম্ভব সঠিক নির্দেশনাদানের মাধ্যমে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করা। তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদ- বলা হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ নানাভাবে শিক্ষা লাভ করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। শিক্ষার আলোকে আলোকিত হয়ে মানুষ সঙ্কীর্ণতা ও কুসংস্কার দূর করে সচেতন হয়ে উঠে। শিক্ষা সমাজে প্রচলতি প্রাচীন কুসংস্কার ও ঘুণেধরা ভাবধারার পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন ভাবধারার সৃষ্টি করে। শিক্ষা মানুষকে উদার হতে শেখায়। আত্মসচেতন এবং সমাজ ও রাজনীতি সচেতন করে তোলে। শিক্ষা মানুষকে মহৎ উদার ও ন্যায়পরায়ণ হতে শিক্ষা দেয়। যে জাতি শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। মোট কথা শিক্ষাই মানবজাতিকে পূর্ণতা দান করে। অতএব ওপরে উল্লিখিত চির অমর সত্যকথাগুলো আজ পদদলিত। কারণ বর্তমানে সমগ্র শিক্ষিত সমাজের কথাবার্তা আচার-আচরণ চিন্তা-ভাবনা মন-মানসিকতা দেখে মনে হয় এই চির সত্যকথাগুলোতে তারা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষা শব্দের অর্থ কি এ সম্পর্কেই তারা শিক্ষা নেয়নি। যে কারণে আজ সমাজের সর্বস্তরে অস্থিরতা আর ব্যর্থতা ভর করেছে। ঐক্যে ভাঙ্গন ধরেছে। সমাজে দলাদলিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ভক্তিশ্রদ্ধা হারিয়ে গেছে। অন্যায় অনিয়ম বাসা বেঁধেছে। অথচ দেশের একটি ঘরও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, ঘরে একটি শিক্ষিত মানুষ না আছে। ঘুষ-দুর্নীতি অন্যায়-অনিয়ম দখলবাজি চাঁদাবাজি জোরজুলুম ওই মাঠের কৃষক করে না, কারখানার শ্রমিকরা করে না, রিকশাওয়ালা আর দিনমজুররাও করে না, করে ওই শিক্ষিত কোট-টাই পরাওয়ালারা। তাহলে শিক্ষাই জাতির মেরুদ- এ কথার যথার্থতা আজ কোথায়। মুহম্মদ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা আত্মঘাতি আন্দোলন ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তাদের দেখা যায় না রাজপথে। তারা কোথায় জানি উধাও হয়ে যায়। তাদের শুধু দেখা যায় মিডিয়ার পর্দায় আর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দেখা যায় মাঠে জ্বালাও পোড়াওয়ের আন্দোলনে। আন্দোলন কি মিডিয়া দিয়ে করা যায়? আন্দোলন করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে। আন্দোলন কখনও বলে বা ঘোষণা করে দিন ঠিক করে হয় না। আন্দোলনের জন্য যে কোন মুহূর্তে তৈরি থাকতে হবে। বিএনপি তো বলে দেশের জনগণের সিংহ ভাগেই নাকি তাদের দখলে। তাহলে আন্দোলনের সময় তারা কোথায় থাকে। যেখানে এক শ’ সাধারণ জনগণ থাকে সেখানে দশজন সাধারণ পুলিশ কী আর করতে পারে। ৫ জানুয়ারি আন্দোলনের নাম করে দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে। যেখানে আন্দোলনের কথা বলে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে মরণযুদ্ধের। তাদের জন্য সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে জীবন। তাহলে তাদের ওপর কেন এত অত্যাচার-নির্যাতন? ভেবে দেখবেন কি? আর আন্দোলনের নাম দিয়ে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলবেন না বা পেট্রোলবোমা আর ককটেল দিয়ে তাদের গাড়িতে আগুন দেবেন না। আপনাদের তো অনেক গাড়ি রয়েছে তা রাস্তায় এনে আগুন দেন, ভাঙ্গেন। আপনাদের তো অনেক টাকা রয়েছে কিনতে পারবেন। সাধারণ জনগণ কিভাবে কিনবে এসব? মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পদব্রজে বা পায়ে হেঁটে ডিজিটাল যুগে এসে এখন আর কেহ হাঁটতে চায় না, নিতান্ত দায়ে পড়ে শুধু ডায়াবেটিস রোগীরা কিছুটা হাঁটে, তাদের এই হাঁটা আবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নির্ধারিত সময়ের বেশি আবার তাঁরা হাঁটতে পারেন না বা চান না। হাঁটা শুধু শরীর ঠিক রাখার জন্য নয়, হাঁটার অভ্যাসে অনেকে হতাশামুক্ত হতে পারেন। মনোবিজ্ঞানীর ভাষায়, হাঁটতে হাঁটতে মানুষ তার কোন বিষয়ে জাগ্রত অস্পষ্ট ধারণাকে স্পষ্ট করতে পারে। মনের চিন্তা বা দুঃখ থাকলে তা লাঘব করা যায় হাঁটার মাধ্যমে। একা হাঁটার চেয়ে জোটবদ্ধ হয়ে হাঁটা অধিক লাভজনক। এতে দেহ-মন প্রশান্তি লাভ করে এবং একে অপরের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই কর্মব্যস্ত জীবনে চেষ্টা করে আমরা যদি হাঁটার সময় বের করে নিতে পারি তাহলে আমরা অভূতপূর্ব অনুভূতির সন্ধান পাব। ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়াডসওয়ার্থ বলেছেন, হাঁটতে বের হলেই আমরা অবাক করা কিছু আবিষ্কার করি, হাঁটার আগে শত চেষ্টা করেও পারি না। তাই সবাই যদি হাঁটার অভ্যাস করে এবং দেহ-মন প্রসন্ন রাখে ও সুস্থতার জন্য হাঁটাকে বাধ্যতামূলক কাজ হিসেবে গ্রহণ করা যায়। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী
×