ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে কালভার্টের দুই পাশ ভরাট ॥ পানি চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

ময়মনসিংহে কালভার্টের দুই পাশ ভরাট ॥ পানি চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ সব বাধা-বিপত্তি আর এলাকাবাসীর আপত্তির পরও শেষ পর্যন্ত মাটি ফেলে ভরাট করা হলো ময়মনসিংহ শহরতলী চায়না মোড়ের একটি বড় কালভার্টের দুই পাশ। ফলে আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনের আর কোন পথ থাকল না। অভিযোগÑ সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই কালভার্টের দুই পাশ ভরাট করে প্রভাবশালী বাদল চন্দ্র বসাক ও লোকমান হোসেন রিপন জবরদখল করে নির্মাণ করেছেন অর্ধশতাধিক দোকানপাটের বাণিজ্যিক মার্কেট। এ নিয়ে এলাকার দুই শতাধিক মানুষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। এলাকাবাসীর তীব্র অসন্তোষের মুখে সড়ক বিভাগ জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ উচ্ছেদেও নোটিস দিয়েছিল। এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও শুক্রবার ভোরে মাটি ফেলে তড়িঘড়ি ভরাট করে ফেলা হয়েছে সেই কালভার্টের দুই পাশ। প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে কয়েকশ’ মুসল্লি ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের চায়না মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে দৈনিক জনকণ্ঠে গত ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। সওজের সরকারী জমি জবরদখলের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী যোগাযোগমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন। সওজের সরকারী জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যোগাযোগমন্ত্রীর জিহাদ ঘোষণার পর ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের জমিতে এভাবে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের চতুর্থ কিলোমিটারের চরঈশ্বরদিয়া মৌজার চায়না মোড়সংলগ্ন ৩১৬৩, ৩১৬৫ ও ৩১৬৭ নম্বর দাগের ২৫ শতাংশ জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা। এই জমির একাংশে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট রয়েছে। চরকালীবাড়ি আবাসিক এলাকাসহ আশপাশের ফসলি জমির পানি এই কালভার্ট দিয়ে নিষ্কাশিত হচ্ছে। অভিযোগÑ স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসী লোকমান হোসেন রিপন কালভার্টের পানি নিষ্কাশনমুখে প্রকাশ্যে মাটি ফেলে রাতারাতি ভরাট করে জবরদখল করে নেয় কোটি টাকার সরকারী জমি। আরেক অংশ বাদল চন্দ্র বসাক মাটি ফেলে ভরাট করে নির্মাণ করে অর্ধশত বাণিজ্যিক দোকান। এলাকাবাসী জানায়, সরকারী জমি জবরদখল করে মাটি ভরাটের শুরুতে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগকে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি সড়ক বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা।
×