ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া স্মিথের ইতিহাস

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া স্মিথের ইতিহাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট-ওয়ানডে দুই ঘারনাতেই নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরির অনন্য নজির স্থাপন করলেন স্টিভেন স্মিথ। শুক্রবার ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এ কীর্তি গড়েন ২৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান তারকা। ৩ উইকেটের দারুণ জয়ে সবার আগে দলকে তুলে নেন ফাইনালে। হোবার্টে ইয়ান বেলের সেঞ্চুরির (১৪১) সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১ বল বাকি থাকতে নাটকীয় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। অপরাজিত ১০২ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচসেরা স্মিথ। ১৭.৪ ওভারে ১১৩ রান তুলে ইংল্যান্ডকে চমৎকার সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার। মঈন আলি ৪৬ রান করে আউট হলেও ক্যারিয়ারের ৪র্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ ইয়ান বেল। ১২৫ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ১৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ডানহাতি ইংলিশ ওপেনার। এর মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ড ইতিহাসের সর্বাধিক ওয়ানডে রানের মালিক বনে গেলেন ৩২ বছর বয়সী ওয়ার্কউইশায়ারম্যান। ১৫৩ ম্যাচে তার রান এখন ৫,১৩৬। হাফ সেঞ্চুরি ৩২টি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫ হাজারের ওপরে ওয়ানডে রান করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। ৫,০৯২ রান নিয়ে এতদিন ওপরে ছিলেন সাবেক তারকা পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহে জো রুটের হাফ সেঞ্চুরি (৭০ বলে ৬৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখে। স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে শেষদিকে স্বচ্ছন্দে রান তুলতে ব্যর্থ হন ইংলিশরা। জবাবে ৯২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই শুরু হয় স্মিথের গল্প। ‘এ বর্ন ফাইটার’Ñ জন্মযোদ্ধা বলে একটি কথা আছে, স্মিধ যেন ‘এ বর্ন লিডার!’ এর আগে ভারতের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত সিরিজে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন। সেই ধারা বয়ে আনলেন ওয়ানডেতেও। আগের ম্যাচে সেøা-ওভার রেটের খ—েগ পড়ে নিষিদ্ধ হন ইনজুরিগ্রস্ত মাইকেল ক্লার্কের পরিবর্তে নেতৃত্ব দেয়া জর্জ বেইলি। কাল দায়িত্ব পড়ে স্মিথের কাঁধে। ইতিহাস গড়েই সেই দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। ৯৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে জেতালেন দলকে, হলেন ম্যাচসেরা। ক্রিস ওকস, মঈন আলি ও স্টিভেন ফিন নেন দুট করে উইকেট। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড ৩০৩/৮ (৫০ ওভার; বেল ১৪১, রুট ৬৯, মঈন ৪৬, বাটলার ২৫; সান্ধু ২/৪৯, হেনরিকুয়েস ১/৩৪), অস্ট্রেলিয়া ৩০৪/৭ (৪৯.৫ ওভার; স্মিথ ১০২*, শন মার্শ ৪৫, হ্যাডিন ৪২, ম্যাক্সওয়েল ৩৭, ফাকনার ৩৫, ফিঞ্চ ৩২; মঈন ২/৫০, ওকস ২/৫৮) ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী, ম্যাচসেরা ॥ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)।
×