ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেয়ার পরও গুলশান কার্যালয় ছাড়তে চাচ্ছেন না। গ্রেফতারের আতঙ্ক;###;কূটনৈতিক জোন থেকে রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার দাবি বিভিন্ন মহলের;###;সংসদে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

খুনীর বিচার হবে

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

খুনীর বিচার হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, ব্যক্তিস্বার্থে আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়া মানুষ হত্যার মহোৎসবে মেতেছেন। একজন খুনীর যেভাবে বিচার হওয়া উচিত, সেভাবেই তাঁর বিচার করা হবে। মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষা ও তাদের নিরাপত্তায় সরকার থেকে যা যা করার তাই করা হবে। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। দেশবাসীর সহযোগিতা ও বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারাই বোমা মেরে, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করবে, তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যারা সন্ত্রাসী-খুনীদের ধরিয়ে দেবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। একই সময় প্রধানমন্ত্রী সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিটি সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে সন্ত্রাসীবিরোধী কমিটি গঠন করে খুনী-জঙ্গীদের নির্মূল করতে সহযোগিতা করুন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন। তাঁর ভুলের খেসারত জনগণকে কেন দিতে হবে? তিনি বলেন, যখন সময় হবে তখনই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্যও তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের নামে দেশজুড়ে সহিংসতা, নাশকতা ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে পয়েন্ট অব অর্ডারে সরকার ও বিরোধী দলের অনির্ধারিত বিতর্কের শেষ অংশে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটতে দেব না, জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেব না। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের নির্মূলে যা করার তাই করব। কথিত কিছু বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন খুনীর (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কেন আমাকে এক পাল্লায় মাপতে চান? জিয়াউর রহমান তো আমার মা-বাবা হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছেন, আর খালেদা জিয়াও ’৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত দুই খুনীকে বিজয়ী করে সংসদে বসিয়েছিলেন। এখনও নির্বিচারে উনি মানুষ হত্যা করে যাচ্ছেন। সেই খুনীর সঙ্গে আমাকে মেলাতে চান কেন? আপনাদের যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে তবে জনগণের কাছে যান, নির্বাচনে অংশ নিন। কিন্তু অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মেলাবেন, আবার নিজেদের জাতির বিবেক বলে দাবি করবেন- দুঃখিত আমি তা মেনে নিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বিষের দংশনে গোটা দেশ আজ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। ২০ দলীয় জোট বিষধর সাপ হয়ে দেশ ও জনগণকে দংশন করছে। মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার ও পুড়িয়ে হত্যা করছে। তিনি বলেন, আসলে খালেদা জিয়ার আন্দোলন জাতীয় স্বার্থে কিংবা জনগণের কল্যাণে নয়। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২১ জনকে হত্যার অভিযোগের হত্যা মামলা থেকে তাঁর পুত্রকে রক্ষা এবং এতিমের অর্থ আত্মসাতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যক্তি স্বার্থ থেকেই খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মানুষের রক্ত নিয়ে খালেদা জিয়া কি অর্জন করতে চান? দেশকে তিনি কোথায় নিয়ে যেতে চান? দেশের জনগণ এসব আর মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রীর পর বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদও মঙ্গলবার সংসদে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের নামে সহিংসতা-নাশকতা প্রতিরোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। কঠোরহস্তে সহিংসতা-অরাজকতা দমনে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর যে কোন পদক্ষেপকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে কোনকিছু আদায় বা অর্জন করা যায় না। কেন তারা দেশকে শ্মশান বানাতে চাইছে। এসব নাশকতা ও মানুষ হত্যা মুখ বুঝে সহ্য করা যায় না, মেনেও নেয়া হবে না। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত এ বিতর্কের সূত্রপাত করেন বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। বিরোধী দলের নেতা ছাড়াও অনির্ধারিত এই বিতর্কে অংশ নেন সরকারি দলের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে কোনকিছুৃ আদায় বা অর্জন করা যায় না। হরতাল-অবরোধ এখন জনমনে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে একের পর এক সহিংসতা-অরাজকতা ও নৃশংসতা ঘটেই যাচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। বাসে-প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোল বোমা মেরে ছোট ছোট শিশুদের যেভাবে পুড়িয়ে মেরেছে, তা দেখে কোন মানুষ চোখের অশ্রু সংবরণ করতে পারবে না। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি বেড়েই চলেছে। ট্রেনে ফিশপ্লেট তুলে ফেলে দুর্ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষ। জনগণকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জনগণকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়ে এসব নৃশংসা চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আনতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীও রেহাই পাচ্ছে না। তাদের হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় ইমানদার মুসল্লিরা আসতে পারেনি, স্বস্তিভাবে আন্দোলনকারীরা এজতেমা পালন করতে দেয়নি। সত্যিকার মুসলমান হলে অবরোধ শিথিল করা উচিত ছিল। ১৫-১৬ দিনে অর্থনৈতিকভাবে দেশ ২৫/৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, প্রায় ৫০ জনের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। ৫শ’ গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে কেন খেলায় মেতে উঠেছে? এতো হত্যার দায়-দায়িত্ব কার? কে নেবে? লাখ লাখ শ্রমিক-মজুররা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্প হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেন নিজেরা অরাজকতা সৃষ্টি করছি? এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে দেশের কল্যাণ করা যায় না। দেশকে শ্মশান বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কেন? বিরোধী দলের নেতা আরও বলেন, সন্ত্রাস-সহিংসতা-অরাজকতা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। খালেদা জিয়া একজন খুনী। খুন করার নির্দেশ দিয়ে খুনীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। তিনি বলেন, একাত্তরে উনি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, উনার স্বামী তাঁকে ফিরিয়ে নিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। আজ খালেদা জিয়া দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছেন। তিনি বলেন, নিজের স্বামীর জন্মবার্ষিকীতেও মাজারে যাননি। বরং নিরীহ মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী-নাশকতাকারীদের ধরে জনগণ গণধোলাই দেয়া শুরু করেছে। জনগণ ক্ষেপে উঠছে। এটা আন্দোলন নয়, সন্ত্রাসী কর্মকা-। পরাজিতরা একাত্তরের বদলা নিতে চায়। খালেদা জিয়া নিষ্ঠুর ও হৃদয়হীন মানুষ, তিনি দেশকে ধ্বংস করতে চান। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। লাশ ফেলানোই বিএনপির ইতিহাস। সরকার থেকেও মানুষ মেরেেেছ, এখনও নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল নয়, একটি ফ্যাসিস্ট, জঙ্গীবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল। জিয়ার হাতও রক্তে রঞ্জিত, কালিমালিপ্ত। কোন বিচার ছাড়াই জিয়া শত শত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করেছে। খালেদা জিয়া একজন পরাজিত সৈনিক। তাঁর সৈনিকরা পালিয়ে গেছে উনি এখন একা। জনসমর্থন ও নিজ দলের নেতাকর্মীসহ সবকিছু হারিয়ে হতাশ খালেদা জিয়া ভাড়া করা গুন্ডা-টোকাইদের ভাড়া করে মানুষ হত্যার মিশনে নেমেছেন। যত রাগ এখন জনগণের বিরুদ্ধে, সেই রাগে মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। সরকারী দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিএনপিকে মিথ্যাচারের দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। জঙ্গী-সন্ত্রাসী-স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে খালেদা জিয়া আবারও হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছেন। ৫০ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। মানুষ হত্যাকারীর সঙ্গে কীসের সংলাপ? নির্বাচনের ট্রেন উনি ফেল করেছেন। উনার ভুলের খেসারত কেন জনগণ দেবে? এখন আর বসে থাকা যাবে না। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩০টি হত্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা পেছাবও না, পরাজিতও হব না- বিজয় আবার আমাদের হবে। খালেদা জিয়া দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চান। আবদুল মতিন খসরু বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় উম্মত্ত খালেদা জিয়া দেশের ১৬ কোটি মানুষের গায়ে আগুন দিচ্ছেন। ৩০ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন খালেদা জিয়া। সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩০টি হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের মূল এজেন্ডাই হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কীভাবে মামলা থেকে রেহাই পাবে এবং একাত্তরের ঘাতকরা মুক্তি পাবে। একাত্তরের ঘাতক জামায়াত বিএনপির পেটে ঢুকে গেছে, বিএনপি এখন জামায়াতের কথায় উঠবস করছে। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, খালেদা জিয়া মানুষ নামের কলঙ্ক, নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোন অধিকার তাঁর নেই। ২৮ জন মানুষকে উনি পুড়িয়ে মেরেছেন। ২০ দলে যেসব ইসলামিক চিন্তাবিদ আছেন, তাদের উচিত এখনই বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা। নইলে কেয়ামতেও তাঁরা স্থান পাবেন না। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজি বলেন, এটা আন্দোলন নয়, রীতিমতো হত্যাযজ্ঞ চলছে। জনগণ কোনভাবেই তা গ্রহণ করছে না। রাজপথে না থেকে গুপ্তঘাতকের মতো মানুষ হত্যা কখনও রাজনীতি হতে পারে না। এটা রাজনীতি নয়, কসাইগিরি চলছে।
×