ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাঝে হতাশা

প্রকাশিত: ০৩:০০, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাঝে হতাশা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রফতানি আদেশ বাতিল, শিপমেন্ট বিলম্বিত হওয়া আর কাজ না থাকায় হতাশা তৈরি হয়েছে পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে। নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করার পাশাপাশি অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রুগ্ন শিল্পে পরিণত হওয়ার শঙ্কা। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকখাতের ২৭ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতাদের কাছে এসে এমন হতাশা আর শঙ্কার কথা তুলে ধরেন তারা। সোমবার বিকালে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সংগঠনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কক্ষে এসে এমন কথা তুলে ধরেন অনেকে। এদিকে হরতাল-অবরোধের বিকল্প শান্তিপূর্ণ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। ‘হরতাল-অবরোধের বিকল্প শান্তিপূর্ণ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী কি হতে পারে না?’ এই শিরোনামে স্ট্যাটাস দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে । এতে বলা হয়, ‘অবরোধে থমকে পড়েছে পোশাক শিল্প’। ১৪ দিনের অবরোধে তৈরি পোশাকখাতে ডিসকাউন্ট, রফতানি আদেশ বাতিল, এয়ার শিপমেন্ট ও উৎপাদন ক্ষতি বাবদ পোশাক শিল্পখাতের ৭শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিএইএ’র নেতা বলেন, গত বছরের ৫ জানুয়ারির হরতালের একটা সুনির্দিষ্ট ডেট লাইন ছিল। যার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ওই সময়ের পর আমাদের রফতানি আদেশ দিয়েছিল। এবারের অবরোধ চলছে লক্ষ্যহীনভাবে। কবেনাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তা কেউ জানে না। পোশাক খাতের আরেক উদ্যোক্তা জানান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাঁর কারখানায় কোন কাজ নেই। ওই মাসের যে অর্ডার ছিল, বায়ার তা স্থগিত করেছে। এক উদ্যোক্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বিজিএইএ’র আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘তাঁর কারখানার ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। ৩ দশমিক ৬ ডলারের পণ্য শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়েছে। এখন তিনি বিমানে পণ্য পাঠালে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। বিজিএমইএ সূত্র জানায়, গত বড় দিনে ইউরোপ ও আমেরিকার ব্রান্ডগুলোর বিক্রি ছিল প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
×