ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, দুর্ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, দুর্ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সারাদেশে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠা-ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা পড়েছে। দেশের অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনেও পড়ছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। দরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছে না। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র শীতে ফসলে দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরি। গৃহপালিত গবাদিপশুও শীতে জবুথবু। ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের। রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে ফের জেঁকে বসেছে শীত। সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া, সেই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত দুইদিনের শীতে বাড়তে শুরু করেছে ঠা-াজনিত নানা রোগ। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের মুখ না দেখা যাওয়ায় ঠা-ার তীব্রতা বেড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের এ তীব্রতা বেড়েছে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এদিকে তীব্র শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ শীতবস্ত্রের দোকানে ভিড় করছে। শীতজনিত রোগে রামেক হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কুড়িগ্রাম ॥ উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় হিমালয় পাদদেশীয় কুড়িগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে এ অঞ্চলের হতদরিদ্র আট লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। দিনের বেলা দরিদ্র শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচ- ঠা-ায় দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ কাজে যেতে পারছে না। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ অঞ্চলে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ অবস্থা আরও দু’তিন দিন থাকতে পারে। তীব্র শীতে আগাম জাতের আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা ॥ উত্তরের হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকায় জেলার সর্বত্র কনকনে ঠা-া বাতাসের সঙ্গে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে এবং দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। সোমবার সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘনকুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌচলাচল বিঘিœত হচ্ছে। শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গৃহপালিত পশু-পাখিরও বেহাল দশা। নীলফামারী ॥ ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ প্রবাদের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত তিনদিনের শৈত্যপ্রবাহে জেলায় জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সোমবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুরে তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরের মানুষজন খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। এদিকে নীলফামারী ও ঢাকা চেম্বার, বিমানবাহিনীর পরিবার কল্যাণ সমিতি, প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা, জেলা ছাত্রলীগ ও নোয়াখালী ফাউন্ডেশন পৃথকভাবে হরিজন সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। রংপুর ॥ আবারও শীত জেঁকে বসেছে রংপুরে। প্রকৃতি ঢাকা পড়েছে ঘনকুয়াশার চাদরে। শীত আর শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু জনজীবন। এরই মাঝে আজ মঙ্গলবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানায় আবহাওয়া দফতর। এদিকে তীব্র শীতের কারণে নদী তীরবর্তী এবং খেটে খাওয়া শ্রমজীবীদের কষ্টের যেন শেষ নেই। কমে গেছে তাদের আয়। শেরপুর ॥ ঘন কুয়াশা, শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে শেরপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শীতের কারণে শহরে জনসমাগম ছিল খুবই কম। সকালে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার জন্য শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে নৌচলাচল বিঘিœত হয়। শীতজনিত কারণে শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে আলু আবাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস। ভোলা ॥ ভোলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন, দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্ররা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই শিশু মারা গেছে। ভোলার উপকূল ও নদী তীরবর্তী এলাকার দুই লাখেরও অধিক মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সরকারীভাবে খুব কম কম্বল বরাদ্দ হওয়ায় অনেকের ভাগ্যে তা জোটেনি। পাবনা ॥ শৈত্যপ্রবাহে জেলার জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘনকুয়াশার সঙ্গে ঠা-া বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় জনজীবন বিঘিœত হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ শৈত্যপ্রবাহের কবলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। শীতজনিত রোগে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা ॥ তীব্র শীতে দামুড়হুদাসহ জেলার সর্বত্র জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শীতজনিত রোগে শিশুসহ বৃদ্ধদের মধ্যে নানা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। পেট্রোলবোমা
×