ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ার কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তোড়জোড়

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

শেয়ার কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তোড়জোড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ার কারসাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় আকস্মিকভাবে তোড়জোড় শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লিখিত যৌথ ইন্সপেকশন দল, অমনিবাস হিসাব, ১৭ কেইসস্টাডি ও সম্পদ অধিক মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে তা জানতে চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির চার বছর অতিবাহিত হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি কারসাজির রহস্য উদ্ঘাটনে সরকারের নির্দেশে ২০১১ সালে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। আকস্মিকভাবে গত ৮ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব নিয়াজ রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তবে বিএসইসি চিঠি পেয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বক্ষণিক যৌথ ইন্সপেকশন দলের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটি ২০১১ সালের সুপারিশের আলোকে সর্বক্ষণিক যৌথ ইন্সপেকশন দল গঠনের পর কার্যপরিধির আলোকে এ যাবত কয়টি সভা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে কয়টি ইন্সপেকশন রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে, ইন্সপেকশন পরিকল্পনা প্রণয়নে কী কী কার্যক্রম নেয়া হয়েছে, তা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অমনিবাস হিসাবের (এ্যাকাউন্ট) শ্যাডো হিসেবে সংঘটিত কারসাজি উদ্ঘাটনের নির্দেশ দেয়া হয়। এমতাবস্থায় শ্যাডো হিসাব পরীক্ষার সুপারিশটি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং গৃহীত পদক্ষেপের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার জন্য বিএসইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১৭ কেইসস্টাডি সম্পর্কে বিএসইসিকে জানানো হয়েছে, পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে কেইসস্টাডি পর্বে চিহ্নিত ১৭টি সমস্যার অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত ব্যস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই সুপারিশ অনুযায়ী, কেইসস্টাডি পর্বে চিহ্নিত ১৭টি সমস্যার ওপর দ্রুত শুনানি গ্রহণ করে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কত দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে- সে সম্পর্কে সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এছাড়া সম্পদ অধিক মূল্যায়নের টেস্ট কেইস সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটি ২০১১ সালের সুপারিশের আলোকে সম্পদ অধিক মূল্যায়নের টেস্ট কেইস ব্যস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই সুপারিশ অনুযায়ী টেস্ট কেইস হিসেবে বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওশ্যান কনটেইনার্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, লিবরা ইনফিউশনস, সোনালি আঁশ ও রহিম টেক্সটাইলের সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের যথার্থতা প্রয়োজনীয় সংখ্যক চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট কমিটি দিয়ে পুনঃপরীক্ষার জন্য বাহির থেকে বিধিমতে, চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করা এবং এতে অনিয়ম পাওয়া গেলে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
×