ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাধুবাদ

জামায়াত ঘেঁষা পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

জামায়াত ঘেঁষা পুলিশ কর্মকর্তাকে  বদলি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৮ জানুয়ারি ॥ জামায়াত-শিবিরের আস্থাভাজন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম খুরশিদ হোসেনকে বদলি করায় পাবনার মুক্তিযোদ্ধারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। এম খুরশিদ হোসেনের আমলে রাজশাহীতে জামায়াত-শিবির কর্তৃক পুলিশ হত্যাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। এম খুরশিদ হোসেন ২০০৪ সালের ১০ জুন থেকে ২০০৬ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত পাবনা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। চারদলীয় জোট আমলে তৎকালীন মন্ত্রী জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সোবহানের প্রিয়ভাজন ছিলেন। এম খুরশিদ হোসেন সে সময় পাবনা সদরের জামায়াত সংসদ সদস্য বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী মামলায় আটককৃত মাওলানা সোবহানের ইমামতিতে প্রায়ই নামাজ পড়তেন। নামাজ পড়ার পর তিনি বলতেন আল্লাহ আমাকে বেহেস্ত নসিব করবেন। পাবনায় চাকরিকালীন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দ তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেন, আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ এ কথা বলতে লজ্জা হয়। এম খুরশিদ হোসেন পাবনায় এসপি পদে চাকরিকালীন পুলিশের সিপাহি পদে দুই দফা নিয়োগ দেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটায় সিপাহি পদের নিয়োগ না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সে সময় পাবনা প্রেসক্লাবে পুলিশ সুপার এম খুরশিদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা খুরশিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানিয়েছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটার বিষয়টি জটিল। কারণ বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ভুয়া বা জাল। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটায় কাউকে নিয়োগ দেননি। এ বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। জামায়াত ঘরানার পুলিশ কর্মকর্তা খুরশিদ হোসেনকে তাই রাজশাহী বিভাগ থেকে অন্যত্র বদলি করায় পাবনার মুক্তিযোদ্ধারা সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাবনার মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম খুরশিদ হোসেন রাজশাহীতে চাকরিকালীন জামায়াত-শিবির কর্তৃক পুলিশ হত্যা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা তদন্তের দাবি করেছেন।
×