ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালীতে সংখ্যালঘু পরিবারকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

পটুয়াখালীতে সংখ্যালঘু পরিবারকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৮ জানুয়ারি ॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে তাঁর পৈত্রিক বসতবাড়ি থেকে আঃ ছত্তার হাওলাদার কর্তৃক উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ধনাঢ্য ছত্তার হাওলাদার অবৈধভাবে গোপন কবলা দলিল বলে সহায়-সম্পত্তি এমনকি একমাত্র শেষ আশ্রয়স্থল পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি জবর-দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই মহলটি সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের এলাকা ছাড়া করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অব্যাহত হুমকিতে সংখ্যালঘু পরিবারের ৫ সদস্য অসহায় ও ভীত-সন্ত্রস্ত এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এর প্রতিকার চেয়ে গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান সিকদার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ধনাঢ্য আঃ ছত্তার হাওলাদার অবৈধ অর্থ-বিত্ত আর সন্ত্রাসী বাহিনীর জোর খাটিয়ে একই এলাকার প্রতিবেশী মৃত আনন্দ বিশ্বাসের বড় ছেলে শ্রী মিন্টু বিশ্বাসকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নানা অপকৌশলে এলাকার সকলের অজান্তে গোপনীয়ভাবে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি একমাত্র বসত-ভিটার ৩২ শতাংশ জমি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় রেজিস্ট্রি করে নেয়। একই সঙ্গে ৩ বছরের সময় বেঁধে দিয়ে আলাদা একটি চুক্তিপত্র করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল ৩ বছরের মধ্যে ব্যাংকের সুদহারে সমুদয় টাকা ফেরৎ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রিকৃত জমি ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু চক্রটি সহজ-সরল, অসহায়-গরিব, সহায়-সম্বলহীন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য দিনমজুর মিন্টু বিশ্বাসকে বিদেশ না পাঠালে ২ বছরের মধ্যে চুক্তিপত্র অনুযায়ী সুদসমেত সব টাকা দিয়ে জমি ফেরত চাইতে গেলে প্রভাবশালী চক্রটি টালবাহানা শুরু করে। ইতোমধ্যেই ঐ জমিতে থাকা কয়েকটি গাছ কেটে নেয়া ছত্তার হাওলাদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। জমি থেকে পর্যাপ্ত মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে ভরাট এবং জমির পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারটিকে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত আঃ ছত্তার হাওলাদার ঘটনার সত্যতা পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন, নগদ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। আমি কাউকে চিনি না। রেজিস্ট্রি করা জমি কাউকে ফেরত দেয়া হবে না। হুমকি-ধমকি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা (মিন্টু পরিবার) আমার প্রতিবেশী। তাদের হুমকি দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ইউএনও শাব্বির আহমদ বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার আমার কাছে এসেছিল। উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
×