ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজাপাকসেকে হারাতে ‘র’-এর ভূমিকা ছিল!

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

রাজাপাকসেকে হারাতে ‘র’-এর ভূমিকা ছিল!

শ্রীলঙ্কা চলতি মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কলম্বো স্টেশন প্রধানকে বহিষ্কার করে। তিনি প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাজে বিরোধী দলগুলোকে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ এনে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়। রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্রে একথা বলা হয়। খবর এনডিটিভির। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এরূপ বহিষ্কারের কোন ঘটনা ঘটার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কর্মী বদলি রুটিন মাফিক বিষয়। রাজাপাকসে এসব তথ্য জানেন না বলে এক বার্তা সংস্থাকে জানান। তিনি ৮ জানুয়ারির নির্বাচনে ক্ষমতা হারান। তার কলম্বোর নতুন সরকার ওইসব খবর সম্পর্কে অবহিত বলে জানালেও সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু কলম্বো ও নয়াদিল্লীর কয়েক সূত্রে বলা হয়, ডিসেম্বরে ওই এজেন্টকে প্রত্যাহার করে নিতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কারণ তিনি রাজাপাকসের মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়াতে মৈত্রীপালা সিরিসেনাকে রাজি করানোর পর সম্মিলিত বিরোধী দলীয় প্রার্থী হিসেবে সিরিসেনার প্রতি সমর্থন সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছিলেন। ২৮ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার সানডে টাইমস পত্রিকার এক সংক্ষিপ্ত খবরে বলা হয়, সম্মিলিত বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণেই ভারতের রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) কলম্বো স্টেশন প্রধানকে চলে যেতে হয়েছে। ভারত এর দক্ষিণ উপকূলের ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রায়ই জড়িত হয়। দিল্লী সেখানে সরকার ও তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ১৯৮৭ সালে সৈন্য পাঠিয়েছিল, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শ্রীলঙ্কায় দু’মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট থাকার পর রাজাপাকসে অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হন। তিনি ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রভাব হারাচ্ছে বলে দিল্লীতে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দেখা দেয়। ওই উদ্বেগ গত বছরের শেষ দিকে আশঙ্কার রূপ নেয়। তখন রাজাপাকসে নয়াদিল্লীকে না জানিয়েই দু’টি চীনা সাবমেরিনকে শ্রীলঙ্কার পোতাশ্রয়ে ভিড়ার অনুমতি দেন। এক স্থায়ী চুক্তির অধীনে তাঁরা ভারতকে ওই বিষয়ে জানানো উচিত ছিল। নয়া প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা তার প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে আগামী মাসে ভারতে যাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ভারতই তাঁর বৈদেশিক নীতির প্রথম ও প্রধান বিষয়।
×