ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

(এর আগের ছয়টি কিস্তিতে আমরা জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের ইশতেহার, ২০১৪ সালের ইশতেহার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করছি। সামনেও এই বিষয়টি আরও আলোচিত হবে) ॥ সাত ॥ আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি তখন আমরা ঐ সময়টাতেই আমাদের দেশটার জ্ঞানভিত্তিক রূপায়নের ভিতটা মজবুত করতে চেয়েছিলাম। আমাদের ধারণায় সেটি এমন হবে : “বস্তুগত সম্পদের চাইতে মেধাজাত সম্পদ সৃষ্টির প্রতি সকলের বেশি আগ্রহ রয়েছে। মেধার বিকাশ, সংরক্ষণ ও সৃজনশীলতাই হচ্ছে নীতি ও নৈতিকতার কেন্দ্র। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক সৃষ্টির বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। প্রচলিত কৃষি-শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুতে বঙ্গবাসীর বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কল্যাণে তথা মেধার স্পর্শে মূল্য সংযোজন এমনভাবে হচ্ছে যে, বস্তুগত মূল্যের চাইতে মেধাজাত মূল্য সংযোজন অনেক বেশি হচ্ছে। নারী ও তরুণরা এসব কাজে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকছেন। বয়স্করা প্রধানত অভিভাবকত্ব এবং অবসর জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনীতি হয়ে উঠেছে ব্যাপকভাবে চাঙ্গা। দুই ডিজিটের নিচে কোন বছরে প্রবৃদ্ধি হয় না। অর্থনৈতিক কর্মকা-ে পুরো জাতির অংশগ্রহণ এমন একটি অবস্থায় বিরাজ করছে যে আমরা বিদেশী সহায়তা-বিশ^ব্যাংক, আইএমএফদের কথা ভুলে গেছি। ওরা বাংলাদেশে অফিস রাখার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। নিজেদের অর্থ দিয়ে আমরা আমাদের উন্নয়ন করছি। দাতারা আমাদের জন্য প্রেসক্রিপশন দিতে পারছে না বরং বলা যায় আমরা তাদের ধার ধারি না। বরং আমরা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিচ্ছি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের রূপরেখা কেমন হয়। দুনিয়ার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি একটি শিক্ষণীয় বিষয়।” (ডিজিটাল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সংস্করণ- মোস্তাফা জব্বার) শেখ হাসিনার স্বপ্ন যখন এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, তখন ছয় বছরে তিনি সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই চলেছেন। তাঁকে এর জন্য বদলাতে হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রবাহমান পুঁজিবাদী কাঠামো। রাষ্ট্র একতরফাভাবে পুঁজির যে দাসত্ব করত তা থেকে একে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি জনগণের জন্য কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়ে উঠেছে অপরিহার্য। এই দুরূহ কাজটি শেখ হাসিনা শুরু করেছেন। গত ছয় বছরের সামগ্রিক অগ্রগতির সূচক বাংলাদেশকে এখন এক অনন্য অবস্থানে প্রতিস্থাপন করেছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে চাই সেটি তার সঠিক পথেই রয়েছে। শেখ হাসিনা যথাযথভাবেই তার নেতৃত্ব প্রদান করছেন। তবে রাষ্ট্রকাঠামোতে পুঁজিবাদের যেসব ধারক বসে আছেন এবং তিনি প্রতিনিয়ত যতটা চাপের মাঝে থাকেন তাতে এটিই হবে তাঁর জন্য কঠিনমতো লড়াই। তবে আমার কাছে মনে হয়, শেখ হাসিনার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের এই রাষ্ট্রটিকে জনগণের রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। বিশেষ করে যখন আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজের কথা বলছি তখন এর ডিজিটাল রূপান্তরটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। বাংলাদেশ যে কারণে স্বাধীন হয়েছিল তার ঘোষণাটি পাঠ করলেই এর অপরিহার্যতা উপলব্ধি করা যাবে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকা শহরের পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্বাধীনতা ঘোষণার ইশতেহারে বলা হয়, “এই সভা পাকিস্তানী উপনিবেশবাদের কবল হইতে মুক্ত হইয়া স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করিয়া স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষক-শ্রমিক রাজ কায়েমের শপথ গ্রহণ করিতেছে।” আমাদের ভুললে চলবে না যে, শোষণহীন সমাজ, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষক ও শ্রমিকের রাজত্ব কায়েম করাটাই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার প্রধান অঙ্গীকার। তবে কেউ অনুগ্রহ করে সমাজতন্ত্র শব্দটিতে বিভ্রান্ত হবেন না। শিল্পযুগের প্রেক্ষিতে কার্লমার্কস ও এঙ্গেলস শ্রমিক শ্রেণী, শিল্প, কল-কারখানা ও তৎকালীন পুঁজিবাদকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং যেভাবে কম্যুনিজম বা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন ডিজিটাল যুগে বা ইন্টারনেট সভ্যতায় সেটি বদলাতে বাধ্য। যেহেতু পুঁজিবাদ বদল হচ্ছে, সেহেতু শ্রমিক শ্রেণীর চরিত্রও এক থাকবে না। অতএব কার্লমার্কসের সংজ্ঞায় সমাজতন্ত্র এখন চলবে না। কিন্তু আমরা কার্লমার্কসের ন্যায় ও সমতার বিষয়টিকে পাশে সরিয়ে রাখতে পারি না। আমি জনগণের রাষ্ট্র বলতে এমনটা বুঝি, “আমি স্বপ্ন দেখি, ২০০১ সালে পুরো দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে কোন মানুষ বসবাস করবে না। দেশে ন্যূনতম সচ্ছল মানুষ সবাই হবে। সমাজে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক-এম,ন খুব বেশি ধনী কোন মানুষ বা পরিবার থাকবে না। লুটেরা বিকারগ্রস্ত ধনবাদী শিল্পগোষ্ঠীর বিপরীতে রাষ্ট্রীয় সম্পদে জনগণের মালিকানা বা সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বড় বড় শিল্প-কল-কারখানা থাকবে। তবে এসব কারখানার শেয়ার হোল্ডার বা মালিক থাকবে সাধারণ জনগণ। দেশে ব্যাপকভাবে ছোট ও মাঝারি পুঁজির বিকাশ ঘটবে। এসব পুঁজি হবে ব্যক্তি বা পারিবারিক মালিকানার। তবে রাষ্ট্রীয় নীতিমালার জন্য ধনী আরও ধনী হবার সুযোগ পাবে না। মাঝারি আয়ের মধ্যবিত্তের সংখ্যাই অধিক হবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, নিরাপত্তা কোনটাতেই কোন মানুষের কোন সংকট হবে না। সবাই তার ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে পারবে। অন্নের অভাবে পড়বে না কোন মানুষ। সারা দেশে থাকবে না কোন বস্ত্রহীন মানুষ। ছিন্নমূল বাসস্থানহীন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না। রাস্তায় কোন ভিক্ষুক পাওয়া যাবে না। সরকারী খাস জমি, ফুটপাথ, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট বা অন্য কোথাও ঝুপড়ি ঘরের বস্তিতে কেউ বাস করবে না। নিজের হোক, ভাড়ায় হোক একটি নিরাপদ আবাস প্রতিটি মানুষের থাকবে। প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা পাওয়া যাবে। বিনা চিকিৎসায় মরবে না কেউ। প্রতিটি মানুষের জন্য ডাক্তার-হাসপাতাল-ঔষধ পাওয়া যাবে। গ্রামের হোক আর শহরের হোক ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা সকলের জন্য বিরাজ করবে। সরকার সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। বেনিয়া চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সে পেতে পারবে। ডিজিটাল যন্ত্র প্রতিটি মানুষের কাছে সেই সুযোগ পৌঁছে দেবে। এমনকি দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞদের কাছে একজন সাধারণ মানুষকে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেবে রাষ্ট্র।” এখনও যাঁরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দরাজ গলার উদাত্ত আহ্বান ভুলেননি যাঁদের কানের কাছে এখনও তাঁর সেই অসম সাহসী বাণীগুলো বাজে তাঁরা শুনতে পাবেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বাইশ পরিবারের হাত থেকে বাংলাদেশের নতুন বাইশ পরিবারের হাতে ধন-সম্পদ তুলে দিতে চাননি। ঘটনাচক্রে জিয়া-এরশাদ-খালেদার শাসনে এখন বাংলাদেশ (একদিনের হিসাবেই ব্যাংকে) তেইশ হাজার কোটিপতির কোটি টাকার ওপর জমা রয়েছে। এর বাইরে শত শত বা হাজার হাজার কোটি টাকার দানবরা তো আছেই। আমি মনে করি, শেখ হাসিনার জন্য এটি হবে সেই বিরাট চ্যালেঞ্জ যেটি জাতির জনক স্বপ্ন দেখেছিলেন-একটি সুখী-সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তোলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর সংজ্ঞা : ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে “সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা সকল প্রকারের বৈষম্যহীন, প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এটি বাঙালীর উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা। এটি বাংলাদেশের সকল মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃষ্ট পন্থা। এটি একাত্তরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকল্প। এটি বাংলাদেশের জন্য স্বল্পোন্নত বা দরিদ্র দেশ থেকে সমৃদ্ধ, উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অঙ্গীকার। এটি বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সোপান। এটি একুশ শতকের সোনার বাংলা।” আমরা ২০১৫ সালে এসে একটু ব্যাখ্যা করতে চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে কেমন করে বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়। আলোচ্য বিষয় প্রধানত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কৌশল। এর ফলে আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ফলে আরও একটি ধাপ অতিক্রম করব। আমি অতি সংক্ষেপে আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রাধিকার খাত এবং কৌশলসমূহ বর্ণনা করতে চাই। আমাদের সবকিছুর ডিজিটাল রূপান্তরের যে লক্ষ্য সেটির জন্য আমি প্রধানত ৩টি কৌশলকে চিহ্নিত করতে চাই যার মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে মানবসম্পদ বিষয়ে। এরপর ডিজিটাল সরকার, ডিজিটাল জীবনধারা ও জন্মের অঙ্গীকারে রাষ্ট্র গড়ে তোলার বিষয়টি থাকবে। আমাদের জন্য এটি খুব সুবিধাজনক হতো যদি আমরা সরকারের কাছ থেকে একটি কৌশলপত্র পেতাম। আমি যতদূর স্মরণ করতে পারি এই সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে সরকারের এটুআই প্রকল্প থেকে একটি কৌশলপত্রের খসড়া আমি দেখেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কৌশলপত্রটির চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। হতে পারে যে, এটুআই এই মহৎ কাজটি নিজেরা করে নিজেদের জন্য দলিলপত্র তৈরি করে রেখেছে। আমাদের জানা নেই বলে আমরা আমাদের মতো করে কয়েকটি কৌশলের কথা এখানে আলোচনা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও তাকে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করার কাজটি এখন বিশ্ববাসীর স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণে বিশ্বজুড়ে দেশগুলো অবলম্বন করছে নানা কৌশল। আমাদেরও কোন না কোনভাবে সেইসব কৌশলের কথা ভাবতে হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকেই আমি এইসব কৌশলের কথা বলে আসছি। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কৌশলপত্র প্রস্তুত করেছে। এবার একটু নবায়ন করে খুব সংক্ষিপ্তভাবে আমাদের কৌশলগুলোর কথা আলোচনা করতে পারি। আমাদের নীতি নির্ধারকরা যদি এগুলো বিবেচনা করেন তবে আমরা সফল হব দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরে এমনটিই আমি মনে করি। আমাদের আলোচিত কৌশল হলো তিনটি। এই কৌশলগুলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তোলা ও বাংলাদেশকে জন্মের প্রতিজ্ঞায় গড়ে তোলা বিষয়ক। যেমন : ১ : ডিজিটাল রূপান্তর ও মানবসম্পদ : কৌশল ২: ডিজিটাল সরকার : কৌশল ৩ : ডিজিটাল জীবনধারা ও জন্মের ঠিকানায় রাষ্ট্রকাঠামো। প্রথম কৌশলটি মানব সম্পদ সৃষ্টি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের জন্য মানবসম্পদ গড়ে তোলা নিয়ে। আমরা এজন্য শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দ্বিতীয় কৌশলটি সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর বা একটি ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা বিষয়ক। তৃতীয় কৌশলটি মূলত একটি ডিজিটাল সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন। একই সঙ্গে একটি ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা ও সাম্প্রদায়িক চেতনার বিপরীতে একটি আধুনিক ভাষাভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র গড়ে তোলার স্বপ্ন এটি। এই কৌশলটির একটি অন্যতম লক্ষ্য হবে দেশের শিল্প-কল কারখানা ও অর্থনীতির রূপটাকে ডিজিটাল করা বা সামগ্রিকভাবে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্র্থনীতি গড়ে তোলা। আমাদের কৌশলের সংখ্যা আরও অনেক হতে পারে। কিন্তু আমার বিবেচনায় এই তিনটি বিষয়কে যদি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয় তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রধান কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে যাবে। যেসব কাজ এর পরেও অবশিষ্ট থাকবে সেগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে কৌশল প্রণীত হতে পারবে। ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ িি.িনরলড়ুফরমরঃধষ.পড়স
×