ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাড়তি অফিস ক্ষতিকর!

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

বাড়তি অফিস ক্ষতিকর!

কর্মক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে অনেক কর্মী অফিসের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও আসন ছাড়তে চান না। অফিসের কম্পিউটারে ডুবে থেকে, আরেকটু বেশি কাজ করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের মন জয়ের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। এতে হয়ত সাফল্যের শিকে ছেঁড়ে, তবে একই সঙ্গে তৈরি হয়ে যায় ইন্টারনেট আসক্তি। এর ফলে ঝুঁকির মুখে পড়ে মানসিক স্বাস্থ্য, শুরু হয় আচরণগত সমস্যা। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সহলেখক ও নর্দাম্পটন বিজনেস স্কুলের ড. ক্রিস্টিনা কুইনোনেস-গার্সিয়া বলেন, কঠোর পরিশ্রমী কর্মীদের পেশাজীবনে অবশ্যই উন্নতি আসে, তবে নেট আসক্তিও তৈরি হয়। এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক দুটি স্কুলের গবেষকদের দাবি, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের আচরণগত এই সঙ্কট অগ্রাহ্য করছে। মাঝরাতে বারবার উঠে মেইল চেক করা, কম্পিউটার থেকে দূরে থাকলেই অস্থির লাগা এই সঙ্কটের কিছু লক্ষণ। এ সমস্যায় যাঁরা আক্রান্ত হন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরাই প্রতিষ্ঠানের সেরা কর্মী। ড. কাকাবাডসে বলেন, ‘ওই ধরনের কর্মীরা অনেক বেশি সময় অনলাইনে কাটাতে শুরু করেন। রাতে অন্তত তিনবার ঘুম থেকে উঠে মেইল চেক করেন। একপর্যায়ে তাঁদের বুদ্ধি-বিবেচনায় ঘাটতি দেখা যায় এবং তাঁরা ভুল করতে শুরু করেন।’ ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৫১৬ জন নারী-পুরুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, তরুণ বা বেকারদের চেয়ে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভাল অবস্থানে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যেই নেটের আসক্তি বেশি। গবেষণার আরেক সহলেখক এবং হেনলি স্কুল অব বিজনেসের নীতি, শাসন ও নীতিমালাবিষয়ক অধ্যাপক নাডা কাকাবাডসে বলেন, কাজপাগলরা অদৃশ্য একটা সীমা পার করে ফেলেন। তাঁরা মাত্রার চেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শুরু করেন। তাঁদের খাওয়া ও ঘুমের স্বাভাবিক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটে, সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়, নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন, হতাশা বাড়ে; এমনকি কম্পিউটার থেকে দূরে গেলে অস্থিরতাবোধও তৈরি হয়। ডেইলি মেইল অবলম্বনে ইব্রাহিম নোমান
×